করোনা মহামারি সত্ত্বেও ২০২১ সালে বিলিয়নিয়ররা
অর্থাৎ বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা আরও ধনী হয়েছেন। বেড়েছে তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির বাজার
মূল্য। তবে নতুন বছর শুরু হতেই বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন।
খুব অল্প সময়ে তারা হারিয়েছেন ১৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ।
তবে শুধু ওয়ারেন বাফেটের ক্ষেত্রে দেখা
গেছে ভিন্ন চিত্র। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বড় ধরনের হোঁচট
খেয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা। জানা গেছে, টেসলা চলতি বছরের
শুরুতেই পাঁচ হাজার চারশ কোটি ডলার হারিয়েছে। একই সময়ে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ
বেজস হারিয়েছেন প্রায় দুই হাজার ৮শ কোটি ডলার। গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই
ব্রিন হারিয়েছেন এক হাজার দুইশ কোটি ডলারের বেশি।
অন্যদিকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের
কমেছে এক হাজার পাঁচশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে
লাভজনক অবস্থানে আছেন ওয়ারেন বাফেট। এসময় তার কোম্পানির নেট মূল্য বেড়েছে প্রায় দুইশ
৪০ কোটি ডলার। এ নিয়ে তার কোম্পানির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি ডলারের বেশি।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়র সূচকে দেখা গেছে,
চলতি সপ্তহে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বৈশ্বিক সম্পদ
বা ধনীর র্যাংকিংয়ে জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে গেছেন। ফলে তিনি শীর্ষ ধনীদের মধ্যে ছয় নম্বরে
উঠে এসেছেন।
তবে ২১ হাজার ৬শ কোটি ডলার নিয়ে এখনো শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছেন ইলন মাস্ক। বাফেটের চেয়ে তার সম্পদের পরিমাণ দুই গুণ বেশি। তবে বাফেট শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে অবস্থান ধরে নাও রাখতে পারেন। তিনি তার সম্পদের অধিকাংশই ব্যয় করেন মানব কল্যাণে।