আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সম্ভাবনার সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষে এ দ্বীপে টেকনাফ থেকে ট্রলারে, লঞ্চে কিংবা জাহাজে যেতে লাগে দুই থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা। রূপ বৈচিত্র্যের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত সেন্টমার্টিন দ্বীপে চমৎকার আবহাওয়া বিরাজ করে নবেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

এই সময়কে প্রধান ভ্রমণ ঋতু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বছরের বাকি সময় আবহাওয়া থাকে ভয়াবহ। সেন্টমার্টিনের স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিস, হরেক রকম সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ আর প্রবাল অন্যতম আকর্ষণ ও অপার সম্ভাবনা। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ১৯৫৮ সালে এক ভূত্তত্ব জরিপে দেখা গেছে এই দ্বীপে প্রায় ১০ লাখ টন প্রবাল রয়েছে। এই দ্বীপে জীবন্ত প্রবালের ৩৯টি প্রজাতি চিহ্নিত করা গেছে।

প্রাণের বৈচিত্র্য রয়েছে যে দ্বীপগুলোতে, তাকে টিকিয়ে রাখার মধ্যেই রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও দ্বীপের চারদিকের জল এলাকার বিচিত্র প্রাণের সুরক্ষার মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন ও মৎস্য আহরণ সম্ভাবনা। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেন্টমার্টিন কনজারভেশন প্রকল্পে মার্কিন কোরাল বায়োলজিস্ট টমাস, টমাসিকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮৫০ জন পর্যটক পরিদর্শন করলে দ্বীপটির ক্ষতি হবে না। অথচ শীত মৌসুমে দিনে তিন থেকে চার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে যাচ্ছেন, রাতে থাকছেন। একই সঙ্গে তারা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ।

জীবন-জীবিকা: প্রতি বছর সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক আসা-যাওয়া করে। পর্যটকদের থাকার জন্য দ্বীপটিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ৮৮টি হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। ১৯৭২ সালে যেখানে ১১২টি বসতি ছিল বর্তমানে সেখানে দেড় হাজার পরিবারের প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ বসবাস করছে। লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়ছে। এখানকার মানুষ মূলত মৎস্য শিকার করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো, এ দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য।

সেন্টমার্টিন হতে পারে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর: সেন্টমার্টিন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রায় ২শ প্রজাতির জীবের উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সমীক্ষা অনুযায়ী, দ্বীপটি চতুর্দিকে প্রবাল পাথরের বেষ্টনীতে গড়া। এর গভীরে রয়েছে জমাট বাঁধা পাথর। এই পাথরের বেষ্টনী সাগরের তলদেশ দিয়ে মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা এই দ্বীপটিই হতে পারে পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর। তবে এ জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু নীতিমালা। দ্বীপবাসীকে সম্পৃক্ত করে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে এখানে পর্যটন শিল্প বিকাশে উদ্যোগ নেয়া হলে দ্বীপটি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র্র।

শৈবাল চাষের সম্ভাবনা: সেন্টমার্টিনে শৈবাল চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। সামুদ্রিক বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত করেছেন যে, সেন্টমার্টিনে ১৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল রয়েছে। যার অধিকাংশ মানুষের খাদ্যসহ হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণত চার ধরনের প্রবাল সংগ্রহ করা হয় যাদের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় পাতা ফুল, গাছফুল, শৈবাল ও মগ। এদের মধ্যে গাছফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাহারি অলঙ্কার প্রস্তুতের জন্যেই এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে প্রচুর চুনাপাথরসহ নানা প্রকার পাথর, রেডিয়াম, সামুদ্রিক শৈবাল, ঝিনুক, মুক্তা ও সিলিকন পাওয়া যায়। এছাড়া এই শৈবাল থেকে হ্যালোজেন জাতীয় উপাদান যেমন-ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রুমিন ও আয়োডিন এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতব পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন, সামুদ্রিক শৈবালে ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে। তাই এগুলো ওষুধ কারখানায় এবং জৈব সার তৈরিতে বিভিন্ন দেশে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। আশার খবর হলো- সেন্টমার্টিনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন হবে সামুদ্রিক শৈবাল ভা-ার। এখানকার চাষীরা শৈবাল চাষ ও বাণিজ্য করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হবেন। অপরদিকে এই খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।

মনোরম সৈকতের হাতছানি: সবুজ শ্যামল বৃক্ষ বেষ্টিত সাগর বুকে ভাসমান অনন্য শোভামণ্ডিত এই সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিনের উভয়প্রান্তে ছোট বড় ৩৭টি সৈকত রয়েছে যা ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বছরের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে হবে আমাদের স্বার্থেই। সেজন্য সর্বসাধারণকে সচেতন থাকতে হবে পরিবেশ বিষয়ে। পর্যটন আইন মেনে চলতে হবে। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা যাবে না। স্থায়ী আবাসন কমাতে হবে। থাকার ব্যবস্থা বন্ধ করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। পর্যটন পুলিশের সংখ্যা, বুথ ও নজরদারি বাড়াতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



সৌদি সুন্দরী রুমি আল-কাহতানির পাঁচ অজানা তথ্য

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স) প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের হয়ে অংশ নিতে যাচ্ছেন সৌদি মডেল রুমি আলকাহতানি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মেক্সিকোতে প্রতিযোগিতার এ আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইনস্টাগ্রামে আল-কাহতানি লিখেছেন, মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এ অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এটি সৌদি আরবের প্রথম অংশগ্রহণ।

নাম সামনে আসার পর ইতঅমধ্যে রুমির ইনস্টাগ্রামে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। কে এই সুন্দরী, কী তার পরিচয় তা জানতেই চলছে স্ক্রলিং। রুমি আলকাহতানির ইনস্টাগ্রাম থেকে পাওয়া গেছে পাঁচটি তথ্য।

একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী : রুমি আল-কাহতানি জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদির রাজধানী রিয়াদে। নিজ ইনস্টাগ্রামে তার চোখ ধাঁধানো সব ছবি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন রুমি। মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস, মিস ওমান, মিস মিডল ইস্টসহ আরও বেশ কিছু ইভেন্টে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় তার অভিজাত লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় : ইনস্টাগ্রামে রুমির রয়েছে লাখ লাখ অনুসারী। আর এক্সে (পূর্বের টুইটারে) রয়েছে দুই হাজারের বেশি অনুসারী। স্ন্যাপচ্যাটেও বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা যায় এই সৌদি সুন্দরীকে।

ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে : আরব আমিরাত, মিশর, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয় করছেন তিনি। জানা গেছে, ভ্রমণ প্রীতি রয়েছে রুমি আল-কাহতানির। সম্প্রতি তার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের একটি রুপটপ পুলে অবকাশ যাপন করছেন এই সুন্দরী।

ডিজাইনার জুয়েলারি সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন : রুমি ইনস্টাগ্রামে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার ছবিই আপলোড করেন না। একটু ঘাঁটতেই দেখা যায়, সৌদি এই সুন্দরী নিখুঁত ও ডিজাইনার গয়না পরতে বেশ ভালোবাসেন। কার্তিয়ারের ব্রেসলেট থেকে শুরু করে বুলগেরির গয়না, সবই খুঁজে খুঁজে নিজের গয়নার বাক্সে রাখেন তিনি।

দিন শেষে পরিবারই তার সব : পারিবারিক বন্ধন যে রুমির কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝা যায় তার নিউজফিড দেখে। দুই বোন রাজান ও জেদাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন তিনি।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান হারজে হালেভির টেবিলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। মেজর জেনারেল আহরন হালিভা ৩৮ বছর ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা হলেন প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যিনি হামাসের হামলার ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী চিফ অব স্টাফ হালিভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে এবং তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ইসরায়েলের আরও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধ না করতে পারার দোষ স্বীকার এবং পদত্যাগের মঞ্চ তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিফ অব স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অনুমোদনে মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার দায়িত্ব শেষ করবেন এবং একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরসূরি নিয়োগের পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেবেন।

হালিভা অক্টোবরে বলেছিলেন, হামাসের আক্রমণ ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়া প্রতিরোধ না করার জন্য তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। হামাস হামলা চালিয়ে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে এবং শত শত ইসরায়েলিকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবরের হামাসের হামলাকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বড় ব্যর্থতা’ হিসাবে দেখা হয়।


আরও খবর