আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত মঙ্গলবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০টি শিশু দিবাযত্ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ে স্থাপিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর শিশুদের নিয়ে কেক কাটা হয় এবং পরে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব জনাব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব ড. মহিউদ্দীন। উন্নত দেশের আদলে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন আঙ্গিকে দিবাযত্ন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়।

যেখানে ৮ টি খেলাভিত্তিক শিক্ষামূলক কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পূর্ণ সহায়তা করা হয়। যা অন্য কোন শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলিতে দেখা যায় না। এই ২০ টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলিতে আছে উন্নতমানের সুষম খাদ্য তালিকা যা অন্য কোন শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলিতে (রেভিনিউ বাজেটের দিবাযত্ন কেন্দ্র) নেই।

প্রকল্পটি তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক জনাব শবনম মোস্তারী । এরপর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন '২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন' প্রকল্পের আওতায় সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ নির্দেশিকা চূড়ান্তকরণের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



‘বৃষ্টি খাতুন’ পরিচয়ে সাংবাদিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তেরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। তবে, কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে আজ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন লেখা আছে। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।

এনআইডি অনুযায়ী তার গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর বনগ্রাম, উপজেলা খোকসা এবং জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, অভিশ্রুতি নামটি ওর নিজের দেওয়া। ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?


আরও খবর



দাঁত ও পেটের দাগ দেখে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করল পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সবশেষ মিনহাজ উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলো। মিনহাজ রাজধানীর বেসরকারি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন। বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেন তিনি।

পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার মিনহাজের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তবে এর আগেই শুক্রবারই তার পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে।

এদিকে, অন্য একটি পরিবার মিনহাজের মৃতদেহকে তাদের সন্তানের মৃতদেহ বলে দাবি করে বসেন। এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

রমনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবারই মিনহাজের পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে। তবে অন্য একটি পরিবারও সেটি তাদের পরিবারের সদস্যের মৃতদেহ হিসেবে দাবি করায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শনিবার মর্গে মিনহাজসহ তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মিনহাজের মৃতদেহ দাবি করা অন্য পরিবারটি পরবর্তীতে মর্গে বলেছেন, এটা তাদের মৃতদেহ না। তাদেরটা অন্য একটি হতে পারে। এরপর মিনহাজের পরিবারকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে। বর্তমানে সবুজবাগ বাসাবো খেলারমাঠ এলাকায় থাকতেন মিনহাজ। কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মিনহাজ ছিল ছোট।

তিনি বলেন, মিনহাজ হাতে যেই ঘড়ি ব্যবহার করেন, মৃতদেহের হাতেও সেই ঘড়িটি দেখতে পেয়েছি। এছাড়া ছোটবেলায় তার পেটে একটি অপারেশন হয়েছিল সেই দাগও দেখা গেছে। মিনহাজের সামনের অংশের একটি দাঁত বাঁকা ছিল, এসব দেখেই নিশ্চিত হয়েছি এটি মিনহাজের মৃতদেহ।

আমিনুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার দিন বন্ধুদের সাথে বেইলি রোডের ওই ভবনে তৃতীয় তলায় খানাজ রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন মিনহাজ। ঘটনার কয়েক মিনিট আগেও সেই বন্ধু মিনহাজকে নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিলেন। আগুন লাগার পর সেই বন্ধু বেরিয়ে আসতে পারলেও অন্ধকারে ও আটকে পড়া অনেক মানুষের ভিড়ে আটকে পড়েন মিনহাজ। সেখানেই পুড়ে মারা যান তিনি।


আরও খবর



রোজার আগে আরেক দফা চাপ বাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভালোমানের ছোলার দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে। অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দামও বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। অ্যাংকর ডাল খুচরায় কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও খেসারির ডাল মানভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে বেগুন ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পথে। রোজায় নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। আর সেই সুযোগে এই সময়ে ওইসব পণ্যের দামও বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ইফতারি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বাড়তির দিকে। গত এক সপ্তাহে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে পরিচিত খেজুর, চিনি, ছোলা, বেসন, পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। রোজার আগে গতকাল শেষ শুক্রবারের বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগের দিনের চেয়ে আরও খানিকটা বেড়ে যায়। ক্রেতারা অনেকেই অভিযোগ করেন, পণ্যের দাম নানাবিধ কারণে যতটা না বাড়ে, কখনও কখনও তার চেয়ে বেশি বাড়ে ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশিতে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে হঠাৎ করে কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। কিছু সচ্ছল মানুষ আছেন যাদের কারও হয়তো এক কেজি ছোলা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দুই কেজিও কিনে ফেলেন। এমন মনোভাবও বাজারে কৃত্রিম চাপ তৈরি করে। যার কুফল ভোগ করতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আলী হোসেন বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৬৩ থেকে ১৬৫ টাকা, প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ ও প্যাকেট ১৪৮ টাকা, ছোলা ৯০ থেকে ১০০, অ্যাংকর ও ডাবলি ৮০ টাকা, বেসন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মহল্লা পর্যায়ে ছোলা ১১০ টাকা কেজিতে, মোটা মসুর ডাল ১২০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৫০ টাকা, বোতলজাত দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩৪০ টাকা, ছোলার বেসন ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মরিয়ম খেজুর মান ভেদে ১৩০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খেজুরের দামও গতবারের চেয়ে এ বছর অনেকটাই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

