আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ডিভাইস কোনটি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষাজীবনে কম্পিউটার এখন অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বহন করার সুযোগ না থাকায় অনেকে ল্যাপটপ কিনে থাকে। এখানেও দুটি ধরন রয়েছে। তাই ল্যাপটপ না ক্রোমবুক কোনটি কেনা ভালো হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগে। ক্রোমবুক মাত্র এক দশক ধরে ব্যবহূত হচ্ছে। ফলে অনেক অভিভাবকই ক্রোমবুক সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞাত নন। এমনকি ক্রোমবুককে অনেকে ল্যাপটপের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ নাকি থিন ও লাইট ল্যাপটপ বা ক্রোমবুক কোনটা সেরা তা নির্ধারণের জন্য প্রথমে দুটি ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরাডার বহু বছর ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্রোমবুকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য পর্যালোচনা করে আসছে। ক্রোমবুক ও উইন্ডোজ ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য টেকরাডারের নির্দেশনাগুলো সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশারদরাও। এগুলো জানা থাকলে সহজেই সেরা ডিভাইসটি বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। ল্যাপটপ সম্পর্কে সবারই জানা। সুতরাং শুরুতেই জানতে হবে ক্রোমবুক কী। ল্যাপটপ থেকে এটি কীভাবে আলাদা।

ক্রোমবুক মূলত ল্যাপটপের ছোট ভার্সন। তবে এর অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বা ম্যাকওএসের মতো নয়। এটি লিনাক্সভিত্তিক ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমে চলে। তবে কিছু মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করা যাবে। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ বা ম্যাকবুক ল্যাপটপের মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে না। ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে গুগল ক্রোম ব্যবহার করে নানা ধরনের কাজ করে, যেখানে অধিকাংশ অ্যাপ ও ডাটা ডিভাইসে নয়, ক্লাউডে জমা থাকে। এটি সাধারণত ১০ থেকে ১৪ ইঞ্চির মধ্যে হয়। সবচেয়ে বড় ক্রোমবুকও ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চির ল্যাপটপের চেয়ে ছোট।

ক্রোমবুকে একটি লাইটওয়েট অপারেটিং সিস্টেম থাকে, যা মূলত ক্রোম ব্রাউজারনির্ভর। অর্থাৎ ক্রোম ব্রাউজার দিয়ে ল্যাপটপে যেসব সেবা পাওয়া যায় ক্রোমবুকেও সেসব সুবিধা রয়েছে। তার মানে এই নয়, ক্রোমবুক ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতেই হবে। অপারেটিং সিস্টেমটি ক্রোম ওয়েব স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে ওয়ার্ড প্রসেসর ও স্প্রেডশিট থেকে দ্রুত ফটো এডিটিং এবং হালকা গেমিং পর্যন্ত সব বেসিক কাজ করা যায়। এসব অ্যাপের মধ্যে অনেকগুলোই ক্রোমবুক ইন্টারনেটে যুক্ত না থাকলেও কাজ করে।

ল্যাপটপের সঙ্গে ক্রোমবুকের পার্থক্য: ক্রোমবুক ও ল্যাপটপের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, ক্রোমবুকে র‍্যাম অনেক কম হয়। বেশির ভাগ ক্রোমবুকে সর্বোচ্চ ৮ জিবি র‍্যাম দেয়া হয়। অন্যদিকে একটি ভালো ল্যাপটপে ১৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম দেয়া হয়। ল্যাপটপের তুলনায় ক্রোমবুকের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক কম থাকে। ৬৪ জিবি পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম স্টোরেজ ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়। অটোমেটিক্যালি যেকোনো ফাইল গুগল ড্রাইভে সেভ হয়। লিমিটেড স্টোরেজ অপশন থাকে। এছাড়া এর প্রসেসর অনেক দুর্বল হয়। ফুল এইচডি ডিসপ্লে পাওয়া গেলেও ল্যাপটপের তুলনায় কোয়ালিটি তেমন ভালো হয় না। কি-বোর্ডের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

