আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিআরটিসি প্রধান
কার্যালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষা তহবিল হতে ২য় বারের মতো
অর্থ সহায়তা প্রদান বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি।
বিআরটিসি বর্তমানে স্বর্ণযুগ পার করছে।
কর্মরত কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন, যার একটি উজ্জ্বল
দৃষ্টান্ত ‘বিআরটিসি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান’। এবছর মোট ১৫৯
জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বিআরটিসি’র শিক্ষা সহায়তা
তহবিল হতে প্রদান করা হয়েছে। এ আর্থিক সহায়তা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা
রাখবে। শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে খুবই আনন্দিত। তারা তাদের অনুভূতি
প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘বিআরটিসি থেকে শিক্ষা বৃত্তি পাবো কখনও
কল্পনাই করিনি। এ বৃত্তি আমাদের শিক্ষা জীবনে বড় হতে ও প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক হয়ে
উঠতে অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২১ সালের পূর্বে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাপ্য
বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা (শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, শিক্ষা সহায়তা তহবিল, কল্যাণ তহবিল ইত্যাদি)
থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পূর্বে নতুন গাড়ি আসা সত্ত্বেও কোন প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পেতো
না এবং মাসের পর মাস ডিপো/ইউনিটে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন বকেয়া থাকতো। বর্তমান চেয়ারম্যানের
দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিআরটিসি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়েছে। বিভিন্ন
পত্রপত্রিকা ও সরকারের উচ্চ মহল কর্তৃক এ প্রতিষ্ঠানটি প্রশংসিত হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা
প্রতিমাসের প্রথম কার্য দিবসে বেতন পাচ্ছে এবং সকল প্রাপ্য সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে। শিক্ষা
তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সংখ্যা ও পরিধি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এধারা ভবিষ্যতেও
অব্যাহত থাকবে।