ডাল ও ছোলার দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ডালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ডলার রেট অন্যতম কারণ। আমরা চাহিদামতো ডলার পাচ্ছি না। তবে এখনও যে পরিমাণ ডাল ও ছোলা আছে তাতে রমজানে সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।

রমজানের আগে মুরগির দাম এত বাড়ছে কেন তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গত বছরের আগস্ট থেকে করপোরেট কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের চাহিদামতো বাচ্চা দিচ্ছে না। বাচ্চা না পেয়ে অনেকেই খামার বন্ধ রেখেছে। এই ফাঁকে তারা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাজারে মুরগি সরবরাহ করছে। বর্তমানে বাজারের ৫০ ভাগ মুরগি হচ্ছে কন্ট্রাক্ট ফার্মের।

দাম বাড়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে, প্রান্তিক খামারিদের পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়ে যাওয়া। তার সঙ্গে রয়েছে চাঁদাবাজি। প্রতিটি গাড়িতে চাঁদা দিতে হচ্ছে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় বাজারের চাঁদা, রাস্তায় অন্যান্য চাঁদা মিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ কেবল চাঁদা বাবদ চলে যাচ্ছে। এ কারণেও দাম বেড়ে যাচ্ছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, একটি গাড়িতে ২ থেকে আড়াই হাজার মুরগি পরিবহনের সুযোগ থাকলেও করপোরেট কোম্পানিগুলো ১২০০ থেকে ১৫০০ মুরগি পরিবহন করছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রান্তিক খামারিদের বিআরটিএ থেকে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না। আবার কিছু স্থানে গাড়ি দিলেও তার ওপরে খাঁচা বসাতে দেয় না। সেখানে চাঁদা দিয়ে খাঁচা বসাতে হয়। দিনের বেলা গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না। ইত্যাদি নানা কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।

এদিকে গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম, সবকিছু ঠিক থাকলে ৫০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হতো। কিন্তু নির্বাচনের আগে ভোক্তা অধিদপ্তর সাড়ে ৬০০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কোথাও কোথাও প্রায় ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মহেশপুর সীমান্তে ডলার-রুপিসহ ভারতীয় পুলিশ সদস্য আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এক ভারতীয় পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ সময় তার কাছ থেকে ডলার ও ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত পি.ভি. জন সিলভারাজ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশের সদস্য। তার সঙ্গে পুলিশের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশও তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

৫৮বিজিবি ও মহেশপুর থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় ৫৮-বিজিবির হাবিলদার কাওছারের নেতৃত্বে সিলভারাজকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১ হাজার ১৫০ ডলার ও ৪ হাজার ৮৭ ভারতীয় রুপিসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতর দেওয়া তথ্য মতে, তার বাড়ি ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের ত্রিসিটি জেলার ইকুডু থানার আনগুনগর গ্রামে।

সিলভারাজের ভারতীয় নাগরিক পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি তামিলনাড়ু পুলিশের একজন সদস্য।

৫৮-বিজিবি অধিনায়ক এইচ এম সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আটক ব্যক্তি তাদের কাছে জানিয়েছেন তিনি থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে প্রবশ করেছেন। তার সঙ্গে তামিলনাড়ু পুলিশের একজন সদস্য মর্মে পরিচয়পত্র এবং মোবাইল ফোনে দায়িত্ব পালনকালীন দৃশ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন, মহেশপুর থানায় মুদ্রা পাচারসহ অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের মাধ্যমে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পিরোজপুরে ৯০টি লাক্ষা মাছ বিক্রি হলো ২০ লক্ষ টাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব চরবলেশ্বর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ দুলাল ফকিরের সমুদ্রগামী ট্রলারের জালে দুই টানেই ধরা পড়লো ১২শ কেজি ওজনের ৯০ টি লাক্ষা মাছ।

মাছগুলো শুক্রবার (১৫ মার্চ) পিরোজপুরের বাদুরা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পাইকারি আড়তে ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়। পরে পাইকাররা মাছগুলো চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়।

ট্রলারের জেলেরা জানান, সাগরে যাওয়ার পর তারা পর পর দুই বার জাল ফেলে ৯২টি লাক্ষা মাছ ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এই মাছগুলোর প্রতিটির ওজন ৭ থেকে ২২ কেজির মধ্যে। এতো গুলো মাছ ট্রলারে তুলতে তদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এছাড়া আমরা দেখেছি পাশাপাশি আর চট্টগ্রামের তিন চারটা ট্রলারে এই মাছ পেয়েছে।

তারা আরও জানান, মাছ শিকার করতে সাগরে গিয়ে ফিরতে তাদের দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এবার সাগরে গিয়ে মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই তারা ফিরে আসতে পেরেছেন।

ট্রলারের মালিক দুলাল ফকির জানান, মাছ শিকার করতে কয়েক বার সাগরে ট্রলার পাঠিয়ে তার লোকসান হয়েছে। এবার ভালো মাছ পাওয়ায় আগের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।


আরও খবর