আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষায় মেগা বাজেটের প্রত্যাশা বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা পরবর্তীকালের বাজেটে শিক্ষাখাতে মেগা বরাদ্দের প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ, সরকার যেভাবে শিক্ষায় পরিবর্তনের কথা ভাবছে তাতে এ খাতে মেগা বরাদ্দ দিতে হবে। সেজন্য মোট বাজেটের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এ খাতে বরাদ্দ জিডিপির ৪ শতাংশের বেশি হলেও ২০ বছর ধরে আমাদের তা অর্ধেকেরও তলানিতে রয়ে গেছে। বরাদ্দ ৪ শতাংশ ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তারা।

করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাখাত। শিক্ষা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় যেমন ঘাটতি রয়েছে, তেমনি চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দও ছিল গতানুগতিক। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ২ দশমিক ০৯ শতাংশ। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও জিডিপির হিসাবে তা কম ছিল।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের চলমান উন্নয়নকে টেকসই করতে শিক্ষাখাতে উল্লেখযোগ্য হারে বাজেট বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আগামী ৫ জুন বসছে বাজেট অধিবেশন। অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করবেন ৯ জুন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. তারিক আহসান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যে ধরনের পরিবর্তনের কথা আমরা ভাবছি তার জন্য আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে মেগা বরাদ্দ দিতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষায় বাজেট বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে এ খাতে আমাদের বাজেট জিডিপির দুই থেকে আড়াই শতাংশ হয়ে থাকে, সেটি দ্বিগুণ করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত স্থানগুলোতে আমাদের পরিবর্তন আনা বেশি দরকার। তার মধ্যে শিক্ষকদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা, শিখন ম্যাটেরিয়াল, মনিটরিং সুপারভিশনে পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন বেশি জরুরি। শুধু অবকাঠামো ও সংখ্যা দিয়ে পরিমাণ করা যাবে না। এসব বিষয়ে পরিবর্তন না এলে শিক্ষায় পরিবর্তন আসবে না। করোনার মতো যেকোনো মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যেন শিক্ষাব্যবস্থা চলমান রাখা সম্ভব হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। ভারতে শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫-৬ শতাংশ, পাকিস্তানে প্রায় ৪ শতাংশ আর আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমরা শিক্ষাকে পরিমাণগতভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। গুণগতভাবে দেখতে হলে সেভাবে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন, তা দেওয়া হয়নি। সে কারণে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে শিক্ষায় বরাদ্দে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের এখন এটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ দিতে হবে। উন্নত দেশগুলো শিক্ষকদের যে হারে সুবিধা ও সম্মান দিচ্ছে আমাদেরও সেদিকে অগ্রসর হতে হবে। তবে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো সম্ভব হবে।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাব্যবস্থাপনা- এই চারটিতে যদি আমরা যথাযথ বিনিয়োগ না করি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। শুধু বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়েই দায়িত্ব শেষ করলে হবে না, শিক্ষায় সুশাসনও নিশ্চিত করতে হবে।  শিক্ষাখাতে আমাদের বরাদ্দ পুরো দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, বিশ্বের মধ্যেও তলানিতে। আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষাকে এবার একদম পূর্ণাঙ্গ একটি সেক্টর হিসেবে দেখা হবে।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির বলেন, এবার শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির ৪ শতাংশ হওয়া উচিত। গত ২০ বছর ধরে সেটি ২ শতাংশের বেশি যায় না। এটি বাড়ালে দেশে যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে তা সামাল দিতে শিক্ষার উপকরণগুলোতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। শিক্ষাখাতে মূল বাজেটের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষায় সরকারের ভর্তুকি রয়েছে, সেটি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। গুণগত শিক্ষার জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত কমাতে হবে। বর্তমানে এ হার যে পরিমাণে রয়েছে তাতে শিক্ষার মান বাড়ানো অসম্ভব। এখনও সব সুবিধা শহরকেন্দ্রিক রয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে মফস্বলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান এই শিক্ষাবিদ।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে দেখা করবেন যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এক ত্রাণের বহর ঘিরে ভিড় করলে সেখানে ১১২ জন হত্যা করা হয় এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রাশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়।

গাজা সাব অফিসে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে শনিবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শিবিরে ১১ জন মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এই হামলাকে জঘন্য’ বলে নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সেখানে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একটা সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় একটা দুর্ভিক্ষ অতি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খুবই সামান্য সহায়তা যাচ্ছে এবং সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষের ভাগ্যে খুব সামান্যই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি জুটছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে বন্দি করে নেওয়ার পর গাজায় এক তীব্র মাত্রার আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। এর বাইরেও এখনো প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ এবং ৭০ হাজারের ওপর আহত হয়েছে।


আরও খবর



কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যু : রিটের শুনানি আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত কয়েক মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হতে পারে আজ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

