আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
সম্ভাবনার পদ্মা সেতু

শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোন হবে ভোমরা স্থলবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রমত্তা পদ্মার বুকে জমে থাকা হাজারো দীর্ঘশ্বাস এখন আবেগের অশ্রু হয়ে জমা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চোখে। আগামী ২৫ জুন চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হলে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক স্থলবন্দর হিসেবে নতুন মাত্রা পাবে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর। ভাগ্য বদলের আশায় আছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সাতক্ষীরা জেলা ছাড়াও দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। ভারতের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব বাংলাদেশের যেকোনো বন্দর অপেক্ষা কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সুবিধাবোধ করেন। বর্তমানে বন্দরটিতে আমদানি ও রপ্তানি কাজে জড়িত রয়েছেন পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী। আর প্রতিদিন এ বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা। বছর শেষে রাজস্ব আদায় দাঁড়ায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকায়।


তবে বন্দর প্রতিষ্ঠা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বন্দরটিতে নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকায় আমদানি করা পচনশীল কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে পণ্যের উপযুক্ত দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হন এখানকার ব্যবসায়ীরা। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভোমরা স্থল বন্দরের মাধ্যমে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হবে বলে ধারণা বন্দর কর্তৃপক্ষের।

ভোমরা স্থল বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, সকাল হলেই আমদানি ও রপ্তানির বিভিন্ন কার্যক্রমে পাঁচ হাজার মানুষের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রমিক মিলে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে বন্দরটিতে। বর্তমানে পণ্য আমদানির পর এখান থেকে ঢাকা পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা। ফেরিতে অনেক সময় এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। দুর্যোগকালীন ফেরি না পাওয়ায় এ নদীর পাড়েই কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে করে ভারত থেকে আমদানি করা পচনশীল পণ্য নষ্ট হওয়ায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা। আবার ঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পেরে পণ্যের উপযুক্ত দামও পাওয়া সম্ভব হয় না। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেই দুর্ভোগ লাঘব হবে জানিয়ে তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ভারত থেকে পণ্য আমদানির পর রাজধানীতে পৌঁছে যাবে ৫-৬ ঘণ্টায়। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে খরচও কমে আসবে বহুলাংশে। এতে পাল্টে যাবে ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যের অতীত প্রেক্ষাপট।


পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, পদ্মার সঙ্গে তাদের কষ্টের স্মৃতির শেষ নেই। বর্তমানে মাওয়া-জাজিরায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে ফেরিতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সময় লাগে ৪০ মিনিটের মতো। সমস্যা হলো, ঘাটে গিয়েই ফেরিতে উঠার নিশ্চয়তা নেই। সময় মতো ফেরি না পাওয়ায় এ নদীর পাড়েই তাদের কেটে গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ঝড়, বর্ষা, নদীর প্রবল স্রোত কিংবা ঘন কুয়াশায় পদ্মার পাড়েই কেটে গেছে দিন-রাত। সময়মতো বাড়িতে পৌঁছাতে পারেনি বলে শেষবারের মতো দেখা হয়নি মৃত স্বজনের মুখও। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ভোমরা স্থল বন্দর থেকে ঢাকায় যাতায়াতের সময় ৫-৬ ঘণ্টা কমে আসবে। তখন পথপাড়ি দিতে সময় লাগবে ৫-৬ ঘণ্টা। এতে একদিকে যেমন ভোগান্তি কমবে, তেমনি যাত্রাও সহজ হবে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ ট্রেডার্সর স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, প্রতিদিন ভারত থেকে ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পদ্মা সেতু চালু হলে এসব আমদানি করা পণ্য ৫-৬ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে যাবে, যেখানে এখন ফেরিতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা। ফেরিতে কখনো এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। কাঁচামাল পচে যায়। এতে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেই দুর্ভোগ লাঘব হবে।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম খান বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবাধ কার্যক্রম শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে। ভোমরা বন্দরের কিছু উন্নয়ন কাজ বাকি রয়েছে। এখানে একটি কাস্টমস হাউস প্রয়োজন। সেটি হলে সব পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে রাজস্ব আদায়ও দ্বিগুণ হবে।

ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারতের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব বাংলাদেশের যেকোনো বন্দর থেকে। এ কারণে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে ৫০-১০০ ট্রাক। এতে দৈনিক রাজস্ব আদায় হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা। ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে ভোমরা বন্দরে ১৫ একর জমির ওপরে কার্যক্রম চলছে। আরও ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরকে গতিশীল করা এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি মাস্টার প্ল্যানও হাতে নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এতে রাজস্ব আদায়ও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



বুয়েটে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী তৎপর কি না তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কোনো জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়ে আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করবো।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখেন এবং সেটা যদি মনে হয় যে মৌলবাদী ও জঙ্গবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে, এসব তদন্ত করছেন তারা, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষকে আহ্বান জানাবো, সেখানে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন সহযোগী আরোহী।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কসমস এলাকার বেতার সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। আহত আরোহী একই এলাকার বাছেত এর ছেলে মোঃ আওলাদ হোসেন। তাকে ধামরাই এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায় তারা ধামরাই থেকে নিজ এলাকায় ফিরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে গেলে পেছনে থাকা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক জাহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে থাকা অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর



সকলের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে চাঁদ দেখা কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশটিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এদিকে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বা বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

যদি আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়, তাহলে বুধবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর তা না হলে ৩০ রোজা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবে বাংলাদেশের মানুষ।

এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, ভারত-পাকিস্তানসহ এশিয়ার কোনো দেশে চাঁদ দেখা যায়নি। দেশগুলো ৩০ রমজান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার এসব দেশে ঈদ উদযাপিত হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের হামলার হুঁশিয়ারির পর থেকে হার্ট অ্যালার্ট জারি করেছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব পাঠ্যক্রম বহির্ভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করেছে তারা। খবর: জেরুজালেম পোস্ট

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে আক্রমণের জন্য উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলা প্রতিহত করতে কয়েক ডজন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ইরান সমর্থিতদের দ্বারা পাঠানো বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ব্যবস্থাকে প্রস্তুত রেখেছি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ইরানি জেনারেল নিহত হয়। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় পারস্য অঞ্চলের দেশটি। যেকোনো সময় ইসরায়েলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালানো হবে বলে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।


আরও খবর