শনিবার ছিল এবারের বইমেলার শেষ ছুটির দিন। এদিন জমজমাট বইমেলায় শিশু প্রহর ছিল আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্র। সিসিমপুরের পরিবেশনা শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই কেনে ক্ষুদে পাঠকরা। অভিভাবকরা বলছেন, প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে বইয়ে নতুনত্ব আনা প্রয়োজন।
কয়েক বছর ধরেই বইমেলায় শিশু প্রহর নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ শিশুদের। সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, ইকরি, শিকু ও টুকটুকির সাথে হৈ-হুল্লোড়ে মাতে শিশুরা। এবারের মেলার শেষ শিশুপ্রহরেও ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।
শিশু চত্বরে নানা রঙের বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকেরা। হাজারো রঙিন বইয়ের মধ্যে সন্তানকে কী বই পড়তে দেবেন, তা নিয়েও কিছুটা বিভ্রান্তিতে অভিভাবকরা।
কোনো কোনো অভিভাবক প্রশ্ন তুলছেন বইয়ের মান নিয়ে। তারা বলছেন, চমকপ্রদ মলাটে বই ছাপালেও খুব একটা বৈচিত্র্য নেই, বইয়ের বিষয়বস্তুতেও নেই নতুনত্ব।
তাদের মতে, বর্তমানে শিশুরা দৃশ্যনির্ভর জগতে বাস করে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ বই প্রকাশ করতে প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান তাদের।
বেশিরভাগ স্টলেই দেখা গেছে কমিকস বই, বর্ণমালা, ধারাপাত, রূপকথা বা গোয়েন্দা গল্পের বইয়ের প্রাধান্য। এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও তরুণ লেখকদের গল্প, কবিতা, উপন্যাস, বিজ্ঞান, অনুবাদ সাহিত্যসহ বিভিন্ন বইমেলায় সাড়া ফেলেছে।
জমে উঠেছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। যেখানে একটা বড় অংশ জুড়েই থাকেন তরুণ পাঠক ও সাহিত্যিকরা। বরাবরের মতোই এবারও তরুণ লেখকদের উল্ল্যেখযোগ্য বই এসেছে।
প্রকাশকরা বলছেন, তরুণদের বইও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে লেখার মান উন্নয়নে তাগিদ দিচ্ছেন তারা। তরুণ লেখকদের অভিযোগ-অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছেন তারা। লেখার গুনগন মান যাচাইয়ে প্রকাশকদের কাছে সহাযোগিতা চান নবীনরা।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও টানাপোড়েনের পর উদ্বোধন করা হয় ৩৮তম অমর একুশে বইমেলার। ওই দিন বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রদান করেন।
এবারের অমর একুশে বইমেলা–২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় মেলাকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।