আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি নাকচ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
আমরা বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে পারি না। বিজ্ঞান বলছে, সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় না

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি নাকচ করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের উপরে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঝুঁকিপূর্ণ এটা বিজ্ঞান বলছে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে তা খুব শিগগিরই জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের খাতে মঞ্জুরি দাবির ছাটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের আলোচনায় পর এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এসময় সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও মেধা বিকাশের ক্ষতির কথাও তারা তুলে ধরেন।

এরপর শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাকে বাইরে যেতে হয়। যখনই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে দেখা হয় তখনই আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি অনেকে বলছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য, আপনারা কী বলেন? তারা আমাকে বলেন এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও আমাদের ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে বিপদে ফেলতে পারি না। ক্লাসের মধ্যে সংক্রমণ ছাড়াবে। বিজ্ঞান বলছে, শিশুদের মধ্যে ছাড়ানোর ঝুঁকি বেশি। একজন শিক্ষার্থী সংক্রমিত হলে বয়সের কারণে তার হয়তো কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে, কিন্তু তার থেকে পরিবারের মা, বাবাসহ অন্য সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে পারি না। বিজ্ঞান বলছে, সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় না। অনেক উন্নত দেশ উদ্যোগ নিয়েছিলো। আবার তারা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সংক্রমণের হার ২৩ শতাংশের উপরে এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কীভাবে সম্ভব।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুরের মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারা দেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদফতরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপদাহ। অতীতে এপ্রিল মাসে দেশে এত দীর্ঘ সময় টানা চরম উষ্ণতার বিস্তার দেখা যায়নি। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপপ্রবাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটিই।

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে। অধিদপ্তর বলছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের ব্যপ্তি বেড়েছে, অন্তত ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে। গরমের তীব্রতা না কমায় রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। রবিবার (১২ মে) সংগঠনটি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।

সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।


আরও খবর