আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ও বরখাস্ত এসআই লিয়াকত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া মামলা থেকে এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেওয়া হয়।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ২২ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় ১৫ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তিনশ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিভিন্ন ইস্যু ও খুঁটিনাটি বিষয় খোঁজার চেষ্টা করেছি। এতে এপিবিএনের তিন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এ তিন জনই প্রথমে সিনহার গাড়িটি আটকানোর পর ছেড়ে দেন। পরে পুলিশ পুনরায় গাড়িটি আটকালো এবং ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে গুলি করা হয়। এতে প্রমাণিত হয় সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

বিচারকের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়- সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যের বিবরণীতে জানা যায় চার রাউন্ড গুলি করে লিয়াকত আলী। এছাড়া লিয়াকতের জবানবন্দিতে ওসি প্রদীপ সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন বলেও জানা যায়। সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে লিয়াকত গুলি করার কথা স্বীকারও করেছেন। শেষ পর্যন্ত ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিনহার বামপাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়- একইভাবে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের জবানবন্দিতেও উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। জবানবন্দিতে নন্দ দুলাল বলেন- লিয়াকত আগে থেকে সিলভার কালারের গাড়ি থামাতে বলেন। পরে দুই হাত উঁচু করে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা অবস্থায় সিনহাকে চার রাউন্ড গুলি করেন লিয়াকত। প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে বলেন, অনেক কষ্টের পর তোকে পেয়েছি। এরপর বুকে বাম পাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান। ওসি প্রদীপের ভয়ে জব্দ তালিকা তৈরি করি। মূলত ওসি প্রদীপ যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি সেভাবে করেছি। এতে করে হত্যায় ঘটনাস্থলে লিয়াকত, নন্দ দুলালের সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

মামলার আসামিরা ছিলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এদিকে সিনহা হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে ছিল কড়া নিরাপত্তা। খুব সকালে আদালতে পৌঁছানোর পর প্রধান ফটক থেকে শুরু করে এজলাস পর্যন্ত যেতে কয়েক দফা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয়। ঢাকার বাইরে কোনও মামলার রায়ের জন্য এমন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ বিরল। এ ধরনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্প্রতি শুধুমাত্র ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের সময়েই দেখা গিয়েছে। বিচারক আসার বেশ আগেই এজলাসকক্ষ গমগম করছিল সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের উপস্থিতিতে। স্থানীয় সাংবাদিকদের বাইরেও ঢাকা থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা কক্সবাজার আদালতে এসে উপস্থিত হয়েছেন।

এদিকে গত বছর ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ দুই আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শেষ হয়। পরে বিচারক ৩১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।  হত্যাকাণ্ডের আঠারো মাস পর এ মামলার রায় হতে চলেছে। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চায় সিনহার পরিবার।

পরিবারের পাশাপাশি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে। আসামিপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই তারা খালাস পাবেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করেছিল।

সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া সিনহা লেটস গো নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য সেসময় প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। ওই কাজে তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপা দেবনাথ।

তবে কক্সবাজারের পুলিশ সে-সময় বলেছিল, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে তল্লাশিতে বাধা দেন। পরে পিস্তল বের করলে চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে র‌্যাব ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



অপহৃত দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়ার চেয়ারম্যান ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার সেই দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ।

এর আগে সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দুই প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠায় গত রোববার তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ দেলোয়ার হোসেনকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

লুৎফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং সিংড়ার সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করতে করতে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পাঁচ ঘণ্টা আগে তার ভাইসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে একই এলাকা থেকে একইভাবে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছু পরে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রার্থী দেলোয়ারকে গ্রামের বাড়ির (সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে যায় মাইক্রোবাসটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই দিন রাতে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মুজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন।

অপহরণের ওই ঘটনায় লুৎফুল হাবীবকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর



মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



রামুতে বাবা-ছেলেকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের রামুতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারারো অস্ত্র ও গুলিতে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইংগাকাটা ঘোনারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। গরু পাচারের বিরোধের জেরে এই হত্যা বলে দাবি করা হলেও পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

নিহতরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থোয়াইগ্যাকাটা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম (৫২) ও তার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩৩)।

পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোমবার রাতে একটি খোলা দোকানের সামনে ক্যারম খেলছিল বাবা-ছেলেসহ গ্রামের ক'জন। এমন সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি নিহতদের শরীরে ধারারো অস্ত্রের আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কিসের আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটিযেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংকের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকের নতুন পর্ষদের পক্ষ হতে কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহবান জানান এবং শ্রেনীকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহের জন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের নতুন পর্ষদ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য পুনব্যক্ত করেন। ঋণ আদায়ের ব্যাপারে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগের জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, খেলাপী ঋণ আদায়ের ব্যাপারে গ্রাহকদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাংকের উত্তরোত্তর উন্নতি করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সংকল্পবদ্ধ হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

শনিবার দুপুরে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাখা প্রধানদের নিয়ে মত বিনিময় সভা ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।

এসময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীসহ পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. রিয়াজুল করিম, এরশাদ মাহমুদ, প্রফেসর এ কে এম তফাজ্জল হক ও ড. রত্না দত্ত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো. আব্দুল মতিন।

এতে ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কৌশলগত কর্মপন্থা প্রণয়ন সহ সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।


আরও খবর