বগুড়ার শেরপুরে টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীরা নতুন উদ্যমে জমিতে সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রবিবার (১৫অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বীজতলায় ব্যস্ত চারা উৎপাদনকারীরা। যদিও মুলা, সিম, ফুলকপি, গাজর সহ বেশ কিছু সবজি বাজারে উঠেছিলো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
টানা বৃষ্টিতে ক্ষতি হলেও তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সাতসকালে সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ কীটনাশক ছিটাচ্ছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ বা ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগই নতুন করে সবজি চারা রোপণে ব্যস্ত।
ফুলকপির জমি পরিচর্যার সময় কথা হয় সাইফুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি বাঁধাকপি আর মুলার চারা রোপন করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই নতুন করে আবার চারা লাগিয়ে দিচ্ছি।
শিবপুর গ্রামের কৃষক জাহের আলী জানান এবছর সবজির চাহিদা আছে। আগাম সিম পাইকারি ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান এক বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ আবাদ করেছিলাম। বৃষ্টিতে বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবুও মরিচের দাম ভালো আছে আশা করি ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
উপজেলার গাড়িদহ, খামারকান্দি, খানপুর, মির্জাপুর, শাহবন্দেগী, সুঘাট, সিমাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষকরা সাধারণত সবজি, রবিশস্য চাষাবাদ করে থাকেন। অনেক কৃষক জমি চাষাবাদ করে নতুন করে বীজতলাতে মুলা, ডাটা, পালং শাক, লাল শাক, ধনেপাতা, টমেটো, বেগুন, মরিচ, লালশাক, সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি, করলা সহ নানা ধরনের সবজির বীজ বপন করছেন। নতুন করে জমির চাষাবাদ করে বীজতলা তৈরি বীজ বপন, সার কীটনাশসহ নানা আনুষাঙ্গিক বিষয়ের হিসেব করছে তারা। শেরপুর উপজেলায় এ বছর ৬০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার আজকের দর্পণ পত্রিকাকে বলেন রবিশস্য চাষীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। আবার যেন তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে এজন্য সব ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে।