আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিবপুরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নরসিংদীর শিবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে মিয়ারগাও পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিরাজ খন্দকার নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিন খন্দকারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আফসার উদ্দিন খন্দকারের ছয় ছেলে, তিনি সিরাজকে বেশি ভালোবেসে অন্যান্য ছেলেদের থেকে দুই গণ্ডা জমি বেশি দিয়েছেন। এই নিয়ে বাকি ভাইয়েরা সিরাজের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত কয়েক দিন ধরে ইব্রাহিম খন্দকার ও সিরাজ খন্দকার পাল্টাপাল্টি মারামারি, ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। হুমকি দেওয়ার পর সিরাজ খন্দকার থানায় ও কোর্টে ভাইদের আসামি করে একাধিক মামলা করেন। এর ফলে ভাইয়েরা তার প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ-বৈঠক হলেও তাদের বিবাধ থামেনি।

পুলিশ আরও জানায়, বুধবার সকালে সিরাজের বড় ইব্রাহিম খন্দকারের নামে কোর্ট থেকে মামলার নোটিশ আসে। নোটিশ পাওয়ার পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই সিরাজ খন্দকারের মুরগির ফার্মের ভিতরে প্রবেশ করে ইব্রাহীম খন্দকার, তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরে সিরাজ খন্দকারের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবস্থা গুরুতর দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজ খন্দকারকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নিহতের স্ত্রী মোসলেমা (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাড়ল এলপিজির দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৪৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম।১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়ায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৭ টাকা ৭৬ পয়সা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর ভিড় জয়পুরহাটের হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি। রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রবিবার (১৭ মার্চ) ও সোমবার (১৮ মার্চ) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের উত্তর পাশের নিচতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যায় এবং মেঝেতে রোগীর ভিড়। গত তিন দিনে এখানে শিশুসহ দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেলার মঙ্গলবাড়ি গ্রামের ১৯ মাস বয়সের শিশু হোসাইন, ২২ মাস বয়সের ছিরাইয়া রানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের ৮ মাস বয়সের নুশরাত বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশুদের মায়েরা জানান, হঠাৎ করে গত দুই-তিন দিন আগে থেকে পানির মতো বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সঙ্গে দু-একবার বমি হওয়ায় সন্তানদের হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান তারা।

সদর উপজেলার হেলকুন্ডা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী, শহরের সবুজ নগর মহল্লার মাহফুজ রায়হান বলেন, হঠাৎ করে পাতলা পায়থানা ও বমি এবং এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ডায়রিয়ার রোগী বেশ বেড়েছে। শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কখনোই বন্ধ করা যাবে না। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে শিশুদের খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। শয্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।


আরও খবর



অর্ধেকের বেশি শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে, পল্লীর তুলনায় এগিয়ে শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।


আরও খবর



চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ালো টিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের ৭০ টাকা কেজি দরে চিনি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর গত রমজানে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল আরও ১০ টাকা কম, প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। এখানে চিনির এ নতুন দাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করার জন্য চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে তুলনামূলক কমদামে চিনি বিক্রি করেছে টিসিবি। সর্বশেষ দুই-তিন মাস আগে ডিলারদের চিনি দেওয়া হতো, তখন দাম কমছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




‘রেস্তোরাঁয় আনসার-পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযান একটু বাড়াবাড়ি’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, একাধিক সংস্থা থেকে রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আনসার-পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব বাহিনী তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদেরকেই কাজটি করতে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে রেস্তোরাঁ শিল্পের সংকটের উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। এছাড়া সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক-প্রশাসনসহ অনেক অধিদপ্তর ও সংস্থা।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের আটক করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি আরও বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যাতে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।

এদিকে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিটি রেস্তোরাঁয় কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