বাহ্যিক দৃষ্টিতে ক্রোমবুক ও ল্যাপটপ দেখতে একই রকম। প্রযুক্তিগতভাবে ক্রোমবুকও একটি ল্যাপটপের মতোই। শুধু অপারেটিং সিস্টেমের কারণেই ভিন্ন। উভয় ডিভাইসেই একটি কি-বোর্ড, একটি ক্যামেরা, একটি বিল্ট-ইন স্ক্রিন ও ট্র্যাকপ্যাড আছে। ল্যাপটপের মতো ক্রোমবুকও ফোল্ডেবল। ক্রোমবুক ও ল্যাপটপের মূল পার্থক্য অভ্যন্তরীণভাবে। ল্যাপটপে ইন্টেল বা এএমডি কোম্পানির শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ল্যাপটপে থাকে ইন্টিগ্রেটেড বা ডিস্ক্রিট গ্রাফিকস কার্ড। ক্রোমবুক থেকে আলাদা করার জন্য এটি অন্যতম ফিচার। অন্যদিকে, ক্রোমবুকে সাধারণত নিম্নমানের চিপ ও গ্রাফিকস কার্ড ব্যবহার করা হয়। যদিও কয়েকটি প্রিমিয়াম ক্রোমবুক ইন্টেল কোর চিপ ব্যবহার শুরু করেছে। তবে ক্রোমবুকের অপারেটিং সিস্টেম লাইট-ওয়েট হওয়ায় এটি চালানোর জন্য শক্তিশালী চিপের দরকার হয় না। এছাড়া কম ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ ব্যবহার করায় ক্রোমবুকের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ল্যাপটপ অনেক বেশি শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১, ম্যাকওএস ও ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের সাহায্যে পরিচালিত হয়। সেরা উইন্ডোজ ল্যাপটপ, ম্যাকবুক ও ম্যাক ল্যাপটপের জন্য সাধারণত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিপিইউ, জিপিইউ ও ফার্স্ট মেমোরির প্রয়োজন হয়। এর ফলে এ ডিভাইসগুলোর উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্য বেশি হয়। এ ডিভাইসের সুবিধা হলো শিক্ষার্থীরা একই কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি টার্ম পেপার লিখতে পারে এবং কাজ শেষে যখন বিরতির প্রয়োজন হয় তখন গেমও খেলতে পারে। উইন্ডোজ ল্যাপটপে কমপক্ষে ১২৮ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ১/২ টেরাবাইট লোকাল স্টোরেজ থাকে। ল্যাপটপের অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইলগুলো এসব স্টোরেজে জমা হয়। আর ক্রোমবুকে তুলনামূলক অত্যন্ত কম স্টোরেজ থাকে। ক্রোমবুকে কখনো ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজও দেখা যায়। কেননা ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমে চালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ডাটা ক্লাউডে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ক্রোমবুক নাকি ল্যাপটপ; স্কুল ওয়ার্কের জন্য কোনটা ভালো: স্কুলের কাজের জন্য ক্রোমবুককে এগিয়ে রাখতে হবে। কেননা অনলাইন ক্লাস, ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং, ওয়েব মিটিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য ক্রোমবুক একটি আদর্শ ডিভাইস। স্টোরেজ কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া বাড়তি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রাখার জন্য এসডি কার্ড কিংবা ইউএসবি ড্রাইভও ব্যবহার করা সম্ভব। শিক্ষার্থীরা গুগল ডকুমেন্টস ফিচার ব্যবহার করে তাদের হোমওয়ার্ক করতে পারে, যা সরাসরি তাদের শিক্ষক বা অভিভাবকদের কাছে শেয়ার করা যায়। হোমওয়ার্ক প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয় না। মাইক্রোসফট অফিস সুটটি অনলাইনেও পাওয়া যায়। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারে। এছাড়া ক্রোমবুক কিছুটা মজবুত বডির হয়, যা খুব সহজে ভাঙে না। ভাইরাসযুক্ত প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়ে থাকলে সহজেই মুছে ফেলে পুনরায় সেট করা যায়।

