লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে দেশের টিকাদান কর্মসূচি।
এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ১৫ লাখের বেশি
ডোজ টিকা আনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান
কর্মসূচি (ইপিআই) জানিয়েছে, শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য
বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ দুই হাজার ৪০০ ডোজ টিকা।
সরকারের টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব
ডা. সামসুল হক বলেন, ‘চলতি মাসে টিকাদানের কথা থাকলেও
নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। এ জন্য আগস্টে টিকাদান শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে কথা বলে পরে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার
আওতায় আনতে প্রায় দেড় বছর আগে টিকাদান শুরু করে সরকার। পরে সেটি কমিয়ে ৭০ শতাংশে নামিয়ে
আনা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। পরিধি বাড়াতে প্রাপ্ত
বয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও
টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকারের জাতীয় ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির
প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা.
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি।
এবার ৫ থেকে ১১ বছরের তথা প্রাইমারির শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তাদের ক্ষেত্রেও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে। জন্মনিবন্ধন দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের
মাধ্যমে টিকা নিতে হবে।’