আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শেরপুর পৌর এলাকায় ১৪ দিনের বিধি-নিষেধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির

শেরপুর জেলায় করোনা সনাক্তের হার দ্রুত গতিতে বেড়ে যাচ্ছে। গত মে মাসের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুন বেড়ে গেছে। জেলায় গোটা মে মাসে ৬৮ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছিলো। আর জুন মাসের প্রথম ১০ দিনেই ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জুন ৬৯ জনের করোনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদের সবার বাড়িই শেরপুর পৌর এলাকায়। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই জেলায় দ্রুত করোনা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে এমনটাই মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে উদ্বিগ্ন জেলার সচেতন মহল।

এ অবস্থায় জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক জরুরী মিটিং বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের বাসভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ১১জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ (আংশিক লকডাউন) আরোপ করা হয়। আরোপিত বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, করোনায় আক্রান্তের বাড়ি পুরোপুরি লকডাইনে থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক স্পট, পর্যটন ও পার্কসমুহ বন্ধ থাকবে, সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপার্ট খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্য না মানলে ওইসব দোকানপার্ট ও স্বপিংমলকে বন্ধ করে দেয়া হবে। জরুরী পরিসেবা ও প্রয়োজন ছাড়া কেউ সন্ধা ৭টা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। হোটেল রেস্তোরায় কেউ বসে খেতে পারবে না। শুধুমাত্র পার্সেল দিতে পারবে। সিএনজি, অটোরিক্সাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনে দুই জনের বেশি যাত্রী উঠানো যাবে না। যাত্রীবাহী যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠানো যাবে না। আর সবাইকে মাক্স পরা বাধ্যতামূলক।

সভায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ও সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনোয়ারুর রউফ প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

শেরপুরের  জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনোয়ারুর রউফ জানান, আমরা সবার সাথে পরামর্শ করে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি। আগামী রবিবার আবার বসবো। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



৮ ঘণ্টা পর নিভল খুলনার জুট মিলে লাগা আগুন, চলছে ডাম্পিং

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রায় ৮ ঘণ্টা পর খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসায় সালাম জুট মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ও নৌবাহিনীর দুইটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন চলছে ডার্মিংয়ের কাজ চলছে। এ ঘটনায় জুট মিলের চারটি গোডাউনে থাকা কাঁচা পাট ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত করা সব পাটই পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগা জুট মিলে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। বারবার এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হলেও মালিকপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে, পাটের আগুন হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আসতে এত সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, আমার স্টেশনের ১১টা ইউনিট কাজ করেছে। আমারও একটি গাড়ি আছে, তবে সেটি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার গাড়ি না। সেটা না ধরলে ১০টা ইউনিট হবে। আর প্রতিটি গাড়িতে দুইটি করে পাম্প থাকে। আমরা ২০টা পাম্প সেট করেছি, কমপক্ষে ২২-২৩ লাইন খুলেছি। পরে দেখলাম আমরা একটা প্রান্তে ঢুকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার একটি ইউনিট রয়েছে, যেটা কোথাও কাটাকাটি করা লাগলে আমরা ব্যবহার করি। সেটিকে রেসকিউ ইউনিট বলা হয়। পরে ওই ইউনিট দিয়ে আমরা পেছন থেকে দুইটা দেয়াল কাটি।

তিনি বলেন, জুট মিলের দেয়ালগুলো ১২ ইঞ্চির। আর এটা একটা জেলখানার মতো জায়গা। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু করছে যেন মানুষ অপরপাশ দিয়ে না আসতে পারে। একটা করিডোরও তো রাখা যেতো। ২টা মানুষ যে এক্সিট হবে সে পথ রাখে নাই। দুইটা গেট রাখতো।

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার এই জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এরপর একে একে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় ১১টি ইউনিট। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ২টি ইউনিট।

এদিকে, জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম জানিয়েছেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য ছাড়াও প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইনস্যুরেন্স করা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা জুট মিল

আরও খবর



ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা সাতটি ভলভো বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

আজ সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি বলেন, ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত ৭টি ভলভো বাসে আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়ায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ দিন খালিদ।

তিনি জানান, ডেমরার কোনাপাড়ার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভলভো বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে ডেমরা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পরে সিদ্দিকবাজার থেকে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




