আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শেরপুরে আপনজনদের হুমকিতে এসএস‌সি দি‌তে পার‌ছেন না রুদ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

প‌রিবা‌রের ভ‌য়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দি‌তে পারছেন না বলে দাবী করেছেন মোঃ রুদ্র মিয়া (১৭) না‌মের এক এতিম পরীক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, তার নামে রেখে যাওয়া দাদার সম্প‌ত্তিও পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক দখল ক‌রে নেওয়ার চেষ্টা কর‌ছে ব‌লে অভি‌যোগ ক‌রেন তি‌নি।

রোববার (১৮ সে‌প্টেম্বর) দুপু‌রে শেরপুর প্রেসক্লা‌বে আ‌য়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তার আপন দাদী, ফুপু ও চাচা-চাচীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন ওই পরীক্ষার্থী। রুদ্র শহরের নবীনগর এলাকার মৃত নবীকুল ইসলামের একমাত্র সন্তান। এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার ক‌রে‌ছে ওই প‌রিবার।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব্যে রুদ্র জানান, তারা বাবা নবীকুল ইসলাম ২০০৬ সালে এক মারামারিতে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর ২০০৬ সালে তার দাদা মৃত আব্দুল গণি মিয়া রুদ্রর নামে শেরপুর জেলার বয়রা পরানপুর মৌজার বিআরএস খতিয়ান নং ১৩৫৬, বিআরএস দাগ নং ১৩৫ এর মোট ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে সোয়া ছয় শতাংশ এবং অন্যান্য দাগেসহ মোট সাড়ে ১৯ জমি দলিলমূলে লিখে দেন। কিন্তু সকল দলিল তার দাদী জয়গুণ বিবি, ফুপু শিল্পী বেগম, চাচা মিলন ও চাচী স্বপ্না বেগম অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের কবজায় রেখে দিয়েছেন।

এছাড়া বাবার মৃত্যুর পর মৃত্যুজনিত মামলায় আপোস-মিমাংসা বাবদপ্রাপ্ত ১৫ লক্ষ টাকাও আত্মসাত করেছেন তারা। একইসাথে তারা জমি জোরপূর্বক দখল ক‌রে নেওয়ারও চেষ্টা করে যা‌চ্ছেন।

রুদ্র আরও জানান, এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও পারিবারিক অশান্তি ও তাদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় বর্তমানে এখন নানীর বাড়ি আশ্রয় নেওয়ায় এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তিনি। তাকে পাগল বানিয়ে বেড়ি পড়ানোর হুমকিও দিয়ে আসছেন ওই প‌রিবারটি, এজন্য নিজেকে রক্ষায় নানীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তি‌নি। বর্তমানে তিনি ও তার নানীর পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিধায় এ ব্যাপারে দ্রুতই সদর থানায় এক‌টি সাধারণ ডা‌য়ে‌রি করবেন বলেও জানান তিনি।

রুদ্রর নানী মাহফুজা বেগম ব‌লেন, আমার নাতী‌কে নি‌য়ে ১৩‌ দিন যাবৎ তা‌দের ভ‌য় ও হুম‌কির কার‌ণে দিন কাটা‌চ্ছি। আমি এ বিষ‌য়ে স‌ঠিক বিচার চাই।

তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করে রুদ্রর দাদী জয়গুণ বেগম, ফুপু শিল্পী বেগম ও চাচা মিলন মিয়া জানান, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, তার (রুদ্র) জমি সব এখানেই আছে। কেউ বিক্রি করতে চাইনি বা কিছু বলাও হয়‌নি। রুদ্র ১৫দিন আগে নানীর বাড়ি চলে গিয়ে তাদের প্ররোচনায় এসব কথা ও কাজ কর‌ছে ব‌লে জানান তারা। রুদ্রর থাকার জন্য দাদী জয়গুণ বেগম ঘরও ছেড়ে দিতে চেয়েছেন, কিন্তু সে মা ও নানীর প্ররোচনায় এখানে এখন থাকতে চায় না।

বাবার মৃত্যুর পর মৃত্যুজনিত মামলায় আপোস-মিমাংসা বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার বিষয়ে তারা জানান, রুদ্রের মা অন্যত্র বিয়ে করেছে, আমরাই তাকে লালন-পালন করেছি। এতে তো অনেক খরচ হয়েছে। তখনতো কেউ খোঁজ নেয়নি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান ব‌লেন, এ বিষ‌য়ে আমি অবগত ছিলাম না, আপনার মাধ‌মেই জানলাম। আমরা সেই শিক্ষার্থী‌কে পরামর্শ দি‌বো আইনগত প্রক্রিয়ায় যে‌তে। ত‌বে, সে য‌দি আমা‌দের কা‌ছে আসে তাহ‌লে আমরা তা‌কে সহ‌যো‌গিতা কর‌বো।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ব‌ছির আহ‌ম্মেদ বাদল ব‌লেন, এ ব‌্যাপা‌রে এখন পর্যন্ত কোন অভি‌যোগ পাইনি, অভি‌যোগ পে‌লে তদন্ত সা‌পেক্ষে আই‌নি ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর এসএসসি

আরও খবর



৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

৭ ঘণ্টা পর পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া দুটি টেনের দুই বগি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তারপর ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগি উদ্ধারে কাজ করে।

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী

আরও খবর



‘ট্রাব স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেলেন ড. মো: সাদী-উজ-জামান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

