ঈদকে সামনে
রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আজও
ঘরমুখো মানুষের ঢ্ল। সরকারি ছুটির তৃতীয় দিন রবিবার ভোররাত থেকে এই ঘাটে যানবাহন ও
যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। সকাল থেকে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন।
একটি ফেরি ঘাটে ফিরলেই ঘরমুখো মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের
উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
তীব্র গরমে
ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ বাড়ছে। এই
নৌপথে ফেরিতে ভারী যানবাহন পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় হালকা যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি
শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি
নৌপথে দশটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিসি
শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ ১নং ফেরিঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল এবং বাকি ২, ৩ ও ৪ নং ঘাট
ফেরি ও যাত্রী পারাপারের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। ১নং ঘাটে মোটরবাইকের যাত্রীদের
উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। সকাল থেকে ফেরিতে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিএ
শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার রাতে
লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ করে দেওয়ার পর তা আবার রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এ রুটে ১৫৩টি
স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চ ও স্পিডবোটে বিপুলসংখ্যক যাত্রী পদ্মা পাড়ি
দিচ্ছে বলে জানান তিনি। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ
চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
ঈদ ব্যবস্থাপনায়
বিআইডব্লিউটিএ'র সহযোগী সংস্থা হিসেবে জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ,
এপিবিএন, নৌপরিবহন অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিসি, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,
আনসার ও ভিডিপি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক নিয়োজিত মেডিক্যাল টিম, সংশ্লিষ্ট
ইজারাদার এবং লঞ্চ মালিক সমিতি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।