আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

শেরপুরে একই পরিবারের ৮ জনকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের আটজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমেশ্চুড়া গ্রামের জোড়ার পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-জালাল উদ্দিন (৬৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), মেয়ে জামেনা খাতুন (৩৩), ছেলে আ. রশিদ, (৩৮) মনির হোসেন (২৫), এরশাদ আলী (২২), ছেলে রশিদের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৩০) ও ছেলে মনিরের পাঁচ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মর্জিনা বেগম (২২)।

আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দুইজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অর্পিত ছয় শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল ভূমিহীন জালাল উদ্দিন ও প্রতিবেশী নই মিয়ার মধ্যে। নই মিয়া দাবি করে আসছিল ছয় শতাংশ জমি জালাল উদ্দিন জোরপূর্বক ভোগদখল করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় কয়েক দফা সালিশ হলেও কোনো মীমাংসা হয়নি।

নই মিয়ার ছেলে শফিকুলের দেওয়া একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আজকে জালাল উদ্দিনসহ তার পরিবারের আটজন শেরপুর আদালতে আসেন। এই সুযোগে নই মিয়া, তার ছেলে শফিকুল, সোহানসহ স্থানীয় ও পাশের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩০-৪০ জন লোক জালাল উদ্দিনের ভোগদখল করা জমিতে ঘর উত্তোলন করতে থাকেন। জালাল উদ্দিন শেরপুর আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে এসে ঘর তোলার কারণ জানতে চাইলে নই মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জালাল উদ্দিনের পরিবারের উপর হামলা চালায়।

এতে জালাল উদ্দিনসহ তার পরিবারের আটজন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মেয়ের জামাতা আন্তাজ আলী তাদের নালিতাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীদের মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুইজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

ভূমিহীন জালাল উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমিহীন। আমাদের নিজস্ব কোনো জমিজমা নেই। স্থানীয় সমেশ্চুড়া মৌজার ২১৪ দাগের ছয় শতাংশ জমিসহ কিছু সরকারি জমিতে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছি। নই মিয়া গংরা আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। আজকে নই মিয়া তার লোকজনকে নিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা, মা, ভাই, বোন ও ভাবীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমি নই মিয়া ও তার লোকজনের বিচার চাই।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়ক, এক মাসেও হয়নি সংস্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

গত মাসের শুরুতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সাতকানিয়াবাসী। ব্যাপক ক্ষতি হয় জান-মালের। এখনো সেই ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে তারা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই ছিল যে অনেকে তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে বন্যায় বিপর্যস্ত কেরানীহাটবান্দরবান মহাসড়ক। ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ মহাসড়কটি এখনো বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। একমাস পার হলেও সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

নির্মাণের আট মাস না পেরুতেই পর্যটন জেলা বান্দরবানে যাতায়াতের দৃষ্টিনন্দন এ মহাসড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা না হলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন চলাচলকারীরা।

সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কেরানীহাটবান্দরবান জাতীয় মহাসড়কটি যথাযথ মান, প্রশস্ততা ও উচ্চতায় উন্নীতকরণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণ, বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কের স্থানগুলো উঁচুকরণ, ২১টি ব্রিজ, ১৫টি কালভার্ট, ২১ কিলোমিটার ড্রেনেজ নিষ্কাশন অবকাঠামোসহ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২৬৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতিক ভয়াবহ ওই বন্যায় ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কেরানীহাটবান্দরবান জাতীয় মহাসড়কটি। সড়কের একপাশ ভেঙে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কেরানীহাটবান্দরবান সড়কের সত্যপীরের মাজার গেট এলাকায় সড়কের বিশাল অংশ ধসে পড়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঝুঁকিও। সড়ক বিভাগ ভেঙে যাওয়া অংশে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন ও আব্দুর রশিদ বলেন, বন্যার ক্ষত এখনো সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাসছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কারকাজ না হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।

তারা বলেন, সড়কটি তাড়াহুড়ো করে নির্মাণের কারণে প্রথম বন্যায় অধিকাংশ স্থানেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় সড়কের অংশ ধসে পড়ে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঝুঁকিও। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৃষ্টিতে সাম্প্রতিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেরানীহাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়কটির উন্নয়ন কাজ করছে সেনাবাহিনী। তারা সড়কটি আগামী জুনে বুঝিয়ে দেবে। আমরা সড়কটির সংস্কার বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা কম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।


