জনপ্রিয় নাট্যকার
ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাসকে নিয়ে স্ত্রী শাহনাজ খুশি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার
স্বামীকে নিয়ে এক লম্বা স্ট্যাটাস দেন খুশি। এদিন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন নন্দিত এ নির্মাতা।
স্বামীর শিক্ষকতার
খবরে ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে খুশি লিখেছেন— ‘ভদ্রলোক আজ কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান
করল। অভিনন্দন বৃন্দাবন।
অনেককাল পাশে আছি, কিছু চাওয়া নাই তার। মানুষকে সম্মান দেয় নির্বিকারভাবে, সেটারও বিনিময়েও কিছু চাই না! যখন তার নাটকে হাজার হাজার সিডি বিক্রি হতো, তখন এক শুভাকাঙক্ষী বলেছিল— বৃন্দাবনের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে, নিজে প্রডাকশন করতে বল। মাথার ওপর বিরাট লোনের বোঝা নিয়ে আমিও বলেছিলাম সে কথা! বলেছিল— ‘আমি কি তা হলে আর নাট্যকার থাকলাম না খুশি, সঙ্গে ব্যবসায়ীটাও যে যুক্ত হবে।
বললাম, দেখ,
বিরাট ঋণ আমাদের, তা ছাড়া এমন করেই করছে তো সবাই? বলে সবাই যা যা পারে আমি তো পারি
না খুশি। যেখানে একটু অর্থনৈতিক সুযোগ আছে, শতবার বলেও তাকে একটু উদ্যোগী করা যায়নি,
যাবেও না আর।’
অভিনেত্রী আরও
লেখেন, ‘কত মানুষ অর্থলগ্নি করতে চেয়েছে নাটক, সিনেমার জন্য! প্রত্যেককে নেগেটিভটাই
আগে বলেছে। এখানে লাভসহ অর্থ ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে! টাকা হাতে মানুষ
সরে গেছে অন্যত্র।
পুরনো স্বপ্ন
ঝাড়পোঁচ করতে করতে মধ্যবয়সে দাঁড়িয়েছি। জীবনের চলার দাম বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে।
বাচ্চা প্লে গ্রুপ থেকে ইউনিভার্সিটির ফোর্থ ইয়ার। কিন্তু একই আছে তার উদ্যোগহীনতা
এবং বিলাসিতার প্রতি অনাগ্রহ।’
আবেগ প্রকাশ করে খুশি আরও লেখেন, ‘তোমার এ তুমিই আমাদের কাছে অহংকার, ভালোবাসা। তোমার এই চাতুরীহীন, নির্মোহ উদ্যোগহীনতা, ছেলেদের নিজেকে পরিমাপ করতে শিখিয়েছে।
আমি জেনে গেছি,
এ জীবনে আমার কতটুকু পাওয়া হবে! তোমার ছেলেরাও তোমার এ সততা আর ভোলাপন নিয়ে শিশুর মতো
খুশি থাকে! আমরা রোজ সুন্দরের স্বপ্ন দেখব।
পূরণ হবে না,
আবার পরের দিন কিছুটা বিয়োগ করে ভাবব! সেটাও না হলে স্বপ্ন বদলে নেব, তুমি ভেব না বৃন্দাবন,
তুমি আছ, এর চেয়ে বড় সুন্দর আমাদের কাছে আর কিছু নেই।’