আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সেশনজটে অধরাই রয়ে গেল স্বপ্নের বিসিএস

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. জাহিদ হোসেন, ববি প্রতিনিধি

Image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদে ২৫টি বিভাগের মধ্যে সেশনজটের কারণে ১৮টি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৪৫তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, সেশনজটমুক্ত হওয়ায় ৪টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। জানা যায়, উক্ত শিক্ষাবর্ষের ১৮টি বিভাগের এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী সেশনজটের কবলে পড়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। কেউ পরীক্ষার সময়সূচীর জন্য অপেক্ষা করছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সেশনজটের কারণে বিসিএস সহ অনেক সরকারি চাকরি থেকে পিছিয়ে পড়েছেন । মাত্র চারটি বিভাগ স্নাতক শেষ করতে পারলেও প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্বহীন আচরণের জন্য অন্যদের এমন সেশনজট তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ৬টি বিভাগের মধ্যে ৫টি (সিএসই, গণিত, রসায়ন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা ও পদার্থবিজ্ঞান) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কারণে বিসিএসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া পরিসংখ্যান বিভাগে কোন জট নেই।

জীব বিজ্ঞান অনুষদের ৪টি বিভাগের মধ্যে দুইটি (কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, প্রাণরসায়ন ও জৈবপ্রযুক্তি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৪টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে জট রয়েছে। চারটি (মার্কেটিং, ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যাস এন্ড ব্যাংকিং) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৬টি বিভাগের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাড়া ৪টি (অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোক প্রশাসন) বিভাগে সেশনজট রয়েছে। এই চারটি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া সমাজকর্ম বিভাগের কোন ব্যাচ বের হয়নি।

কলা ও মানবিক অনুষদের চারটি বিভাগের দুটিতে জট রয়েছে। এ কারণে ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিসিএস আবেদন করতে পারেননি। এই অনুষদের শুধু দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই বিসিএস আবেদন করতে পেরেছেন। এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে চালু হওয়া ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের কোন ব্যাচ বের হয়নি। আইন অনুষদের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরাও সেশনজটের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা কাকে মনের ব্যথা বলব? সবাই আছেন রাজনীতি নিয়ে। তাদের কি সেশনজট নিয়ে ভাবনার সময় আছে?

তারা আরো বলেন, সংকট আর রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব শুধু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েই লেগেছে ৷ কিছু বললেই সংকটের কথা বলে। বলে আমরা নবীন বিশ্ববিদ্যালয়৷ সংকট নিয়েই কাজ করতে হবে। তাই আর কিছু বলতে চাই নাহ। এখন রেজাল্টের অপেক্ষায় আছি, বের হলেই সব ঝামেলা শেষ। দেড় বছর আমার জীবন থেকে বাড়তি নিয়েছে এর দায়ভার কে নিবে? আল্লাহ সইবে নাহ।

সেশনজট নিয়ে কয়েকটি অনুষদের ডিনদের সাথে কথা হয়। তারা জানান, সেশনজট সৃষ্টির মূলে কতগুলো সমস্যা রয়েছে যেমন শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট আর ল্যাব সংকট। বিভাগগুলোতে যে অনুপাতে শিক্ষক থাকার প্রয়োজন আসলে সেই অনুপাতে নেই। এজন্য একজন শিক্ষককে অনেকগুলো কোর্সের ক্লাস নিতে হয় যা কঠিন ব্যাপার। দ্বিতীয়ত ল্যাব সংকটের কারনে একটি ব্যাচকে তিন থেকে চারটি ভাগে ভাগ করে ল্যাব পরীক্ষা শেষ করতে হয় যার জন্য দেরি হয়ে যায়। আবার সেকেন্ড এক্সামিনার হিসেবে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে খাতা পাঠাতে হয়, অনেক সময় তারা খাতা দেরিতে পাঠান। পূর্ববর্তী সেমিস্টারের পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী সেমিস্টারের পরীক্ষা নিতে পারি না আমরা।

তারা আরো বলেন, আমরা শিক্ষকরা সবসময় শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক কখনো একজন শিক্ষক চাননা কোন শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ুক। কিন্তু নানাবিধ নিয়ম আর সংকটে সেশনজটের সৃষ্টি হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, "বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি আরও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে, কারন শিক্ষার্থীরা যতদ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়োজিত করতে পারবে তাতেই আমাদের সাফল্য। আমরা আগামীতে বিসিএসসহ সকল ধরনের চাকরির পরীক্ষায় সময়মত শিক্ষার্থীরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেই বিষয়ে নানাবিধ কর্মপ্রয়াস গ্রহণ করব। লক্ষ্যনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে সেশনজটের বিষয়ে। একাডেমিক কাউন্সিল এবং ডিন ও চেয়ারম্যানদের মিটিংএ বিষয়টি যেন গুরুত্ব পায় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে এই বিষয়ে আমি আলোকপাত করব।"

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমাদের মূল যে সেশনজটটি করোনাকালীন সময় থেকে শুরু হয়েছে। করোনাকালীন এবং এর আগের সেশনজট নিরসনে আমি আগে থেকেই ডিন এবং বিভাগের চেয়ারময়ানদের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও, একাডেমিক কাউন্সিল সভায় ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যানদের সেশনজট নিরসনে আরো জড়ালো নির্দেশ দিব।

