আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিবচরে হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে কৃষকদের রঙিন স্বপ্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ

মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার ফুলে ছেয়ে গেছে। চির সবুজের বুকে যেন কাঁচা হলুদের আলপনা। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে এখন মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত। সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষকদের।

শীত মৌসুমে প্রকৃতির অলঙ্কার হয়ে উঠেছে এই হলুদ সরিষার ক্ষেত। কিছু দিন পরেই মাড়াই করে তৈলের প্রস্তুত করা হবে এসব সরিষা। ভালো ফলন ও সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় এই উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৩২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ বেশি হয়েছে। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলাতে কৃষিতে সকল ফসলের প্রণোদনার অংশ হিসেবে সরিষা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫ শত জন কৃষকের মাঝে সরিষার উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।

উল্লেখিত পরিমাণ উপকরণ সহযোগিতা ১ জন কৃষক ১ বিঘা জমি সরিষা চাষের জন্য গ্রহণ করেছেন।

ঢালিকান্দি গ্রামের সরিষা চাষি খবির শেখ জানান,  এবার ১ জমিতে সরিষা রোপন করেছেন। একই গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, বাজারে তেল এবং খৈলের দাম বেড়েছে। তাই সরিষাও বাজারে বেশি দামে বিক্রি হবে এবং অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এবার সরিষার ভাল দাম পাওয়া যাবে এমন আসায় তিনি প্রায় পৌনে চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এমন আসা নিয়ে প্রায় ২বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছেন।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় বলেন, উপজেলার কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে সরিষা বীজ প্রদান করাসহ উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে বা ক্ষেত পরিদর্শনসহ ভালো ফলন পেতে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। এ বছরে ৩২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলে শিবচর উপজেলার তৈল জাতীয় শস্য উৎপাদনে নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে সরিষা চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



স্থানীয়দের সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন মেস ও মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালায় তারা। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।

এর আগে ইফতারে পচা-বাসি খাবার পরিবেশন করছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে অবস্থিত একটি হোটেল। রবিবার (১৭ মার্চ) অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের প্রতিবাদ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ওই হোটেলের কর্মচারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং রাতে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

এরপর রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিলে পাল্টা ধাওয়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় হোটেলের থাইগ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দফায় দফায় চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ হামলায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ফের হামলা চালায় ও কয়েক দফা উক্ত হোটেল ভাঙচুর করে। পড়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ বলেন, হোটেল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি দেখার দায়িত্ব আমার। আমরা নিজেরা যাতে নিজেদের হাতে আইন না তুলে নেই। এই ধরনের ইস্যুতে আমার নিজের মনিটরিং থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনগণের সকলকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ সবাই উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।


আরও খবর



আবারও বিজিপির ২৯ সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষ ঘিরে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা।

সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপির মোট ২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।


আরও খবর



ভেড়ামারায় আগুনে পুড়ছে পানের বরজ, শত কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পানের বরজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন আশপাশ এলাকার দুই কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট।

ভেড়ামারা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রিমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রেণে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, কুমারখালী, মিরপুর, ঈশ্বরদীসহ আশপাশের অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছ। আগুন দুই কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এই পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আশপাশ অঞ্চল থেকে মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে অনেক পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

বাহাদুরপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রায়টা থেকে শুরু করে বাহাদুর পর্যন্ত কয়েক বিঘা পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু তারা আগুন নেভাতে পারছে না।

স্থানীয় সংসদ সদস্য কামারুল আরিফিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির ওপরে। এখন পর্যন্ত আগুন যেভাবে জ্বলছে এটা নিয়ন্ত্রণে না আসলে ২০টি গ্রাম আক্রান্ত হতে পারে। যা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এখন আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করছি।


আরও খবর



৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর



ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজানের প্রথম ইফতার আজ। অফিস বা ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার করা অনেকের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে যানজটের কারণে। রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। ইফতারের আগে মগবাজার, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১৪টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্র্যাফিক বিভাগের। পাশাপাশি মেট্রোরেলেও তৈরি হবে বাড়তি চাপ।

বিকেল ৩টা থেকেই বাড়তে পারে এই যানজট। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগারবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্র্যাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।


আরও খবর