আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে চালু হল ডিজিটাল ডাস্টবিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার আবর্জনা অপসারণে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল ডাস্টবিন চালু করা হয়েছে। এতে ময়লা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়িতে উঠিয়ে অপসারণ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে দুর্গন্ধময় পরিবেশ থেকে রক্ষা পাবে শহরবাসী।

সিরাজগঞ্জ শহরে খোলা ডাস্টবিন থেকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ডাস্টবিন। পৌরবাসী বলছেন, পরিবেশ রক্ষায় এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

পৌরবাসীরা জানান, এই ডাস্টবিনটা হওয়ার কারণে সিরাজগঞ্জ শহরের মেইন রোড অর্থাৎ মুজিব সড়কে যে নোংড়া অবস্থা ছিল এটা থেকে শহরবাসী পরিত্রাণ পাবে। এটা অন্যতম ভালো উদ্যোগ, বাংলাদেশের মধ্যে এটা ব্যতিক্রম। ডিজিটাল এই ডাস্টবিন পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ সহজতর হবে বলে মনে করছেন এর উদ্ভাবক।

উদ্ভাবক মোস্তফা কামাল তারা বলেন, পুরো এলাকাটা নষ্ট হয়ে থাকে এমনকি পাঁয়েও ভরে। তারপরে এটা যখন ট্রাকে উঠায় তখনও রাস্তা নষ্ট হয়। ময়লা-আবর্জনা থাকবে কিন্তু সেটা বোঝাই যাবে না। সেই ভাবনা থেকে এটা বানিয়েছি, যাতে হাতের কোন স্পর্শ না লাগে।

এমন কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন সচেতন মহল। সুফল পাওয়া গেলে শীঘ্রই এমন ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে জানান মেয়র। পৌর মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, দুই মাস এটার ট্রায়াল দেখবো। এটা সাকসেস হলে সিরাজগঞ্জের প্রত্যেক সড়কেই এটা চালু করা হবে।

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মুনির হোসেন বলেন, যে স্টাফরা আছেন ওনারা জানতে পারবেন যে আমার কোন ডাস্টবিনটা ৯০ শতাংশ ভরে গিয়েছে। তখন অটোমেটিকভাবে ট্রাক আসবে, তখন অটোসিস্টেমে অর্থাৎ কারো হাতের স্পর্শছাড়া অটোমেটিকভাবে ময়লা ট্রাকে নিয়ে যেতে পারবেন।

শহরকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌরবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে বলছেন বিশিষ্টজনরা।

 

 


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাই এর আগে নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে গেছেন।

আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে  বিএ পাস করেন। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

আব্দুল হাই সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের শৈলকুপার আসন। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়।

এছাড়া তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ও ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ পরপর চারবারে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আব্দুল হাই (এমপি)। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো ওই আসন থেকে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




এক বছরে চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। তবে দেশের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকই এখন সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬.৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারেন না। এমনকি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে কৃষক নিজে যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে তিনি তা-ই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কৃষক পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটে রয়েছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্য পেশাগুলোর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর চেয়ে অনেক কম। যারা শিল্প খাতে কাজ করেন তাদের খাবারের বিপদ সব পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম।

শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ১৬.৬৪ শতাংশ। সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা ২০.২৮ শতাংশ, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারের ২০.০৩ শতাংশ, অন্য পেশার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৯২ শতাংশ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ০.৮৩ শতাংশ।

বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের ডিসেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কৃষিকাজ ছেড়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন হতাশার কারণে তারা এ পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, আয়ের বৈষম্য, যান্ত্রিকীকরণের কারণে কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি পেশা ছাড়ছে মানুষ। অনেক কৃষকই এখন নিজের দেশে চাষ করার বদলে বিদেশে গিয়ে অন্যের জন্য ফসল ফলাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই যাচ্ছেন কৃষিকাজে।

শ্রমশক্তি জরিপ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, কৃষি পেশায় যুক্ত কর্মী তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষেও সংখ্যাটি ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

কৃষকদের নিজের পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে। বিবিএস এখন জিডিপির হিসাব প্রতি প্রান্তিকেই দিয়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬.০৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি এতটা কমেছে যে দেশের খাদ্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ এর আগের অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.০৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। ফলে খাদ্যপণ্যের আমদানিনির্ভরতা আরো বাড়ছে।

কৃষকদের এত বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা বিশেষ করে এখন যে উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য এসেছে সেগুলো উৎপাদন করে বিক্রি করে ফেলেন। তারা নিজের খাবারের জন্য যা রাখেন সেগুলো খুবই সামান্য, অপুষ্টিকর। কাজেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তাদেরই বেশি হবে। যেমনতারা দুধ বিক্রি করে ফেলেন, নিজের জন্য রাখেন না। দুধ পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্য রাখেন না। তারা দুধ বিক্রি করে খাদ্য, কাপড়সহ অন্য কিছু কেনেন।

খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কম। সে হিসাবে তারা মাছ-মাংস কিনে খেতে পারেন না। তারা যেসব শাক-সবজি খান সেগুলোও একেবারেই নিম্নমানের, সব বিক্রি করার পর যা থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুষ্টি নিয়ে তাদের শিক্ষা বা সচেতনতা কম। সে জন্যও তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি।

দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ নিজে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট হওয়া ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণসহ মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. মোরশেদ নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে শারজাহ থেকে আসা বিমানের যাত্রী ছিলেন তারা। আটক মো. শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ও মো. মোরশেদ হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ স্বর্ণ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শারজাহ থেকে আসা দুই ব্যক্তি বিমানবন্দরের কাস্টমস এরিয়া অতিক্রম করার সময় স্ক্যানিংয়ে তাদের লাগেজে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তাদের লাগেজ তল্লাশি করে দুটি ব্লেন্ডিং মেশিনের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকানো মোট ১ কেজি ১১৪ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পরে এই যাত্রীদেরকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা বলে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রমজানে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিল রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করবেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোশত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ছাড়কৃত মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দিনভর রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে কম মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হবে।

খলিলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব ভোক্তা দিবসে খলিলকে সেরা ব্যবসায়ী হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হবে। খলিলের এই উদ্যোগের ফলে মাংসের দাম কমতে পারে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি খলিলের মতো ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিও জোর দেন তিনি।

এসময় ব্যবসায়ী খলিল মিয়া বলেন, সারা বিশ্বেই মুসলিম দেশে দাম কমানো হয়। তাই তিনিও কমিয়েছেন। নিজেরা গরু উৎপাদন না করায় তাদের কেনা দাম অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়।

কম দামে মাংস বিক্রি করলে ক্রেতা বেশি হয় বলেও জানান আলোচিত এই মাংস ব্যবসায়ী। ২৫ রোজা পর্যন্ত ছাড়কৃত মূল্যে এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে জানিয়ে শাহজাহানপুরের আলোচিত এই মাংস বিক্রেতা বলেন, একজন ক্রেতা নির্ধারিত মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি মাংস কিনতে পারবেন।


আরও খবর



সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নেপালের কাঠমান্ডুতে চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদশ টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভূটানের বিপক্ষে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে চার দল অংশগ্রহণ করছে। রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে তিন ম্যাচ শেষে শীর্ষ দুই পয়েন্ট ধারী দল ফাইনাল খেলবে। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। নেপাল ও ভারতের পয়েন্ট তিন। ভুটান দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। নেপাল ও ভারতের মধ্যে এক দল জয়ী হলে ১০ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গী হবে ফাইনালে। ড্র হলে হবে অন্য হিসাব নিকাশ। ৮ মার্চ বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ আলফি আক্তারের গোলে ভারতের বিপক্ষে লিড নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত বাংলাদেশকে চেপে ধরে। ৫০ মিনিটে ভারতের একটি আক্রমণ পোস্টে লাগে। চার মিনিট পর বক্সের ডান প্রান্তের কোণা থেকে ভারতের ফরোয়ার্ড আনুষ্কা কুমারীর শট বাংলাদেশের জালে জড়ায়।

ম্যাচে সমতা আনার পর ভারত লিড নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা স্কিলে ভারতকে যথেষ্ট টেক্কা দিয়েছে। ৮০ মিনিটে প্রীতি ভারতীয় দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দুরন্ত গতিতে বক্সে প্রবেশ করে অসাধারণভাবে প্লেসিংয়ে গোল করেন। প্রীতির ব্যক্তিগত দক্ষতায় বাংলাদেশ ম্যাচে লিড পায়। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস জটলার মধ্যে আরেকটি গোল করলে বাংলাদেশ ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

গত মাসে সাফের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচে অনেক নাটকীয়তা হয়েছিল। নির্ধারিত সময় ১-১ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। টাইব্রেকারে দুই দলই ১১টি সমান গোল করেন। এরপর আকস্মিকভাবে লঙ্কান ম্যাচ কমিশনার টস করেন। এতে বাংলাদেশ হারলে আপত্তি করে। পরবর্তীতে দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।

ঐ ঘটনার পর বাংলাদেশ-ভারত আবার নারী ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছে। সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশ জেতায় খানিকটা মানসিক স্বস্তিতে রয়েছে। যদিও দুটি দল ভিন্ন পর্যায়ের।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