আবাসন খাতে অসামান্য অবদানের জন্য টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ-ট্রাব ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক-আয়োজিত ট্রাব স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ পেয়েছেন ড. মো: সাদী-উজ-জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নতুনধরা গ্রুপ ও কো-চেয়ারম্যান- এফবিসিসিআই স্টান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপার্স। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ড. মো: সাদী-উজ-জামান। ২১ ফেব্রুয়ারি২৪ ইং তারিখে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: সাদী-উজ-জামানসহ সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, এ. কে.এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি, আনিসুর রহমান মিঞা (সচিব), চেয়ারম্যান, রাজউক, ফারুক হাসান, সভাপতি, বিজিএমইএ, ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিলাল হক, চেয়ারম্যান, নন্দন পার্ক লিমিটেড। রেদুয়ান খন্দকার, ট্রাবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সাংবাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সালাম মাহমুদ, সভাপতি টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ-ট্রাব। অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি


আরও খবর



এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা

পিরোজপুরে কেন্দ্র পরিবর্তন হওয়ায় অংশ নেয়নি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আদেশে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদ্য সমাপ্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি দুইতৃতীয়াংশ পরীক্ষার্থী। নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব ও যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ভোকেশনাল  পরীক্ষায় জেলার নাজিরপুরের মালিখালী ইউনিয়নের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (কোড-৩৭০৩৬) ভেন্যু বাতিল করা হয়। এতে ওই এলাকার আশেপাশের তিনটি স্কুল লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে । এই তিন স্কুল থেকে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০ জন কারিগড়ি পরীক্ষা দিতো লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । পরীক্ষা কেন্দ্র ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার আদেশ আসায় ওই স্কুল গুলোর দশম শ্রেণির (কারিগরি) ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেনি। এ কারনে এবার এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষার জন্য ফর্মফিলাপ করে মাত্র ৩১ জন শিক্ষার্থী।

নির্ধারিত নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বাতিল হওয়া কেন্দ্র থেকে ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ভোগান্তিতে পরে ৩১ পরীক্ষার্থী। স্কুল গুলোর শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথমদিনে পরীক্ষার্থীরা মধুমতি নদী পারি দিয়ে চড়াই উৎরাই পার হয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে অনুপস্থিত হয় ৩জন। এভাবে শেষ পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮ জনে।  শেষ পর্যন্ত ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে করে ১৮ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে। এ নিয়ে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (অনুপস্থিত) পরীক্ষার্থী অশোক কির্তনিয়া বলেন, নতুন কেন্দ্র নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার দুরত্বের কারনে এবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারিনি। তাছাড়া আমি ওখানে থেকে যে পরীক্ষা দিবো তার ব্যায় আমার বাবা বহন করতে পারবে না। যদি আবারও লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় তাহলে আগামী বছর পরীক্ষা দিবো।

লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লাবন্য মল্লিক বলেন, আমি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে নাজিরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হওয়ায় আমি আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না। ৩৪/৩৫ কিলো মিটার দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাছাড়া বড় একটি নদী খেয়া পার হয়ে যেতে হয়। আমরা সকালে রওয়ানা দিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে ৩ ঘন্টা লেগে যেতো। এভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না। যদি  কখনও লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ,তাহলে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবো। না হলে আর পরীক্ষা দেয় হবে না।

এ বিষয়ে মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থী রনজিত বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারছি এতো দূরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার খরচ মেটাতে না পারায় পরীক্ষা দেয় নাই। এবার লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি ভোকেশনাল ১৮ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, এভাবে কেন্দ্র কেটে নেয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। তিনটি স্কুল দিয়ে এবার সব কটি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ১৩ জন। আর গত দশ বছর লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকায় প্রতি বছর প্রায় ৫০/৬০ পরীক্ষা দিতো। ফলাফলও ভালো করতো।

এ বিষয়ে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করেছিলো ৩৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র নাজিরপুর সদরে চলে যাওয়ায় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপ করে। ১৩ শিক্ষার্থী আর ফর্মফিলাপ করে নাই। এ থেকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

এ বিষয়ে পিরোজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমার এই বিষয়টা জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবো। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

উল্লেখ্য , ২০১৩ সালে লরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কেন্দ্রে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মানিক নগর কারিগরি ইনষ্টিটিউট এর কারিগরি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতো।


আরও খবর



এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেড়ে নেয় ২৬টি প্রাণ। আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: এফআর টাওয়ার

আরও খবর



মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ নির্মাণের পরিবর্তে পৃথিবীকে রক্ষা করুন: ওবামা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখার আগে মানবতাকে অবশ্যই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে। কারণ পারমাণবিক যুদ্ধ এবং লাগামহীন জলবায়ু পরিবর্তন ঘটলেও পৃথিবী লাল গ্রহটির থেকে অনেক বেশি বাসযোগ্য।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই কথা বলেন।

বারাক ওবামা সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, এখানে অনেকেই আছেন যারা মহাকাশযান তৈরি করছেন। যা মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যেতে পারে। কিছু লোক মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলছে। কারণ পৃথিবীর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। যখন আমি এই ধরনের কথা শুনি তখন আমি তাদের দিকে তাকাই। তারা কী বলছেন!

ওবামা আরও বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের পরেও পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের চেয়ে বেশি বাসযোগ্য হবে। এমনকি যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কিছু নাও করি তবেও এটিতে অক্সিজেন থাকবে। আমি বরং তাদের সবাইকে এই গ্রহের যত্ন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবো।

তিনি বলেন, মহাকাশ অনুসন্ধান মানবতার জন্য নতুন বসবাসের স্থান তৈরি করার পরিবর্তে জ্ঞান এবং আবিষ্কারের জন্য হওয়া উচিত।


আরও খবর