মাদারীপুর থেকে দেলোয়ার হোসাইন
শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে এক সাথী বেগম (২৭)নামের গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত ভোর রাতে উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের শেখপুর গ্রামে মামুন চৌকিদারের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাথী মামুন চৌকিদারে স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের দক্ষিন বাশকান্দি গ্রামের আছু মদ্দিন কবিরাজের মেয়ে। তবে ঘটনার পর থেকে মামুন পলাতক রয়েছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১০/১১ বছর আগে মামুনের সাথে পারিবারিকভাবে সাথির বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই সাথির সাথে বিভিন্ন সময় মনোমালিন্য দেখা যায়। মাঝে মাঝে সাথিকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দেয়। সাথি তার ভাইদের কাছে থেকে টাকা পয়সা না এনে দেওয়ার কারনে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে। এর আগে এদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হলে স্থানীয় সালিশির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
গত কয়েকদিন ধরে সাথিকে আবার টাকা পয়সার জন্য চাপ দেয় ও মারধর করে। এরই জের ভোর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে সকালে মনির নামে মামুনের এক প্রদিবেশী মামুনকে বাজারে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে সাথিকে ঘরের মধ্য ঝুলে থাকতে দেখে। পরে লোকজন শিবচর থানায় খবর দিলে থানার উপ পরিদর্শক কামরুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল এসে মরদেহটি উদ্বার করে।
তবে সাথির পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের দাবী তার স্বামী তাকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সাথীর ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বোনকে প্রায়ই টাকা পয়সার জন্য চাপ দিতো। মাঝে মাঝে অনেক মারধর করতো। এই নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও হয়। গত কয়েকদিন আগে ওকে মারলে আমরা ফরিদপুর মেডিকেল ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ওর চিকিৎসা করাই। আজ আমার বোনকে মেরে ঘরে ঝুলিয়ে রাখছে। আমি ওর বিচার চাই।
শিবচর থানার পরিদর্শক তদন্ত আমির হোসেন সেরনিয়াবাত জানান, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি, ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে বোঝা যাবে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।