আরও খবর



ভারত বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকি খালিস্তাপন্থী নেতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডায় বসবাসকারী শিখদের অন্যতম নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার বদলা নিতে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রনিবাসী খালিস্তানপন্থী নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় কানাডাপ্রবাসী পান্নুনকে বলতে দেখা গেছে, ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু নয়, শুরু হবে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ কাপ।

হরদীপের হত্যার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করে তিনি আরও বলেন, দিল্লি খালিস্তান হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জন্য আপনি দায়ী এবং শিখ ফর জাস্টিস এই হত্যার প্রতিশোধ নেবে। আহমেদাবাদে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপ আমাদের লক্ষ্য।

ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বী ও খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহমর্মী জনগণকে শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তান কায়েমের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বর্জনের আহ্বানও জানিয়েছেন পান্নুন।

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে আইসিসি বিশ্বকাপের এবারের আসর। এই আসরের প্রথম ম্যাচ হবে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে। ঘটনাচক্রে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মানুষ।

পেশায় আইনজীবী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন শিখদের ঘোষিত পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল শিখস ফর জাস্টিসের (এসএফজি) যুক্তরাষ্ট্র শাখার আইন বিষয়ক উপদেষ্টা। বেশ কয়েক বছর আগে ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্যের খানকোট জেলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হন তিনি।

পেশায় আইনজীবী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন শিখদের ঘোষিত পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল শিখস ফর জাস্টিসের (এসএফজি) যুক্তরাষ্ট্র শাখার আইন বিষয়ক উপদেষ্টা। বেশ কয়েক বছর আগে ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্যের খানকোট জেলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হন তিনি।

বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালানোর অভিযোগে শিখস ফর জাস্টিস এবং অপর খালিস্তানপন্থী সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্সকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। দেশটির অভ্যন্তরে তেমন তৎপর না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার শিখদের মধ্যে বেশ সক্রিয়ভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে শিখস ফর জাস্টিস এবং খালিস্তান টাইগার ফোর্স।

ভারতের পরই যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিখ বসবাস করেন, তার নাম কানাডা। দেশটির ২০২১ সালের জনশুমারির তথ্য বলছে, প্রায় ৮ লাখ শিখ ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন কানডায়।

হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন কানাডার বসবাসকারী শিখদের একজন নেতা । ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে দেশটিতে গিয়েছিলেন, পরে সেখানাকার নারিকত্বও অর্জন করেন তিনি।

এদিকে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার নেতা ছিলেন তিনি। দুটি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ। হরদীপকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করাতে আগ্রহী ছিল ভারত।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৮ সেপ্টেম্বর  সোমবার কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। ট্রুডো এই অভিযোগ তোলার পর থেকে নজিরবিহীন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান্টেড তালিকায় আছেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে তাকে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তার দুমাস পর ভারতে তার যাবতীয় সম্পত্তি জব্দ করা হয়।

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



জি-২০ সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারতের নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শেখ হাসিনা সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।

এদিকে, সম্মেলনের জন্য বিশেষভাবে সাজানো কনভেনশন সেন্টার ভারত মণ্ডপমে বিশ্বনেতারা উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম সেশনে ওয়ান আর্থ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিকেল ৩টা থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে। সেখানে ওয়ান ফ্যামিলি নিয়ে আলোচনা হবে। 

আরও পড়ুন>> দেশের সব বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ বিশ্ব নেতারা নয়াদিল্লি পৌঁছান।

এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাদের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। জি-২০ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি স্থানান্তর, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবিলায় বিভিন্ন যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন।

এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিশ্ব নেতারা আলোচনা করবেন।

এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জোটটির চেয়ারম্যান ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান। এরপর সন্ধ্যায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন দুই নেতা।

বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে (বর্তমানে এক্স) জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযোগের মতো আরও অনেক বিষয় এসেছে।

বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন মোদি। বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে দুই প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না।

আরও পড়ুন>> বড় শোডাউনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলেও জানান আব্দুল মোমেন। সেগুলো হলো কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি, পারস্পরিক লেনদেন আরও সহজ করা।

