আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সেতু ধসে নিহত বেড়ে ৯১, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের গুজরাটের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলের একটি সেতু সংস্কারের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ভেঙে পড়েছে। এতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে।

নদীতে তলিয়ে যাওয়া আরও শতাধিক মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সরকার এ ট্র্যাজেডির দায় নেবে বলে জানিয়েছেন একজন মন্ত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুলন্ত সেতুটি রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ভেঙে পড়ে। তখন প্রায় ৫০০ জন ছট পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আচার-অনুষ্ঠান করতে এতে জড়ো হয়েছিল।

দিনের বেলার ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ যখন সেতু দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তখন এটি বিপজ্জনকভাবে দুলছে।

খবরে বলা হয়েছে, মাচ্চু নদীর পানিতে এখনও প্রায় শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেকে পানির মধ্যে বাঁচার জন্য লড়াই করছে। অন্ধকারে তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মোরবিতে ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল এবং গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়৷

এসডিআরএফ দল, ফায়ার ব্রিগেড-সবাই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত। কিন্তু আলো না থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে বলেন, গত সপ্তাহে সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। আমরাও হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায় নেবে।

খবরে বলা হয়, এখনও প্রায় ১০০ জন পানিতে আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিজেশ মের্জা এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সব শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ গুজরাটে রয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি মরবিতে রওনা হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে বলেন, মোরবিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল টুইট করে বলেন, মোরবির ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো নাগরিকদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে।


আরও খবর



আজ দেশের আকাশে দেখা যাবে সূর্যের খুব কাছে আসা বিরল ধুমকেতু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রায় ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে ধূমকেতু ১২পি/পনসব্রুকস। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে এটি দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

এ উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর পদ্মা নদীর ধার টি বাঁধ এলাকায় ডেভিল ধূমকেতু এবং বৃহস্পতিগ্রহ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন যৌথভাবে এর আয়োজক।

আয়োজকরা জানান, বিগত ৭১ বছর পর আজ রোববার (২১ এপ্রিল) ডেভিল ধূমকেতুটি সূর্যের সবচাইতে কাছে অবস্থান করবে। রোববার সূর্যস্তের সময় থেকে ঘণ্টাখানেক ধূমকেতুটি আকাশে অবস্থান করবে। দিগন্তের খুব কাছে থাকাতে নানা কারণে ধূমকেতুটি দেখাবার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও আয়োজকরা প্রস্তুত থাকবে ধূমকেতুটি দেখবার জন্য। মেঘমুক্ত আকাশ হলে এটি দেখতে পাবার সম্ভাবনা প্রবল হতে পারে। এছাড়াও আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ এবং চাঁদ একই সঙ্গে দৃশ্যমান থাকবে। ধূমকেতুটি যতক্ষণ সম্ভব দেখার চেষ্টা করার পর আয়োজকরা টেলিস্কোপে বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ দেখবে।

আয়োজনকরা আরও জানান, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর টি বাঁধ পদ্মার পাড়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহী সবার জন্য ডেভিল ধূমকেতু-বৃহস্পতিগ্রহ এবং চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পটি উন্মুক্ত থাকবে।

আয়োজক কমিটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব চলচ্চিত্রকার আহসান কবির লিটন জানান, রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার এবং বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে ক্যাম্পটি পরিচালনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কেউ এখানে এসে এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবেন। তবে আকাশে মেঘ থাকলে দৃষ্টি সীমা বাধাগ্রস্থ হবে। তখন ধূমকেতু সহ গ্রহ উপগ্রহগুলো না ও দেখা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, সূর্যের কাছাকাছি ধূমকেতুটি দেখতে কিছুটা শিংয়ের মতো হয়। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ডেভিল কমেট বা শিংওয়ালা ধূমকেতু


আরও খবর



এসএসসির ফলাফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে। এরই মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মেএই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, থাকবে তীব্র গরম

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গরম বেড়ে শনিবার দেশের নতুন নতুন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করতে পারে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ নববর্ষের দিনও গরম ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। নববর্ষের দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে ঝকঝকে রোদ। ক্রমেই বাড়ছে গরমের কষ্ট। গত কিছুদিন ধরেই দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল বৃষ্টিহীন। দাবদাহের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানান তিনি।

রোববার নববর্ষের দিনের আবহাওয়া তুলে ধরে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাঙ্গামাটিতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর



খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর