আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

‘শিল্পাচার্য জয়নুলের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে’

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি শিল্পাঙ্গনে তার অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ মে) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। তার কর্মে প্রতিভাত হয়েছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ইউরোপীয় স্টাইলে চিত্রাঙ্কনের ওপর লেখাপড়া করলেও প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের অঙ্কনধারা তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। অতিমাত্রায় রীতি নির্ভরতার পরিবর্তে তিনি বাস্তবতার প্রতি আকৃষ্ট হন।

বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জে জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।  শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিমন্ত্রণ হোটেলের হল রুমে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো: ছাম্মি আহমেদ আজমীরের আয়োজন সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু'র সভাপতিত্বে ও এনটিভি'র জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না'র পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিলিভ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম রনি।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক ইসমাইল হোসেন, যমুনা প্রবাহ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মজিদ সরকার, শ্যামল বাংলার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি দিলীপ গৌর, আজকের সিরাজগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম, আরটিভি'র জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ইউসুফ দেওয়ান রাজু, সিরাজগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী, নাবিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতির জামিল হোসেন, আনন্দ টিভি জেলা প্রতিনিধি সাধন কুমার দাস, গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা পোস্ট এর জেলা প্রতিনিধি শুভ কুমার ঘোষ, দীপ্ত টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি সেরাজুল ইসলাম শিশির, বাংলাদেশ আলো মাকসুদা খাতুনসহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অতিথিরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরএলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিনের জন্ম তারিখ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রবিবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এলজিইডি দেশের সর্ববৃহৎ এবং স্বনামধন্য একটি প্রকৌশল সংস্থা, যা দেশব্যাপী গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এলজিইডির বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন ১৯৬৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি সনদেও তার জন্ম তারিখ একই উল্লেখ আছে।

সেখ মোহাম্মদ মহসিন ১৯৮৮ সালে পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডিতে যোগদান করেন, যা পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এসএসসি সনদ ও জন্ম তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি বিশেষ কুচক্রী মহল তার এসএসসি সনদের জন্ম তারিখ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে মনগড়া ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা খুবই দুরভিসন্ধিমূলক। এই অপপ্রচার একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান প্রধান প্রকৌশলীর সম্মানহানী এবং এলজিইডির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আমরা এই ভিত্তিহীন সংবাদের দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: এলজিইডি

আরও খবর



সন্তান ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে হেরে গেলে আনন্দে বুক ভরে যায়: ইবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, জীবনে দুইটা জায়গায় হেরে গেলেও আনন্দে বুক ভরে যায় তা হলো সন্তান ও নিজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। এই হারবার মধ্যেও রয়েছে এক ধরনের বিজয়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১ম পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সৃষ্টি ও মিলনের উচ্ছাস আছে আজকের এই মিলনমেলায়। তিনি উপস্থিত অ্যালামনাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারাই হচ্ছেন এই বিভাগের পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বাসেডর। আপনাদের কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে দেশ-বিদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয় আলোকিত হবে। পরে তিনি উপস্থিত অ্যালামনাইদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নীতি নৈতিকতায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আহবান জানান।


বিভাগের অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ ও বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. আ খ ম ওয়ালীউল্লাহ। এছাড়া প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভাগের সহস্রাধিক সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিভাগের উদ্যোগে অনুষদ ভবন থেকে আনন্দ র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আগে জাতীয় সংগীত, অ্যালামনাই সংগীত, বিভাগের ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

এসময় অ্যালামনাই শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে স্মৃতি বিজড়িত সেই শিক্ষার্থী জীবনে  মনে হচ্ছে ফিরে এসেছি। এই অনুভূতি ব্যক্ত করার মতো নয়। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র, জুনিয়র ভাই-বেই একসাথে হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আল হাদিস বিভাগের এ আয়োজন বারবার হোক এটাই চাওয়া।


আরও খবর



ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি দেওয়া ১৬০ বিদেশি নীতিজ্ঞান বিবর্জিত: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা)আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তারা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যারা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাদেরকে হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তারা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন যাদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সকলই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যারা মামলা দায়ের করেছেন তাদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।

মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছেআমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কিনা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচার ব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মাকসুদ কামাল বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হল কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশ প্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশ প্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হক গ্রুপের লভ্যাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা তমিজীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক। একইসঙ্গে অর্জিত লভ্যাংশ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন তমিজী হক।

আদম তমিজী হক বলেন, আমি আদম তমিজী হক। হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী। আমি আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা সকলের প্রতি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রত্যেকের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠান থেকে আমি ও আমার পরিবার কখনও কোন লভ্যাংশ গ্রহণ করি নাই, ভবিষ্যতেও করবে না। আমি ও আমার দ্বারা নির্দিষ্টকৃত আমার পরিবার প্রতিষ্ঠানের মালিক ও অভিভাবক মাত্র।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের দৈনিক কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার উপরে ন্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতির দায়িত্বও তাদের সকলের। আজ থেকে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর লভ্যাংশ হারে প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট পূর্ণ তিন মাস সময়ে যে সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা চাকুরিরত থাকবেন তাদের সকলের মধ্যে সমহারে মালিকের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে লভ্যাংশ প্রদান করা হবে।

পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত হক গ্রুপ এ নিয়মমাফিক চলবে বলেও জানান তমিজী হক।

নিউজ ট্যাগ: আদম তামিজী হক

আরও খবর
দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো ১৭৫০ টাকা

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