ঠিক চার বছর আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে প্রথম অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরেন জামাল ভূঁইয়া। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিলেটের মাঠে সেবার লাওসের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালেও খেলে। সময়ের পরিক্রমায় লাল-সবুজ দল আবারও সিলেটে। তবে এবার টুর্নামেন্ট নয়, জামালের অধিনায়কত্বে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। সিলেটের মাঠে তাই দর্শকদের নিরাশ করতে চাইছেন না ৩১ বছর বয়সী তারকা। ভালো খেলা উপহার দিয়েই সবার মুখে হাসি ফোটাতে চাইছেন।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জামালকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। এমনিতে মালদ্বীপের কাছে প্রীতি ম্যাচ হেরে কিছুটা চাপে আছে তারা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে কাল মঙ্গলবার ইতিবাচক ফল করতে হবে। জামালও পরিস্থিতির দায় মেটাতে চাইছেন, ‘আমরা আগামী ম্যাচের জন্য নিজেদের তৈরি করছি। সামনের ম্যাচে আমাদের কী করণীয়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত ম্যাচের ফল নিয়ে অবশ্যই কিছুটা হতাশ। তবে এখন সামনের ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। সামনের ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। অবশ্যই আমরা জিততে চাই, কেননা এটা আমাদের হোম ম্যাচ।’
জয়ের কথা বললেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে আছে মঙ্গোলিয়া। জামাল অবশ্য এই কাগুজে বিষয়গুলো মাথায় আনতে নারাজ। তার মতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে জয় আসবেই, ‘আমরা আসলে র্যাঙ্কিংয়ের চিন্তা করে মাঠে নামি না। সেরাটা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে। প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং।মঙ্গোলিয়ার ম্যাচের অনেকগুলো ভিডিও দেখেছি। তাদের খেলার ধরণ, তাদের খেলোয়াড়দের পর্যালোচনা করেছি। এভাবেই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
করোনাকালে মাঠে দর্শক প্রবেশ ছিল না দীর্ঘদিন। সিলেটের ম্যাচ দিয়ে সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এমন দিনে দর্শকদের নিরাশ করতে চান না জামাল ভূঁইয়ারাও। তাই সিলেটে দর্শকদের ভালো ম্যাচ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জামালের, ‘আমি এই স্টেডিয়াম (সিলেট জেলা স্টেডিয়াম) সবসময় পছন্দ করি। মনে হয় সবসময় দর্শকরা খুব কাছে আছে। আমরা সব ফুটবলার চাই দর্শক মাঠে আসুক। আমরা ভালো খেলা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো, শুধু সিলেট নয়, সারা দেশই আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে ভালো ফুটবলের। সেটা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’