রিটকারীদের আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি গত ৩ মার্চ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৩ মার্চ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

৩ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই রিট আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: আদালত বিএনপি

আরও খবর



ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ এবং কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ছাড়াও তিনটি পৌরসভার সাধারণ ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, সাতটি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে ইমেজ সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর।

এদিকে, কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ টিম রয়েছে। এ ছাড়া নিয়োজিত রয়েছে র‌্যাবের ২৭টি টিম এবং ১২ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২২ জনের ফোর্স অন্য স্থানীয় নির্বাচনের কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ জনের ফোর্স। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ সদস্য। ময়মনসিংহ সিটির ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ১৭টি টিম এবং সাত প্লাটুন বিজিবি রয়েছে।


আরও খবর



চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। এই চুক্তিকে মালদ্বীপের ভারতীয় বলয় থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সেনাদের দ্বীপপুঞ্জটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির সঙ্গে মালের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

মালদ্বীপের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের দ্বীপরাষ্ট্রটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তারা।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও সামরিক সহায়তা পেতে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর ‍করেছে মালদ্বীপ।

জানা গেছে, ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও চীনের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল মালদ্বীপের।

কিন্তু গত বছরের নির্বাচনে ইন্ডিয়া আউট স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসেন চীনপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে।

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে ভারত।ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের সেনাদলকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে। কারণ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মালদ্বীপকে তার সামুদ্রিক সীমা পর্যবেক্ষণে ভারত তিনটি অনুসন্ধান বিমান দিয়েছিল। সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে ভারত। আর সেসব সেনাকে আগামী ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিমানগুলো পরিচালনায় সামরিক কর্মীদের পরিবর্তে বেসামরিক কর্মীদের কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশা করছে ভারত। গত সপ্তাহে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরের ভারতীয় লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের মিনিকয় থেকে অপারেশনাল নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

গত মাসে চীনের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে মালদ্বীপে নোঙরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের গিয়ে চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি ও কৃষি সম্পর্কিত কয়েকটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাসহ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারত।


আরও খবর



রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে দফায় দফায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি রাশিয়ার জ্বালানি খাতে ইউক্রেনের চালানো সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ। বুধবারের (১৩ মার্চ) এ হামলায় তেল কোম্পানি রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এতে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় তেলের মূল্য দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টায় এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের দিন মঙ্গলবার নিজনি নভগোরোদে রাশিয়ার বহুজাতিক তেল কোম্পানি লুকোয়েলের একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় ড্রোন। এতে তেল শোধনাগারটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো বুধবার রোস্তভ ও রাইয়াজান অঞ্চলের তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালিয়েছে। মস্কো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রাইয়াজানে এক ড্রোনের হামলায় রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এটি রাশিয়ার সপ্তম বৃহত্তম তেল শোধনাগার।

রাইয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভের মালকভ জানিয়েছেন, আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে হামলায় কয়েক জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ নাগরিক জানিয়েছেন, হামলার পর তেল শোধনাগারটি তাদের দুটি তেল শোধন ইউনিট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রোজনেফতের তরফ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ জানান, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটেনি, কিন্তু হামলার পর নভোশাখটিনস্ক শোধনাগার উত্পাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে শোধনাগারটিতে উত্পাদন ফের শুরু হয় বলে জানা গেছে।

কিয়েভের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থা ড্রোন হামলাগুলো পরিচালনা করেছে। বুধবার প্রকাশিত মন্তব্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টায় কিয়েভ এসব হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পো বলেছেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ইউরোপের প্রতিরক্ষায় আরো ব্যয় এবং সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়ে বুধবার তিনি একথা বলেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অর্পো বলেন, রাশিয়া স্পষ্টতই পশ্চিমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউরোপের জন্য একটি স্থায়ী ও অপরিহার্য সামরিক হুমকি হয়ে উঠছে দেশটি। আমরা সংঘবদ্ধ হতে না পারলে আগামী বছরগুলো বিপদসঙ্কুল হবে এবং হামলার হুমকি ঘনিয়ে আসবে।’

রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অর্পো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং বলেন, ইইউকে নিজেদের প্রতিরক্ষার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাশিয়া অপরাজেয় কোনো দেশ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের অন্তর্ভুক্তি অনর্থক একটি পদক্ষেপ’। ফিনল্যান্ড এ জোটে যোগ দেওয়ার পর রাশিয়া ফিনিশ সীমান্তে সেনা এবং ধ্বংসাত্মক সব ব্যবস্থা মোতায়েন করবে।

পশ্চিমাদেরকে হুমকি দিয়ে এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, কারিগরিভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় তাহলে মস্কো এ পদক্ষেপকে চলমান সংঘাতে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে গণ্য করবে।


আরও খবর