করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব ধরেনর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রবিবার আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পূর্ণঘণ্টা ক্লাস হবে না। ধাপে ধাপে সার্বিক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
‘২০২১ ও ২০২২ সালে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। অন্যরা সপ্তাহে একদিন ক্লাসে আসবে’, যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নানা সময়ের শিক্ষক-অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের জানান, পরিস্থিতি সাপেক্ষে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারপরই গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আশা করছি, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক আমরা খুলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে আমরা আবারও বসব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নেয়।’
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে শিক্ষা উপমন্ত্রী ‘সপ্তাহে একদিন ক্লাসের’ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া এখনকার মতোই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নতুন পদ্ধতির সিলেবাসও তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামীতে নতুন সিলেবাসে লেখাপড়া শুরু হবে।’
সবশেষ আজ আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী চূড়ান্তভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানালেন।