আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিলেটে শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন ফুটবলার

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট সদর উপজেলার শামাউরাকান্দিতে বালুবাহী ট্রাক চাপায় মো. তারেক আহমদ মোহন নামের এক ফুটবল খেলোয়াড়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে হাটখোলা ইউনিয়নের শামাউরাকান্দি এলাকায় বালুবাহী ট্রাক চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক মোহনের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার নলকট এলাকায়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসে মোহন। দেশে থাকাকালীন খুব ভালো ফুটবল খেলতো সে। প্রবাস থেকে এসেও সে ফুটবল খেলা ছাড়তে পারেনি। গতকালও একটি টুর্নাম্যান্টে অংশ নিয়েছিল সে। খেলাধুলার পাশাপাশি মাঝে মাঝে সে নিজের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতে বের হত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি তার বিয়েরও তারিখ ছিলো।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে সে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে শামাউরাকান্দি এলাকায় যায়। সেখানে একদিকে দ্রুতগতিতে চলছে বালুবাহী ট্রাক, অপরদিকে স্কুলের শিশুরা রাস্তা পার হচ্ছে। ঘটনার সময় একটি দ্রুতগামী বালুবাহি ট্রাক দেখে সে এগিয়ে গিয়ে শিশুদের রাস্তা পার করে দিতে যায়। আগে থেকে সিগন্যাল দিলেও একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাক ও ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গোজাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সার বোঝাই একটি কার্গোজাহাজ ডুবে গেছে। এতে কার্গোজাহাজের ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কার্গোজাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোজাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গোজাহাজটি ডুবে যায়। কার্গোজাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত নিখোঁজ হয়।

তিনি আরও জানান, এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোজাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার বোঝাই করে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, রূপসা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক তিনটি টিম নৌযান নিয়ে রূপসা নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ডুবে যাওয়া কার্গোজাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি।

রূপসা নৌ-পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম শেখ জানান, তারা ডুবে যাওয়া জাহাজটি শনাক্ত এবং নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।


আরও খবর



পাকিস্তানে বাস উল্টে নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নারীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। শুক্রবার (৩ মে) ভোরে দেশটির গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি কারাকোরাম হাইওয়েতে বাক নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের সম্ভাব্য সকল চিকিৎসা’ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা যেভাবে পরিণত হলো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবপ্রিয় বাঙালি, আর বাঙালির পরিচয়ের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙতি থেকে এবারই প্রথম প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার। আমরা তো তিমির বিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ।

২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ বা বাংলা বর্ষবরণ, যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাই এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এদিনের অন্যতম আকর্ষণ বর্ণিল সাজ আর আয়োজনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাই কদিন ধরেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ বিশালকায় চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা তৈরিতে জোর প্রস্তুতি চলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করতে চাইলেও অস্বীকৃতি জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর পরিবর্তে বরাবরই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী চারুকলা অনুষদে চলে ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইন। এবার তা শুরু হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। কিন্তু রমজানের কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি খুবই কম বলে জানান আয়োজকরা।

ইতিহাস

বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।

চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এই শোভাযাত্রা পুনরায় চারুকলার গেটে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ একটি উৎসব হিসেবে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে পালিত হয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তবে প্রথমে চারুকলায় হওয়া শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে এর নাম দেয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে হওয়া প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীসহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। এ শোভাযাত্রা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা এবং ধর্মের মানুষেরা অংশ নেয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফের সময়। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একটি সংস্কৃতিক বলয় তৈরির জন্য প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে পাখি, মাছ, ফুল, মুখোশ বানানোর কাজ। এই শোভাযাত্রা আরও একটি জায়গায় অনন্য। সেটি হলো এই আয়োজনের স্বকীয়তা। অর্থাৎ এই আয়োজন হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ব্রয়লারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ঈদের আরেক প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পোলাওয়ের চাল। রমজান মাসের শুরু থেকে ১-২ টাকা করে বেড়ে এখন খোলা চিনিগুড়া ১২৫ থেকে মানভেদে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চাল ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ওদিকে পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



বজ্রপাতে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে দুই, রাঙামাটিতে তিন এবং খাগড়াছড়িতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

রাঙামাটি: রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, অনেক দিন পর আজ সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে রূপাকারী ইউনিয়নে বাহারজান নামে একজন এবং সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামের আরেক নারী নিহত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

তিনি বলেন, এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়ার সময় বজ্রপাতে সাতজন আহত হয়েছেন।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, সকালে শহরের সিলেটি পাড়া থেকে নজিরকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর