আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে আনসার ভিডিবির উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরে অসহায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে আনসার ভিডিবির উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী ও কলাগাছের ভেলা বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অসহায় বন্যার্ত শতাধিক মানুষের মাঝে ওইসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, মুড়ি, চিড়া, গুড়, আলু, বিস্কুট, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও সাপে কামড়ে বাধার রশি ইত্যাদি।

ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে আনসার ভিডিবির ময়মনসিংহ রেঞ্জের পরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, শেরপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আকরাম হোসেন, ১২ আনসার ব্যাটালিয়ন, নালিতাবাড়ীর সহ-অধিনায়ক ইমরোজ খালিদ,  উপজেলা প্রশিক্ষক মো. ইলিয়াস উদ্দিন, মো. জুবায়ের হোসেন, মো. মনিরুল ইসলামসহ আনসার ভিডিবির অন্যান্য সদস্য/সদস্যাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আনসার ভিডিবির ময়মনসিংহ রেঞ্জের পরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আনসার ভিডিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসির নির্দেশে সারাদেশের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে জেলা আনসার ভিডিবির সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর সদর ও নালিতাবাড়ীতে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও যারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাদের মাঝে ভেলা বিতরণ করা হয়েছে। আনসার ভিডিবি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আছে।


আরও খবর
গাজীপুরে বাসে আগুন

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে দুই দিন পেছাল মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে আটক থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি ২ দিন পেছানো হয়েছে। অগামী ২২ নভেম্বর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানিটি পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই সময় মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান।

বিচারক পরে তারিখ নির্ধারণ করতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এজলাসেই পরবর্তী শুনানির তারিখ দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিচারক তাদের অনুরোধ না রেখে অন্য মামলার শুনানি শুরু করতে চান। তখন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা আদালতে হট্টগোল শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে ১০ মিনিটের জন্য আদালত মুলতুবি ঘোষণা করে খাস কামরায় চলে যান বিচারক। পরে এসে আদালত মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর একই আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। সেদিন আদালত জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।


আরও খবর
এবার হাইকোর্টে জামিন চাইলেন ফখরুল

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




হার দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো পাকিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইংল্যান্ডের কাছে বড় পরাজয় নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের যাত্রা শেষ হলো পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংস শেষেই জানা হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা হচ্ছেনা পাকিস্তানের।

সেমিফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য পাকিস্তানকে পেরুতে হতো ৬.৪ ওভারে অসম্ভব সেই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে তাই বিশ্বকাপ মিশনকে গুডবাই বলতে হয়েছে বাবর আজমদের। এরপরের লক্ষ্য ছিল ন্যূনতম জয়। শেষ ম্যাচে স্বান্তনার জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চেয়েছে পাকিস্তান।

কিন্তু ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে হয়নি সেটিও। ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে। ম্যাচটা পাকিস্তান হেরেছে ৯৩ রানে।

আরও পড়ুন>> ৮ উইকেটের হারে বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের

অন্যদিকে আসরের অধিকাংশ সময় পয়েন্ট টেবিলে দশে থাকা ইংল্যান্ড তিন জয় তুলে নিয়ে সাতে থেকে আসর শেষ করেছে। নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা।

ইডেনে টস জিতলে শুরুতে ব্যাটিং করার কথা দুবার ভাবতে হয় না। ইংল্যান্ডও টস পক্ষে আসতেই চোখ বুজে ব্যাটিং নেয়। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের ফিফটিতে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩৭ রান। দলটির ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নামা জো রুট খেলেন ৬০ রানের ইনিংস।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বেন স্টোকস এদিন ৮৪ রান করেন। ৭৬ বল খেলে ১১টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া জস বাটলার ২৭ ও হ্যারি ব্রুক ৩০ রান করলে বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড।

জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এদিন শূন্য করেন। ফখর জামানের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। বাবর আজম (৩৬), সৌদ শাকিল (২৯) সেট হয়ে ফিরে যান। একমাত্র ফিফটি পান আগা সালমান। তিনি ৫১ রান করে আউট হন। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদি ২৫ ও হ্যারিস রউফ ৩৩ রানের ইনিংস খেললে হারটা সম্মানজনক পর্যায়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তারা ৪৩.৩ ওভারে ২৪৪ রান তুলে থামে।


আরও খবর



ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়ায় তুরস্কে কোকাকোলা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের সংসদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত কোম্পানি কোকাকোলা এবং নেসলের পণ্য। ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে পশ্চিমা পণ্য নিষিদ্ধের তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংসদ। এতে বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি ইসরায়েলকে সমর্থন দেয় সেসব কোম্পানির পণ্য তুরস্কের সংসদ এলাকার রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেটেরিয়া এবং চায়ের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হবে না।

সংসদের স্পিকার নুমান কুর্তুলমুস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবৃতিতে নিষিদ্ধ কোম্পানিগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, কোকাকোলা এবং নেসলের পণ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গাজায় অমানবিক হামলা শুরুর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি এবং ইসরায়েলকে সমর্থন দেয় এমন পশ্চিমা কোম্পানির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন অনেকে। সেই আহ্বানের অংশ হিসেবেই তুরস্কের সংসদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা


আরও খবর



কাউকে নির্বাচনে আনা আমাদের দায়িত্ব নয় : ইসি আনিছুর

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে কে আসলো কে আসলো না, এটা আমাদের বিষয় নয়। কাউকে নির্বাচনে আনা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের নিবন্ধিত ৪২টি দল আছে। তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি এমন কথা। যদি তারা পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি (ভোটের তারিখ) পেছানোর সুযোগ আছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউসের সামনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিছুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচনে কত পার্সেন্ট ভোট পড়ল সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন নির্বাচনের গতিতে হবে। সংবিধানে লেখা নেই কত ভোট কাস্ট হতে হবে। তবে সময়মতো নির্বাচন না হলে সংবিধানে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই সময়মতো নির্বাচন হবে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। আমরা বলে দিয়েছি যত বড় পার্সেন্ট কাস্ট হবে তাই দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশে সব সময়ই উৎসবমুখর। তবে সেটি বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। আমরা আগে থেকে আহ্বান করে যাচ্ছি। নির্বাচনে সবাই আসুক। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন ও চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এ সময় জেলার ও জেলার বাইরের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর
গাজীপুরে বাসে আগুন

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম ও পূর্বশর্ত।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন ধরণের। তবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কিছু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রয়েছে।

কিছু সর্বজনীন নীতি এবং নির্দেশিকার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত হয়েছে।

জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় বলা হয়েছে, সরকারের কর্তৃত্বের ভিত্তি তৈরি হবে জনগণের ইচ্ছার মাধ্যমে। নির্ধারিত সময় পরপর এবং প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ হবে।

১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই জাতিসংঘের কমিটি মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত একটি ঘোষণা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেখানে ২৫ টি বিষয় গ্রহণ করা হয়েছে।

দ্য রাইট টু পার্টিসিপেট ইন পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ভোটিং রাইটস এন্ড দ্য রাইট টু ইকুয়াল একসেস টু পাবলিক সার্ভিস শিরোনামের ঘোষণায় নির্বাচন ও ভোটাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয় উল্লেখ করা আছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টার ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের অফিস একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে। সেখানে মূল বিষয় ছিল মানবাধিকার এবং নির্বাচনের মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনন্সিটিটিউট (এনডিআই) তাদের এক রিপোর্টে বলছে- এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার যৌথভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। এগুলো সম্মান করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাধ্য।

পৃথিবীর নানা দেশে নির্বাচনের নানা পদ্ধতি রয়েছে। এনডিআই বলছে, কোন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শতভাগ সঠিক নয়। সব জায়গায় উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু তারপরেও কিছু সর্বজনীন বিষয় আছে যার মাধ্যমে বোঝা যায় নির্বাচন কতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন

নির্বাচন ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই এর মতে, একটি হচ্ছে ভোটাররা যাতে ঠিকমতো অংশ নিতে পারে।

অন্যটি হচ্ছে, যারা নির্বাচিত হতে চায় তাদের অধিকার যাতে ঠিকমতো রক্ষা করা হয়।

প্রার্থীদের জড়ো হওয়া কিংবা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে।

যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টার বলছেন, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এখানে বলা হয়েছে, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল ভোটারদের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে।

নির্বিঘ্ন প্রচারণা

প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে প্রচারণার জন্য ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে সে সুযোগ তাদের দিতে হবে।

এজন্য একটি নির্বাচনী পরিবেশ দরকার যেখানে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা তাদের বার্তা জনগণের কাছে ঠিকমতো পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।

জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

১৯৯৪ সালের ২৬ মার্চ প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সর্বসম্মত ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রচারণার জন্য দেশজুড়ে প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।

স্বাধীন পর্যবেক্ষক

নির্বাচনের প্রতিটি দিক পর্যবেক্ষণের জন্য নাগরিক সংগঠনগুলো যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য অবশ্যই তাদের সুযোগ দিতে হবে। এটি এক অর্থে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস প্রিন্সিপাল অনুযায়ী রাষ্ট্রের সুশাসন এবং জনগণের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়া নাগরিকদের অধিকার রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস পিন্সিপাল এর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।

ভোট দান এবং গণনার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে কী না সেটি স্বাধীনভাবে নিরীক্ষা করা উচিত। ব্যালটের নিরাপত্তা এবং ভোট গণনার পদ্ধতির উপর মানুষের যাতে আস্থা থাকে সেজন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষকের উপর জোর দেয়া হয়েছে।

নির্দলীয় পর্যবেক্ষকদের বিষয়টি আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক সনদে উল্লেখ করা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই বলছে, পর্যবেক্ষকরা যাতে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং নির্বাচনের আগে ও পরে তাদের সংশ্লিষ্ট কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

পর্যবেক্ষকরা যাতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয় করতে পারে এবং আর্থিক সহায়তা নিতে পারে সেটির অনুমতি দিতে হবে। তবে পর্যবেক্ষকদের হতে হবে স্বাধীন ও নির্দলীয়।

গণমাধ্যমে সমান সুযোগ

সরকার-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যাতে কথা বলতে পারে এবং তাদের সমানভাবে সুযোগ দেয়া জরুরি।

এছাড়া নির্বাচন সংক্রান্ত কাভারেজ সঠিকভাবে দেবার জন্য বেসরকারি গণমাধ্যম যাতে নৈতিকভাবে এবং নির্বাচনের বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করে সেজন্য তাদের উৎসাহিত করতে হবে।

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রার্থী এবং প্রতিটি দল যাতে প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে সমান সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

স্বাধীন সংস্থা

জাতিসংঘ কমিটির গৃহীত ঘোষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচনী সংস্থা থাকতে হবে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

গোপন ব্যালটে ভোট দেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এখানে কোন ধরণের বিধি-নিষেধ কিংবা বৈষম্য থাকা যাবে না।

অন্যান্য বিষয়

ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে সেটির নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

কোন ধরণের ভয়ভীতি, অর্থের প্রলোভন কিংবা কোন অযাচিত প্রভাব যাতে ভোটারদের উপর না থাকে।

এছাড়া ভোট দেবার পর ভোটাররা যাতে কোন প্রতিহিংসার শিকার না হয়।

নির্বাচনে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য যাতে ভোটারদের কাছে থাকে। যাতে ভোটাররা বুঝতে পারে তারা কাকে ভোট দিচ্ছে।

ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরী।

জাতিসংঘ কমিটির ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রার্থীদের এজেন্টের সামনে ভোট গণনা করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন

আরও খবর