বাচ্চা ছেলে না মেয়ে এর মধ্য দিয়ে কিন্তু সন্তানের
সংখ্যা বাড়ানো যাবে না।যদি আপনার সুস্থ বাচ্চা থাকে, তাহলে দুটি বাচ্চা সিজারে নিয়েছেন
যথেষ্ট।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও
হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।
তিনি বলেন, হয়তো আপনার বাচ্চার সমস্যা রয়েছে কিংবা
আপনার এটা দ্বিতীয় বিয়ে- এ সকল ভিন্ন গ্রাউন্ডে যদি বাচ্চার প্রয়োজন হয়, তবে তিনবার,
চারবার কিংবা পাঁচবার পর্যন্ত সিজার করা যায়।
প্রতিবার সিজারের সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি কিন্তু বাড়ে।
সিজার করলে সাধারণত কী হয়? একটা জায়গা কাটা হয়। বাচ্চাটাকে বের করা হয় কেটে। এ ক্ষেত্রে
দেখা যায় যে, দ্বিতীয় বাচ্চাটা যখন আসবে, জরায়ু যখন বড় হতে থাকবে, তখন কাটা জায়গাটাতে
টান পড়ে।
এক্ষেত্রে সিম্পটম অনুসারে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা
নিতে হবে। বড় সমস্যা হলো জরায়ু ফেটে যায়। এক্ষেত্রে বাচ্চার জীবন যায়, মায়ের জীবন
ঝুঁকিতে পড়ে।
একবার সিজার হলে, পরবর্তীতে সিজারে ডেলিভারির আশঙ্কা
বাড়ে। প্রথম বাচ্চা সিজারে ডেলিভারি হওয়ার পর, পরেরটার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার আশঙ্কা
কমে।
সিজারের ক্ষেত্রে মায়ের রক্ত নিতে হয়। রক্তের মাধ্যমে
বিভিন্ন ঝুঁকি বাড়ে। সব থেকে বড় বিপদ হচ্ছে, গর্ভফুল। জরায়ুর মুখের দিকে বাচ্চা
থাকে। জরায়ুতে ফুল থাকে। যখন সিজার করা হয়, তখন দেখা যায় কাটা জায়গাটায় ফুলটা বসে।
মুহূর্তের মধ্যে অনেক রক্ত বের হয় মায়ের। তখন মাকে বাঁচানোর অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়।
অনেক ক্ষেত্রেই মায়ের আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)
সেবার প্রয়োজন হয়। অনেকেই ফিরে আসেন না আইসিইউ থেকে। এজন্য আপনাদের জন্য বলবো, এক্ষেত্রে
কেবল প্রয়োজন হলে বাচ্চা নেবেন।