উল্লেখ্য, বিসিএস দিতে না পারার বিষয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করতে বলা হলে, একাডেমিক রেজাল্টে সমস্যা হওয়ার ভয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর



ঝিনাইদহ থেকে চুরি যাওয়া শিশু মাগুরায় উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরায় ১৫ মাসের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এক নারীর সাহসিকতায় ও স্থানীয়দের সহযোগতিায় শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা-মাকে। ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান ও সুমাইয়া দম্পতির ১৫ মাসের মেয়ে তাহিয়া। তাদের বাড়িতে নাঈম (২০) নামে এক দিনমুজুর কাজ করতে এসে তাহিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় একই গাড়িতে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে অপর যাত্রীর সন্দেহ হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, অভিযুক্ত নাঈম গত ২৮ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের  ইভান মিয়ার বাড়িতে কৃষি কাজের জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে নাঈম মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিশু তাহিয়াকে চুরি করে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে মাহেন্দ্র অটোতে চড়ে মাগুরার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হাটগোপালপুর এলাকা থেকে মাগুরা শহররে পশু হাসপাতাল পাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের এক মহিলা মাগুরার উদ্দেশ্যে ওই মাহেন্দ্রে ওঠে। শিশু বাচ্চাসহ নাঈমকে দেখে ও তার সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে জান্নাতুল ফেরদৌসী মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে এসে তার সহাসিকতা ও দুরদর্শিতার মাধ্যমে অন্যদের সহযোগতিায় শিশুসহ অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে  মাগুরা সদর থানায় নিয়ে আসে। থানায় পুলিশি জেরার মুখে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

এ সময় তিনি বিষয়টি ঝিনাইদহ থানায় অবহিত করলে ঝিনাইদহ থানা শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এলে অভিযুক্ত নাঈমসহ সকলকে ঝিনাইদহ থানায় সোপর্দ করা হয়।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিজেপির মাইল ফলক ও বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই।

প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সময় বিকাল ৫টায় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে।

এছাড়া আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা কোচবিহারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন, এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সিনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে আটকে রাখা।

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরাইলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন, এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরাইলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়। এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন, এই সাহায্য একটি সাদা চেক’ হিসেবে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র কারখানা তৈরি করা হবে আমেরিকায়।


আরও খবর



বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের। দোকানগুলোতে আগের মতো খুব একটা ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতির জন্য পণ্যটির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ভোক্তার আমিষের জোগানে প্রয়োজনে আমদানি করা হোক গরুর মাংস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ একটি গাড়িকে ঘিরে নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি। কারণ, সেখানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে দুধ, ডিম আর মাংস। এই দৃশ্য রাজধানীর খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরের। এই গাড়িতে ৪ ধরনের পণ্য পাওয়া গেলেও ক্রেতারা আসেন মূলত গরুর মাংস কিনতে। কেননা বাজারের তুলনায় সাশ্রয় হয় ১৫০ টাকা। তবে সবার ভাগ্যে তা জোটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বেশিরভাগেরি ফিরতে হয় খালি হাতে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়াই এর মূল কারণ।

এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি এসেছে বেলা ১১টায়। ইতোমধ্যে লম্বা লাইন হয়েছে। এই অবস্থায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে। আরেক ক্রেতা বলেন, এখানে কষ্ট করে লাইন ধরা লাগে। এর মধ্যে কেউ পায়, কেউ পায় না। কারণ, অনেক মানুষ হয়। খামারবাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে কারওয়ান বাজার। এখানকার মাংসের দোকানগুলোর চিত্র বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঠিক বিপরীত। গরুর মাংসের পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও নেই চাহিদা। কারণ ৭৫০ টাকা কেজিতে মাংস কিনতে নারাজ ভোক্তারা। এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা কম দামে মাংস চায়। ফলে বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। কারণ, সস্তায় গরু পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কম দরে মাংস বিক্রি করতে পারছি না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে চাহিদার তুলনায় ১০-১১ লাখ টন গরুর মাংস উদ্বৃত্ত থাকে প্রতিবছর। তাই বাজারের এই অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তার মতে, গরুর মাংসের দর হওয়া উচিত ৬০০ টাকার নিচে।

তিনি বলেন, গরুর উৎপাদন খরচ ৬০০ টাকার কম। ফলে এই দামে বিক্রি করেও লাভ থাকে। তাই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কাম্য নয়। এই দরে যারা বিক্রি তারা আমাদের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী নয়। তাদের আমরা চিনি না।

অতিমুনাফালোভীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছে মাংসের দাম। তাই প্রয়োজনে পণ্যটি আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, ডিম আমদানির খবরে মূল্য হ্রাস পেয়েছে। আমার মনে হয়, গরু আমদানি করলে এর মাংসের দাম কমে যাবে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো থেকে তা আনা যায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে জনপ্রতি মাংসের চাহিদা দৈনিক ১২০ গ্রাম।


আরও খবর