উল্লেখ্য, জি-২০ বা গ্রুপ অব টুয়েন্টি হচ্ছে কতগুলো দেশের একটি ক্লাব যারা বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়ে পরিকল্পনার জন্য আলোচনা করতে বৈঠক করে।


আরও খবর



মাহসা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকীর দিন গ্রেফতার তার বাবা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বাবাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাশা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। তবে এর কিছু সময় পরে তাকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। দিনটিতে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আটক ছিলেন। এ ছাড়া এ দিন দেশটিতে ১৯৭৯ সালে শাহের পতনের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হিজাব ঠিকমতো না পরার কারণে মাশা আমিনি নামে ওই তরুণীকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানালে একপর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ইরানের বাইরেও। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ দমনপীড়ন বন্ধ করতে ইরান সরকারকে আহ্বান জানায়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে এ সময়ে ইরানে দমনপীড়ন অব্যাহত থাকে। ওই সময়ে দেশটির সরকার জানায়, বিদেশি শক্তির মদদে এ আন্দোলন হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার ও জেলে নিয়ে নির্যাতনের বহু অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভে জড়িত থাকার অপরাধে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়ে তা কার্যকরও করা হয়েছে। সর্বশেষ গত আগস্টে ইরানে নারীদের হিজাব পরা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ছড়িয়ে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ব্যাপক সহিংস দমনপীড়নের কথা উল্লেখ করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুতে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা, গণগ্রেপ্তার, ইন্টারনেটের ওপর সেন্সরশিপ আরোপ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্য অংশীদাররাও চলতি সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা ইরানিদের মানবাধিকার দমন করবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখব।


আরও খবর



দ্বিতীয় সিনেমায় নাম লেখালেন সাইফপুত্র ইব্রাহিম

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। তিনি তারকাপুত্র হওয়ায় শোবিজে বাড়তি সুবিধা পান বলে অনেকেরই অভিযোগ। তার বাবা-মা দুজনই বলিউডের খ্যাতিমান তারকা। সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন ইব্রাহিম আলি খান।

ইব্রাহিম আলি খান সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহের ছেলে। সারা আলি খানের ভাই। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতো তিনিও কি অভিনয়কেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেবেন-এমনটা মনে করছেন সবাই।

অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন ইব্রাহিম। তার প্রথম সিনেমা নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি। তবে সেই সিনেমা মুক্তির তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর আগেই দ্বিতীয় সিনেমায় নাম লেখালেন ইব্রাহিম।

জানা গেছে, দীনেশ বিজন ও তার সংস্থা ম্যাডক ফিল্মস-এর প্রযোজনায় একটি সিনেমায় কাজ করতে চলেছেন ইব্রাহিম। কুণাল দেশমুখ পরিচালিত রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে নাকি চূড়ান্ত করা হয়েছে সইফপুত্রকে। তবে কি স্বজনপ্রীতির কারণেই দ্রুত বলিউডে এগিয়ে যাচ্ছেন ইব্রাহিম-এমন প্রশ্ন অনেকের মাঝেই দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই অনেকবার সমালোচিত হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, ইব্রাহিমের এবারের সিনেমাটি মিউজিক্যাল ঘরানার। চলতি বছরের শেষ দিক থেকে নাকি শুরু হবে সিনেমার শুটিং। শুটিংয়ের জন্য বেশ কিছু সময় লন্ডনে কাটাবেন ইব্রাহিম। এখনো সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি নির্মাতার পক্ষ থেকে।

সাধারণত রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা দিয়েই বলিউডে পা রাখেন নতুন নায়ক-নায়িকারা। তবে সাইফপুত্র ইব্রাহিরে বেলায় নাকি ব্যক্তিক্রম ঘটেছে। তাই প্রথম সিনেমার জন্য রোমান্টিক সিনেমার বদলে অন্য ধারার একটি সিনেমাই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

ইব্রাহিমের প্রথম সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন কাজল এবং দক্ষিণী অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। হিমাচল প্রদেশের কুলু-মানালিতে হয়েছে সিনেমা শুটিং।


আরও খবর
‘শক্তিমান’ হবেন রণবীর সিং

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