এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ৬টি আসন থেকে অংশ নেওয়া ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জনই জামানত হারিয়েছেন। জামানাত হারানোর মধ্যে রয়েছেন, সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান এবং সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান সমশের মুবিন চৌধুরী।
গত রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোকাব্বির খান মাত্র ১ হাজার ৯২২ ভোট পেয়েছেন। আর শমসের মুবিন পেয়েছেন (সোনালী আঁশ) ১০ হাজার ৯৩৬। এ দুজন ছাড়াও সিলেটের ৬ টি আসনে ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জনই জামানত হারিয়েছেন।
জামানত হারানো সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (লাঙল প্রতীক) ইয়াহিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৭৪ ভোট। অবশ্য অনিয়মের অভিযোগের কথা জানিয়ে নির্বাচনের দিনই দুই প্রার্থী মোকাব্বির ও ইয়াহইয়া ভোট বর্জন করেন। পরের দিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করে পুনরায় দাবি জানান এই দুই প্রার্থী।
আগেরবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সমর্থন নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন মোকাব্বির খান। তবে এবার উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জামানত খুঁইয়েছেন আলোচিত এই প্রার্থী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে বর্তমান এমপি মোকাব্বির খানসহ জামানত হারিয়েছেন ৫ সংসদ সদস্য প্রার্থী। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী- সংশ্লিষ্ট আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ আসনে স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ প্রার্থী।
জামানত হারিয়েছেন মোকাব্বির খান, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল মল্লিক, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াহইয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসাইন।
সিলেট-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এখানে জামানত হারিয়েছেন বাকি চার প্রার্থী- ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আবদুল বাছিত (ছড়ি)।