আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ-অটোভ্যান ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জে সদরে ট্রাক-পিকআপ ও ব্যাটারীচালিত অটোভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাদশা শেখ (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শাহানগাছা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদশা শেখ বগুড়া জেলার ধুনুট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আছের আলী শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে একটি অটোভ্যান কাজিপুর-ধুনুটের দিকে যাচ্ছিল,এমন সময় অটোভ্যানটি সদর উপজেলার শাহানগাছা বাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি একটি সিমেন্ট মিক্সচার ট্যাক নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে পিকআপকে ধাক্কা দেয়। সে সময় পিক-আপের ধাক্কায় তার পিছনে থাকা অটোভ্যানটি চাপা পরে । এবং ঘটনা স্থানে অটোভ্যান চালকের মৃত্যু হয়।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কোমল চন্দ্র বলেন, সকালে বাদশা শেখ সিরাজগঞ্জ থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সাযোগে বগুড়ার ধুনুটে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। অটোরিক্সাটি সদর উপজেলার শাহানগাছা বাজার এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাক ও নির্মান কাজে ব্যবহ্নত মিকসার মেশিনের ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই বাদশা শেখ নিহত ও দুই জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ট্রেনে নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য যদি থাকে বা আশঙ্কা থাকে তা যেন আমরা যথাসময়ে জানতে পারি সে বিষয়ে আমাদের মেকানিজমও কাজ করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং অন্য যারা কাজ করছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বলছি, কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত করেছি। গোয়েন্দারাও কাজ করছেন, আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডও নজরদারি করছি। আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদে নাড়ির টানে ঢাকাবাসীর অনেকেই বাড়ি চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেই শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। এছাড়া যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি, যাতে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাব-৩ সার্বক্ষণিক বেশ কিছুদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি দালাল বা টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা কেউই প্রকাশ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে জড়িত ছিল, যারা এই টিকিটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনার প্রতারিত হবেন না। নিয়ম মেনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করুন।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



সুন্দর বাচ্চার মা হতে চান নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ালেও কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে দেখা যায়নি বলিউডের বেলি ডান্স কুইন হিসেবে বর্তমানে পরিচিত নোরা ফাতেহিকে।

২০১৪ সালে রোর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস দিয়ে তার অভিনয়ে ডেবিউ। এরপর বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেন আইটেম ডান্সার হিসেবে। মাঝে ভূজ: দ্য় প্রাইড অফ ইন্ডিয়া, স্ট্রিট ডান্সারে তাকে অভিনেয় করতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও নোরাকে দেখা যায় একাধিক রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে।

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে সফল হলেও, বিয়ে করতে চান তিনি। কানেক্ট এফএম কানাডার সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারের সময় নোরা তার সঙ্গী পছন্দের সময় কোন জিনিসে গুরুত্ব দেন, তা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন।

অভিনেত্রী বলেন, আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজছি যে ঈশ্বরকে ভয় করে এবং যার লালন-পালন খুব ভালো হয়েছে। এর পরে অর্থ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে

নোরা নিজের কথায় আরও যোগ করেন, আমার এমন একজন দরকার যে ভিতর থেকে সত্যিই ভালো, কারণ বর্তমানে চারপাশে খারাপ লোকের সংখ্যাই বেশি। যারা সুবিধাবাদী এবং আপনাকে ব্যবহার করে। মিথ্যাবাদীও আছে। কিছু লোক বছরের পর বছর আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কিন্তু আপনাকে চাইবে না। তারা আপনার টাকা, আপনার জনপ্রিয়তা বা আপনার নেটওয়ার্ক চাইবে। চারপাশে সত্যিই অদ্ভুত মানুষ আছে। ভালো মনের কাউকে পেলে আমি খুশি হব।

নোরা জানান, পাঁচ বছর আগে থেকে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উচ্চতা এবং চেহারার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দিয়ে নিজের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজা। গত কয়েক বছরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার ভাবনাচিন্তা বদলেছে। তাকে তার অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করতে প্ররোচিত করেছে।

এই সাক্ষাৎকারে দেখতে সুন্দর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রশ্ন করা হলে, নোরার থেকে জবাব আসে, এত কিছুর পরে আসলে সুন্দর চেহারা আসে। আমি বলতে চাইছি, আমার ভালো জেনেটিক্স দরকার কারণ আমি সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই।

নোরা অভিনেতা অঙ্গদ বেদী এবং কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে শোনা যেত একসময়।মাঝে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল নোরার। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার লিঙ্কআপ পেয়ে একাধিকবার জেরা করে ইডি।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর