আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সিলেটে নতুন পর্যটন স্পট বুজির বন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

সিলেটে নতুন করে সন্ধান মিলেছে দৃষ্টিনন্দন আরেকটি পর্যটন স্পটের। নাম বুজির বন! নিসর্গের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক অপরূপ বন। সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার একেবারে প্রান্তসীমায় এক নির্জন স্থানে তার অবস্থান। এ বনটি যেন নিসর্গের এক আদর্শ উদ্যান। বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে বুজির বন একটি সোয়াম্প বন। তিন নদীর মিলনস্থলে প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো বনটি আবহমানকাল থেকে এখনো টিকে আছে। করিচ ও কাঁপনা নদী চলে গেছে এ নদীর বুক চিরে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে পুড়াখাই নদীর একটি শাখা।

সিলেট-তামাবিল সড়ক ধরে হরিপুরের পরেই করিচ ব্রিজ। সে সেতু থেকে পশ্চিম দিকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই বনটির অবস্থান। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা আর দুর্গমতার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে হয়। বনের বুক চিরে চলে যাওয়া নদীপথে গেলে দেখা যায়, হিজল-করচ-জারুল-বরুন-শেওড়া-বুরি আর কদমের লম্বা লম্বা সারি। গাছগুলো একটি আরেকটিকে ঘিরে ধরেছে। শতবর্ষী একেকটি হিজলগাছ নিজের ডালপালা আর পাতা দিয়ে অনেক জায়গাজুড়ে অবস্থান করছে। প্রবল বর্ষায় সে যেন নবরূপে জেগে ওঠে। বনের বিচিত্র সব গাছ, জলচর-স্থলচর-উভচর প্রাণী আর মাছ শিকারীদের নিয়ে তার নিজের একান্ত ভুবন। শতাব্দীর পর শতাব্দী কিভাবে এটি যে পর্যটকদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে গেছে সে এক রহস্য। বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে বুজির বন একটি সোয়াম্প বন। পানিকে কেন্দ্র করে বনটির ইকোসিস্টেম তথা পুরো অস্তিত্ব নির্ভরশীল। সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার একেবারে প্রান্তসীমায় অনেকগুলো হাওরের মধ্যে এক নির্জন স্থানে এর অবস্থান।

বনের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যায়, মুর্তা, বেত, হোগলা আর শনের ঘন জঙ্গল। বড়গাছগুলোর নিচের এসব ঝোপঝাড় দেখলে মনে হতে পারে, ছোট গাছগুলোকে যেন এরা মায়ের মতো আদরের চাদরে ঢেকে রেখেছে। সন্ধ্যার আলো-আঁধারীতে এক একটি হিজল গাছকে মনে হয় গভীর ধ্যানে মগ্ন একেকজন দরবেশ। বনের পশ্চিম-উত্তর দিকে রয়েছে ইকড়ের বিশাল হাওর। দিগন্তের ওপারে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের হাতছানি মনকে আকুল না করে পারে না।

বুজির বন জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি বন। বিচিত্র প্রজাতির উদ্ভিদ, জলচর ও স্থলচর প্রাণীর এক সমৃদ্ধ আবাসস্থল। বনের মধ্যে দেখা মেলে উদবিড়াল, গেছো ইদুর, কাঠবিড়ালী, খেকশিয়ালসহ নানা প্রজাতির প্রাণী। অনেক মেছোবাঘও বনে বাস করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। চিল, ঈগল, ডাহুক, কানাবক, বালিহাস আর নানা প্রজাতির পাখির আশ্রয় এই বনে। বিশেষ করে, শীতকালে পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে মুখর থাকে এ বন। দেশীয় নানা প্রজাতির মাছে ভরপুর বনটি। স্থানীয় জেলেরা এ বনের মধ্যে নানা প্রকার ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করে।

এত আকর্ষণের পরও বন বিভাগের নথিপত্রে বনটির কোনো অস্তিত্ব নেই। অবশ্য ২০ একরের ঊর্ধ্বে জলমহালের একটি তালিকায় বুজির বিল নামে একটি স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায় যেটি জৈন্তাপুরের ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাচীনকালের কোনো এক সময়ে প্রকৃতি যেভাবে এটিকে গঠন করেছিল, আজো বনটি সেভাবে আছে। নিজের অফুরন্ত সম্পদ দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি মানুষের প্রয়োজন মিটিয়েছে, ভারসাম্য রক্ষা করেছে পরিবেশ ও প্রকৃতির। হেমু নামক গ্রামটির মানুষের কাছে বনটি সুপরিচিত হলেও বাইরের মানুষের কাছে এটি অজানা রয়ে গেছে।

নিউজ ট্যাগ: বুজির বন

আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন উর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতে নির্বাচনের আগে শোবিজ ভুবনের তারকারা দলে দলে রাজনীতির খাতায় নাম লেখান। দীর্ঘদিন ধরে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

এদের মধ্যে ভোটের মাঠে কেউ জেতেন কেউ আবার পরাজিত হন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতকে পথপ্রদর্শক বলেন কেউ কেউ। বিভিন্ন সময় বিনোদন জগতের তারকা এসেছেন রাজনীতিতে। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা, বৈজন্তিমালা, শিবাজি গণেশন, কমল হাসনেরা।

ভারতে নির্বাচনে পিছিয়ে নেই বলিউড ও টালিউড তারকারা। গত কয়েক বছর বাংলা সিনেমার সেরা সব তারকা নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এদের মধ্যে থেকে সাংসদ, বিধায়কও হয়েছেন কেউ কেউ।

আসছে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের মতো অভিনেত্রীরা। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও নেমেছেন রাজনীতির ময়দানে। এবার নয়া চমক। নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ভোটে দাঁড়ানোর কোনো প্রস্তাব কোনো দলের থেকে পেয়েছেন? অভিনেত্রী সহাস্যে জবাব দেন, হ্যাঁ, টিকিট পেয়েছেন। তবে কোন দল, তা তিনি প্রকাশ করেননি।

এ প্রসঙ্গে উর্বশী বলেন, আমি টিকিট পেয়ে গিয়েছি। এবার আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি রাজনীতিতে নামব কি না। আমি এতদিন আমার ভক্তদের জন্য সব করেছি। এবারও তারাই বলুন, আমার কী করা উচিত। তবে রাজনীতিতে যোগ দিলে সৎ রাজনীতিক হব।

উর্বশী প্রায়-ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনায়-সমালোচনায় থাকেন। কখনো তিন কোটি টাকার সোনার কেক কেটে, কখনো আবার ঋষভ পান্থের সঙ্গে প্রেম গল্পের কারণে। বর্তমানে তার হাতে সিনেমার কাজ নেই। কিন্তু সব সময়ই আলোচনায় সবর থাকেন।

নিউজ ট্যাগ: উর্বশী রাউতেলা

আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর