আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আ. লীগের কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি জানানো হয়েছে।

ভাষা শহীদদের স্মরণে ও ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে নেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন। ভোর সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে সংগঠনের সবগুলো শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন।

এছাড়া, সকাল ৭টায় কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি সহকারে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। নিউ মার্কেটের দক্ষিণ গেট থেকে প্রভাতফেরি শুরু হবে।

পরের দিন (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা করবেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় নেতারা।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সবগুলো কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সব সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেতা ও বিজেপি সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীকে গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মিঠুন সম্পর্কে তিনি বলেন, ওকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। ও এত বড় গদ্দার আমি জানতাম না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ভারতে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে প্রথম দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। লোকসভা ভোটে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যে উত্তরে প্রচারও শুরু করেছেন।

সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছেন, ফিল্মস্টার থেকে মিনিস্টার সবাইকে আনছে ভোট করাতে। এই মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। তখন জানতাম না ও বাংলার আরও একটা বড় গদ্দার।

মমতার দাবি, নিজের ছেলেকে বাঁচাতে আরএসএস দপ্তরে মাথা নিচু করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেন, মনে পড়ে, তার ছেলেকে ধরেছিল, বিয়ের পিঁড়িতে হানা দিয়েছিল। সেইসময় নিজের ছেলেকে বাঁচাতে মিঠুন চলে যায় আরএসএস অফিসে। ওখানে গিয়ে বলে, আমি বিজেপির সেবক আছি।


আরও খবর



উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে চালু হয়নি ট্রেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বোধনের ৫ মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে ট্রেন চালু হয়নি। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত। ৮টি স্টেশন ও রেল ক্রসিংসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জায়গায় এখনও জনবল নিযুক্ত করা হয়নি। এ অবস্থায় যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই রুটে ট্রেন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা ও খুলনার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে। এরপর ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এই রেলপথে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও সবগুলোতে এখনও আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। রেল স্টেশন ও রেল ক্রসিংগুলোতে নিযুক্ত করা হয়নি কোনো জনবল। এছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ হয়নি।

খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, উদ্বোধনের সময় কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল। সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এখনও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, খুলনা-মোংলা রেল লাইন এখন যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ঈদের পরে ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৯টি স্থানে ভেইকেল আন্ডারপাস-ভিইউপি (রেল লাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। ভিইউপি এর কারণে ট্রেন চলাচলের সময় রেল ক্রসিংগুলোতে যানবাহন আটকা পড়বে না। এছাড়া দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না। এই রেলপথে স্টেশন রয়েছে ৮টি। সেগুলো হলো ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দ্বিগরাজ, কাটাখালি, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।

খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমরা চাই দ্রুত এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে করে সুন্দরবনে যেতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এখন নদী ও সড়কপথে পণ্য বন্দরে আনা-নেয়া করা যায়। তবে রেলের মাধ্যমে কন্টেইনার পরিবহন সবচেয়ে সাশ্রয়ী একটা মাধ্যম। মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কন্টেইনার পরিবহন সহজ হবে। কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কন্টেইনারে মোংলা বন্দরে আনা-নেয়া সহজ হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত দুই সপ্তাহে বন্যায় ৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে দেশটির সরকার নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।

সরকারের মুখপাত্র মোভারে মাতিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে; যার ফলে ৫৮ জন নিহত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। এ বন্যায় অন্তত ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাতিনি জানান, তানজানিয়া ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য ১৪টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি বাস বন্যার পানিতে পড়ে আট স্কুল শিক্ষার্থী ডুবে যায়। উদ্ধার অভিযানে এক স্বেচ্ছাসেবীও নিহত হয়েছেন।

অর্থনৈতিক রাজধানী দারুসসালাম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে উপকূলীয় ও মোরোগোরো এলাকায় ৭৫ হাজারের বেশি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

পূর্ব আফ্রিকার অন্যান্য অংশেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ায় বন্যায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মাত্র চার মাস আগে তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে বন্যায় অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

তানজানিয়ায় এপ্রিল মাস সবচেয়ে বেশি বর্ষামুখর থাকে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এ মাসেই হয়। এ বছর এল নিনোর ঘটনা তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে; যা বিশ্বজুড়ে খরা ও বন্যা সৃষ্টি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় ৪ মাস ১০ দিন পর এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩টি বস্তায় ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এ মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এত টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মসজিদটিতে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর