আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার দুদিন পর থেকে ঢলের পানি উজান থেকে নেমে গেলেও ভাটি অঞ্চলে বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন করে ভাটি অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঢলের পানি কমে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। কিছু এলাকায় এখনও পানিবন্দী রয়েছে মানুষ। শনিবার দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও অধিবাসীসহ দায়িত্বশীল মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে পাওয়া গেছে এ সকল তথ্য।

জানা যায়, গত বুধবার থেকে দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ঝিনাইগাতী সদর বাজার, হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়াগুলো ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। সরকারি দপ্তরগুলোতে কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই নদীগুলোতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করে। তবে ভাটি এলাকায় হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নে নতুন করে আরও প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে দেড় শতাধিক পুকুরের কোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ঢলের পানির তোড়ে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থানের প্রায় আড়াই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে গেছে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আহম্মেদনগর-দীঘিরপার সড়ক, গুরুচরণ দুধনই-পানবর সড়ক ও রামেরকুড়া সড়কসহ বেশ কয়েক জায়গায় সড়ক ভেঙে ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের ফলে মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ঝিনাইগাতী বাজার ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এতে পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই পাহাড়ি ঢলের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হওয়ার পথে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১০ মেট্রিকটন জিআর এর চাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিতরণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাঝে উপ-বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলজিইডির ভাঙনকবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে কাজ শুরু করা হবে।


আরও খবর



মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এবার ‌‘বাংলাদেশ-ভারত’ প্রসঙ্গ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হলেও এবার আলোচনা হয়েছে ‌বাংলাদেশ সরকার ও ভারত নিয়ে।

সোমবার (১১ মার্চ, স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভারত-বাংলাদেশ ইস্যুতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সম্পর্ককেই যুক্তরাষ্ট্র মূল্য দেয়। তিনি বলেন, অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই তারা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন এবং সরকার গঠন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমি অবশ্যই কারও নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, সেটি বাংলাদেশে হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও। কিন্তু আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দিই। এ ছাড়া অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই আমেরিকা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।

একই সময় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রমে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবহিত। এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন। এতে আমি বলেছি, ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের সম্ভাব্য বড় রকমের অপব্যবহার হতে পারে। বাংলাদেশে মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রদূত হাস কেবল সেই মন্তব্যগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে করা প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আমি বলব- আমরা লক্ষ্য করেছি শ্রম মামলাটি দ্রুতগতিতে বিচারকাজ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে।


আরও খবর



ঈদে ভাড়া বেশি নিলে বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মহাসড়ক/সড়কে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

প্রতি বছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ ওঠে এবং প্রমাণও মেলে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেয়, তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন... ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হব। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাব। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, সেটি আমরা শনাক্ত করব।

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেব। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়কে যান চলাচলে। সেটি সমাধান না হলে ঈদযাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নেই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবে সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নেই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাব। দেখি ওখানে কী সমস্যা। আবারও বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর



মুশতাক-তিশা দম্পতিকে সতর্ক করল আদালত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের উদ্দেশ্যে আদালত বলেছেন, নিজেদের সফল দম্পতি হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো থেকে বিরত থাকবেন। আপনাদের মাধ্যমে আর কেউ যাতে অ্যাফেক্টেড (প্রভাবিত) না হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মামলার দুই আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন। ধর্ষণের অভিযোগে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম গত বছর এ মামলা করেন। এদিন শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কাপল (দম্পতি) হিসেবে তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল, যাতে সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ছে। এতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছেন। সমাজে যাতে এ ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না তৈরি হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এর বিরোধিতা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি।

পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, এরপর বাদীকে কোনো হুমকি দেওয়া হলে আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন না দেখানো হয় আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা অ্যাফেক্টেড না হয়।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো প্রকার ভিডিও-বার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা।

তখন বিচারক বলেন, টিকটক করলে সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ে এমন ভিডিও না করলে হবে। এরপর বিচারক আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১২টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কারখানার ভেতরে পাটখড়ি থাকায় কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। যা নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ৯টার  দিকে ফায়ার সার্ভিসের গজারিয়া ইউনিটের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক এসব জানায়।

তিনি বলেন, রাতভর চেষ্টার পর রাত ১২টার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এখনো কাজ করছে। ভিতরে পাটখড়িসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় ওগুলোর মধ্যে এখনো অল্প পরিমাণে আগুন জ্বলছে। সেগুলোর স্তুপ ভেঙে ভেঙে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

তবে আগুনের লেলিহান শিখা এখন আর নেই। তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আপাতত চারটি ইউনিট কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে যখন ঝড় হয় তখন আমরা এই আগুন নিয়ে খুব শঙ্কিত ছিলাম। ঝড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। পড়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে সুপারবোর্ড কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধসে পড়ে গোডাউনের কাঠামো। খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন নেভানোর কাজে ৭ জন আহত হয়। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে কারখানাটি পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারখানাটি পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কারখানার পাশে মেঘনা নদীতে রাখা মাল বোঝাই তিনটি ট্রালার পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ নেয়া হয়েছে সোমালিয়ায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এম ভি আবদুল্লাহ নামের কয়লাবাহী জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিককে জিম্মি করেছে দস্যুরা। বাঁচার আকুতি জানিয়ে অডিও বার্তা দিয়েছেন জিম্মিরা।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বর্তমানে ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি।

জানা যায়, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই জলদস্যুরা সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির এক নাবিক।

এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এস আর শিপিংয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাই আসছিল পণ্যবাহী জাহাজটি। মালিকপক্ষ জিম্মি ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরেই সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের এম ভি জাহান মনি নামে অপর একটি জাহাজ। জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রেখেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। পরবর্তীতে নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।


আরও খবর