আরেকটি বিষয় হলো এ ডিভাইসগুলোর দাম। ক্রোমবুকের দাম শুরু হয় ১০-১২ হাজার টাকা থেকে, যেখানে ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে গেলে ৪০-৫০ হাজার টাকা গুনতে হয়। ক্রোমবুকের ফ্লেক্সিবিলিটি অনেক বেশি, প্লাস্টিকের কেসিং হওয়ায় ওজনও কম হয়। অধিকাংশ ক্রোমবুকের ওজন এক কেজিরও কম, এমনকি ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে কেউ যদি প্রোগ্রামিং, কোডিং, হাই লেভেল ফটো এডিটিং করতে চায় সেক্ষেত্রে ক্রোমবুক ভালো ডিভাইস নয়। যেহেতু এর প্রসেসর নিম্নমানের এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটিও অনেক কম।

কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন: সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পরীক্ষামূলকভাবে একটি ক্রোমবুক ব্যবহার করে দেখা। কয়েকদিনের জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটারে শুধু গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে দেখা যায়। একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় সব ফিচার যথাযথভাবে পাওয়া যাচ্ছে কিনা, সেটা বিবেচনা করতে হবে। শুধু ক্রোম এক্সটেনশন ও গুগল ডক্সের মতো অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।: যদিও উইন্ডোজ ল্যাপটপে পরিপূর্ণ কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, তবে ক্রোমবুকের ক্রয়মূল্য কম। একজন শিক্ষার্থীর শ্রেণীকক্ষে যা প্রয়োজন ঠিক তা ক্রোমবুকে পাওয়া যায়। সুতরাং প্রয়োজন ও আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কোন ডিভাইসটি কিনলে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করা যাবে সেটি ব্যবহারকারীকেই নির্ধারণ করতে হবে।


আরও খবর



সমালোচনার পর ফায়ার সার্ভিস বললো, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়নি’

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারের আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কোনো টোল দিতে হয়নি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। টোল দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও এটিকে গুজব বলেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঘটনার দিন টোল সংক্রান্ত কোনো বিলম্ব হয়নি বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। এছাড়া টোল দেওয়া সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিলম্বও আমাদের হয়নি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওইদিন প্রাইভেটকারে লাগা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে যেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার যে খবরটি ছড়িয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গুজব। এছাড়া টোল সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়নি ফায়ার সার্ভিসের। প্রাইভেটকারটি তেলে চালিত বলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুড়ে যায়।

টোল দেওয়ার সংবাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আগুন নির্বাপণে অংশ নেওয়া ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি, তাদের কোন ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার সংবাদটি মিথ্যা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওইদিন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়েছে। টোল দিতে গিয়ে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছে, এ কারণে যে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও খবর ছড়ায় যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না, তারা পরে বিকাশে টাকা এনে টোল দেয়। এতে করে অনেক সময়ক্ষেপণ হয় তাদের।

যদিও ফায়ার সার্ভিসের দাবি এসব তথ্য ভুয়া। তাদের কোনো টোল দিতে হয়নি এবং টোল সংক্রান্ত কোনো সময়ক্ষেপণ হয়নি তাদের।


আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ভালো আছেন খালেদা জিয়া, চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যাতে কোনো ধরনের জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া যায়।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।


আরও খবর



ইসরায়েলে ইরানের হামলা: নেতানিয়াহুকে বাইডেনের ফোন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশ ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে এ হামলার ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে জি-সেভেন নেতাদের আহ্বান করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার পর এর নিন্দা জানিয়ে সমন্বিত জি-সেভেন কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে আক্রমণ করা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সহায়তা করেছে।

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি তাকে (নেতানিয়াহু) বলেছি- ইসরায়েল নজিরবিহীন আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার এবং শত্রুদের পরাজিত করার অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। এটা শত্রুদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা কার্যতভাবে ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা কুদস ফোর্সের সিরিয়া ও লেবানন শাখার কমান্ডারসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। সবশেষ শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ড্রোন হামলা করে পারস্য অঞ্চলের দেশটি।


আরও খবর



নোয়াখালীর গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুই শতাধিক খনন প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খননের কাজ।

কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাপেক্স এর তথ্য মতে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।


আরও খবর