শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের উপজেলা নয়াপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর কাউছার মর্তুজা অভি হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় নামীয় ৮জন সহ অজ্ঞাত ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী (৩৭),হিমেল (৩২), সোহাগ (৩০) ও জাহিদ হোসেন (২৬)কে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের মৃত শেখ হোসাইন কাউছার ফুয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা কাউছার অভির সাথে পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), উলিপুর এলাকার মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে শেরপুর পৌর যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (চাকু সোহাগ) (৩৫), শাহবন্দেগী ইউনিয়নের পাকছার আলীর ছেলে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী (৩৭), পৌর শহরের হাটখোলা খন্দকার পাড়া এলাকা ও খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর ছেলে পৌর যুবলীগের সদস্য হিমেল (৩২), প্রফেসর পাড়া এলাকার মৃত জিল্লুর রহমান মাস্টারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), পূর্ব দত্তপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়া এলাকার পৌর সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া বাস মিনিবাস কোর্স মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক, জাহিদ খান রনি (২৭) ও জাহিদ হোসেনের (২৬) হাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলা নয়াপাড়া এলাকায় মুজাহিদ কার ওয়াশ সেন্টারে কার ওয়াশ করতে যায়।
পরিকল্পিতভাবে সেখানে উল্লেখিত বিবাদীগণ পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকে। এ সময় হিমেল অভির সাথে থাকা শরিফসহ স্থানীয় লোকজনদের সরিয়ে নিয়ে যায়। সেই সুযোগ বিবাদীরা তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে সিনেমা স্টাইলে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা আকতার লিমা বাদি হয়ে উল্লেখিত ব্যাক্তি ও অজ্ঞাত ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাত্রে কাজিপুর নাটোর পাড়া একটি চর থেকে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।
শেরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হিমেল শেরপুর থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাত্রে অভিযান চালিয়ে, সোহাগ ও জাহিদ হোসেনকে আটক করেছে। এ হত্যা নিয়ে শহর ও গ্রামে ব্যপক চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলেরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। এছাড়াও এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন শেরপুরবাসী।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, হত্যা মামলার ঘটনায় ৫ জন আটক হয়েছে । এবং বাকি আসামীদের আটকের জোর তৎপরতা চলছে।