আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সিলেট গ্যাস ফিল্ডে উত্তোলন বাড়লো ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭নং কূপ থেকে ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে আরও ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে। এখন থেকে এ গ্যাস ফিল্ডে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বেশি উত্তোলন হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার রাতে নিজের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে তিনি আরো জানান, শনিবার (৭ মে) রাত পৌনে ৯টা থেকে কৈলাশটিলার এ কূপ থেকে সফলভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।

তিনি লিখেন, ঈদের আগে গ্যাস নিয়ে সু-সংবাদ দিয়েছিলাম আপনাদের। জাতীয় গ্রিডে নতুন করে গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা ছিল এ মাসের ১০ তারিখে। আমরা সময়ের আগেই দ্রুত কাজ শেষ করেছি। শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলা-৭নং কূপ বাপেক্সের বিজয়-১১ রিগ দ্বারা সফলভাবে ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে দৈনিক ১৯ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আমাদের বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৬০০ এমএমসিএফডি। আমাদের নিজস্ব গ্যাস ফিল্ড থেকে ২৩০০ এমএমসিএফডি উৎপাদন করা হচ্ছে এবং বাকিটা এলএনজি আমদানি করে ৮৫০ এমএমসিএফডি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ও গ্যাসের উৎপাদন ছিল মাত্র ১৭৪৪ এমএমসিএফডি। সেখান থেকে আমরা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েছিলাম ২৭৫০ এমএমসিএফডি পর্যন্ত। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা এ সক্ষমতায় গ্যাস উৎপাদন করেছি। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, আমাদের নিজস্ব গ্যাসের রির্জাভ কমতে শুরু করেছে।

নসরুল হামিদ আরো জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার, বিদ্যমান গ্যাসকূপগুলোতে ডিপ ড্রিলিং এর মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীতে গ্যাস নিয়ে আরো সু-খবর দিতে পারবো বলে আশা করি।

এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৭ মে) রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলা-৭নং কূপ হতে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল)-কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে এখন পর্যন্ত ৭টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে চলমান দু’টি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর। এর আগের বছর ২০১৩ মালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কূপটির খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


আরও খবর



শাহবাগ থানার ভেতরে পরিত্যক্ত গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ডাম্পিং স্টেশনে পরিত্যক্ত গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাম্পিং স্টেশনের পেছন সাইডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তিনটি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।


আরও খবর



নায়িকা বানানোর টোপ দিয়ে অঙ্কিতাকে কুপ্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

একতা কাপুরের পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইতিমধ্যেই গ্ল্যামার দুনিয়ায় নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকেও কাস্টিং কাউচের নোংরামি’র শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

হাটারফ্লাই নামের এক সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অঙ্কিতা জানান, এক দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা হওয়ার অফার তার কাছে এসেছিল। সিনেমার জন্য অডিশন দেওয়ার পর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার পর মিটিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো চুক্তিপত্র সই করার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী। এমনকি মাকে ফোন করে এই সুখবরও দিয়েছিলেন তিনি। পরে মনে আনন্দ নিয়েই প্রযোজনা সংস্থার বলা জায়গায় গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেখানে একটি ঘরে তাকে ডাকা হয়। কোর্ডিনেটরকে বলা হয় বাইরে দাঁড়াতে।

তোমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে’, প্রথমে এই কথাই বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে। বিপদ আঁচ করতে পারছিলেন অভিনেত্রী। তাও সরাসরি প্রশ্নকর্তার উদ্দেশ্য বুঝতে চাইছিলেন। কী ধরনের কম্প্রোমাইজের কথা বলা হচ্ছে, জানতে চান নায়িকা। তাতেই বলা হয়, তোমায় প্রযোজকের সঙ্গে শুতে হবে।’

এই কথা শুনে চমকে যান অঙ্কিতা। কিন্তু সাহস হারাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্য এই ধরনের নোংরামি’ তিনি করবেন না। সেই অভিজ্ঞতার জন্যই ছোটপর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রিশতা’ সিরিয়ালের সেটেই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্ত সিনেমায় ব্রেক পাওয়ার কিছুদিন পরই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। পরে ভিকি জৈনকে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। তার সঙ্গেই সম্প্রতি বিগ বস’ শোয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শোয়ে জয়ী হন মুনওয়ার ফারুকি। অঙ্কিতা ছিলেন তৃতীয় রানার আপ।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ২৫ মার্চ থেকে তার সাজা স্থগিত কার্যকর হয়। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।

এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে। সে সময় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মত দেওয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।

হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। এরপর দেশে করোনা শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন এবং প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতিতে আসে চরম ধাক্কা। যার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমরা এই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আমাদের সরকারি কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতাদের বলেছি, ইফতার পার্টি না করে নিম্নআয়ের মানুষকে সহযোগিতা করতে। ইফতার পার্টি করে খাওয়া বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। আমরা সেটাই করছি।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্বউদ্যোগে মানুষের কল্যাণ করে যাচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত করাই সব থেকে বড় কথা। এই পুরস্কার শুধু পুরস্কার নয়, আরও অনেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হবে, সেটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন আরও লোকদের বের করে পুরস্কৃত করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা আগাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীণতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানাই। আর যেনো এরকম না হয়। এখনও ফিলিস্তিতে গণহত্যা চলছে, আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এই গণহত্যা বন্ধ হোক। আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন আমরা জানি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করায় অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাবার কাছ থেকে তার স্বপ্ন জনতাম বলে সে আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশের সে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে ভাগ্য পরিবর্তনে। এখানে কেউ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। সবাই খাদ্য, চিকিৎসা পাবে, সেই ব্যবস্থা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, আমরা বিজয়ের কথা বলতে পারিনি। মু্ক্তিযোদ্ধা নিজের পরিচয় দিতে পারেনি। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। একদিকে খুনি, আরেকদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজত্ব ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন, একটি স্বাধীন জাতি। যে জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ ভুখণ্ড পাবে। তিনি এজন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি অল্প সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। এটা এত সহজ ছিল না। কিন্তু জাতির পিতা শেখ মুজিবের মতো নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। তিনি মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশকে স্বল্পোন্নোত দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘুনে ধরা সমাজ তিনি ঢেলে সাজাবেন। তাই করেছেন। কিন্তু সেই সময়ই আসল আঘাত। স্বপরিবারে তাকে জীবন দিতে হলো। দুর্ভাগ্য আমাদের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিতে পুরস্কার পাওয়া মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান প্রতিক্রিয়া জানান।

এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন, সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজনকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজসেবা/জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন পুরস্কার পেয়েছেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর



যৌন নিপীড়ন: জবি শিক্ষক সাহেদ বহিষ্কার, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে অসহযোগিতা করায় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাব।

তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের ছাত্রী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের জানানো হয়েছে।


আরও খবর