আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সমর্থকদের সুখবর দিলেন নেইমার

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বকাপে হট ফেভারিট ব্রাজিলের অন্যতম ভরসা পোস্টার বয় নেইমার জুনিয়র। প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়ায় খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ। শঙ্কা ছিল শেষ ষোলোয় তার খেলা নিয়েও। তবে এবার ব্রাজিল সমর্থকদের সুখবর দিয়েছেন নেইমার। দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চে ফেরার বার্তা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তার অনুশীলনের সময়ের বেশ কিছু ছবিও। ছবির ক্যাপশনে এই ফুটবলার লিখেছেন, আমি এখন ভালো অনুভব করছি, আমি জানতাম যে এখন ফিরতে পারব।

এদিকে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো সেলেসাওদের সেরা তারকার অনুশীলনের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে দেখা গেছে, ব্রাজিলিয়ান এই তারকা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।

অন্যদিকে শেষ ষোলোর ম্যাচে নেইমার খেলবেন কি না, সেই ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি সেলেসাওদের কোচ তিতে। তবে ব্রাজিলিয়ান শিবিরের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন।

নিউজ ট্যাগ: নেইমার ব্রাজিল

আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিনদিনের (১২-১৪ মে) বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিএজি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। এরই মধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজির সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরাতন পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরই মধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয়, প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রয়েছে।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো পেনশন পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা আমরা চালু করেছি। রোববার (১২ মে) থেকে আমরা ৩ দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এসময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১২৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ জন। অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯৯৬টি। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৯ হাজার ৮৯০টি।

এ হিসাবে শেষ চার অর্থবছরে সিএজির ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৫১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪০ হাজার ১০২টি।


আরও খবর



পাবনায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৩ ডিগ্রি, জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিন যতোই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাবনার তাপমাত্রা। আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে গড়ছে নতুন রেকর্ড। তীব্র তাপপ্রবাহে পাবনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাবনার জনজীবন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য খুবই খারাপ অবস্থা। তীব্র তাপপ্রবাহে তারা কাজে যেতে পারছেন না। এছাড়াও তাপদাহের কারণে আম-লিচুর গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ।


আরও খবর



রাজধানীতে এবার চালু হলো বাসের গেটলক সিস্টেম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনে এবার চালু হলো আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম। এর ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট পথের যাত্রার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন ও আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।

গেটলক সিস্টেম চালুর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে শ্রমিকরা আছেন, যাত্রীরা বাসে চলাচল করেন। সুতরাং সকল প্রকার সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যাতে যাত্রীরা কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন। যে কারণে আমরা কখনো কঠোর হই কিংবা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিই যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী উঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে। মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি প্রস্থান পত্র দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক সিস্টেম তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এ নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নবায়নে সৌদির তাগিদ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট নবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছে সৌদি সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের সৌদি সরকারের তাগিদের কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৪ সালের দিকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাসপোর্ট নবায়ন করবে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল। কারণ, ১৯৭৪ সালের পর ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাদের ওই দেশে কেউ কাগজপত্র ছাড়া থাকতে পারে না। সৌদি আরবে অবস্থান করা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্টের নবায়ন নেই। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গাদের তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দিব। এ বিষয়ে আমরা স্লো যাচ্ছি কেন কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি-না সেটা দেখার জন্য তারা এসেছিলেন। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব কিন্তু ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার কাউকে ফেরত পাঠাবে না। আবার তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বও দেবে না। তবে কীভাবে থাকবে? সেজন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে সববিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদিতে থাকা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দিব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সৌদি যদি এই চুক্তি করে তবে ভাল হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আনসার পাঠানোর কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।


আরও খবর