পুলিশের হাতে আটক ‘বিগ বস’ তারকা মুনাওয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না বিগবস-১৭ বিজয়ী মুনাওয়ার ফারুকির। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে এর আগেও তাকে জেলে যেতে হয়েছে। এবার মুম্বাইয়ের হুক্কা বারে গিয়ে আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে। সম্প্রতি বিগবস ওটিটি ২’র বিজেতা এলভিশ যাদব গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাপের বিষ পাচারকাণ্ডে। এবার এক হুক্কা বারে হানা দিয়ে মুনাওয়ারসহ ১৪ জনকে আটক করল পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে মুম্বাই পুলিশ।

সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের ফোর্ট এলাকার বোরা বাজারে অবস্থিত এই হুক্কা বারটি বেআইনিভাবে চলছিল, এমন খবর পায় মুম্বাই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চ। হার্বাল হুক্কার নাম করে মাদক মেশানো হুক্কা দেদার বিকোচ্ছে সেখানে, এমনই অভিযোগ ওই বারের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেখানে রেইড দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে হানা দিয়ে ৪ হাজার ৪০০ টাকা নগদ এবং ১৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ৯টি হুক্কা খাওয়ার পাত্র জব্দ করেছে মুম্বাই পুলিশ।

বিবৃতিতে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, হানার পর দেখা যায়, অভিযোগ সত্যি। সেখানে মাদক মেশানো হুক্কাই বিক্রি হচ্ছিল। যা সিগারেট ও অনান্য টোবাকো প্রোডাক্ট আইনের আওতায় পড়ে।

ইতিমধ্যেই ওই হুক্কা বারের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে আটক করে মুনাওয়ারসহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগেই এলভিশ যাদবের প্রতি সমবেদনা জাহির করে সমালোচিত হয়েছিলেন মুনাওয়ার। ২০২১ সালে প্রায় এক মাস ইন্দোর সেন্ট্রাল জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। এক কমেডি শো-তে হিন্দু দেবী-দেবতাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। একমাস পর জামিনে ছাড়া পান তিনি।

এরপরই কঙ্গনা রনৌতের লক আপ’ শো-তে অংশ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন এই স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান। সেই শোয়ে বিজয়ীও হন। বিগ বসের সদ্য সমাপ্ত সিজনেও শুরু থেকেই নজর কেড়েছেন মুনাওয়ার। খেতাবও জেতেন তিনি।


আরও খবর



পরীর টলিউড যাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই দেশের শহর ভিন্ন হলেও ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। ভাষা তো বটেই, সংস্কৃতিগত দিক দিয়েও দুই অঞ্চলের মানুষ মিলেমিশে একাকার। ফলে পারস্পরিক শিল্পী বিনিময় চলছে যুগ যুগ ধরেই। কলকাতার অভিনয়শিল্পীরা যেমন ঢাকায় কাজ করেছেন, করেন; তেমনি ঢাকার তারকারাও পা মিলিয়ে যাচ্ছেন টলিউডের পথে।

এবার ঢাকা টু কলকাতা অধ্যায়ের নতুন নাম পরীমণি। টলিউডের সিনেমায় কাজ করছেন তিনি। খবরটা অবশ্য কদিন আগেই দিয়েছেন এ নায়িকা। গত ১৮ মার্চ শুরু হয়েছে তার সেই মিশন। সোশ্যাল হ্যান্ডেল মারফত খবরটা তিনি নিজেই দিয়েছেন। এদিন বিকালে ফেসবুক স্টোরিতে ক্যামেরার ছবি শেয়ার করেন পরী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চিত্রগ্রাহক চিত্র ধারণ করছেন। সঙ্গে পরী বলেছেন, শুটিং চলছে।

এর আগে, গত ১৭ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে কলকাতায় গেছেন পরীমণি। বিমান সফরের এক ঝলক অন্তর্জালে শেয়ার করে নায়িকা বলেছেন, যাচ্ছি! কলকাতায় কাল প্রথম শুটিং। দোয়া করবেন।

অতীতে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করেছিলেন বটে। তবে এই প্রথম কলকাতার স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ছবিতে কাজ করছেন পরীমণি। তাই উচ্ছ্বাসের মাত্রাও কিঞ্চিৎ বেশি। ছবির নাম ফেলুবকশি। এটি পরিচালনা করছেন দেবরাজ সিনহা। ছবিতে পরীর সঙ্গে সোহম চক্রবর্তীকে দেখা যাবে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর