আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুতে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আয়হামের আর জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আয়হামের সুন্নতে খতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন>> এবার সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে আইডিয়াল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট।

তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান ‍তিনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিইসি।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর



ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর