ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ আগামী সপ্তাহে শেষ হবে এবং সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ওই অংশটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও যশোরকে যুক্ত করার জন্য ৩৯,২৪৬.৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অংশ ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ট্রেন দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন সার্ভিস শুরু হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ভাঙ্গা-যশোর সেকশনের কাজ শেষ হতে আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ১৬৯ কিলোমিটার রেল লাইনটি সম্পূর্ণ চালু হলে, এটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ভ্রমণের সময় অর্ধেকে নামিয়ে আনবে এবং মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইলকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের মে মাসে অনুমোদন পায় এবং চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্বের কারণে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাজ শুরু হয়।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেললাইন বসানোর কাজ ২৫ আগস্টের মধ্যে শেষ হবে। বাংলাদেশ রেললাইন কিছু পরীক্ষা চালাবে এবং ১০ সেপ্টেম্বরের আগে ট্রায়ালে যাবে। আমরা লাইনটি চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সময় চেয়েছি। আমরা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ওই অংশটি চালুর জন্য প্রস্তুত থাকব। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেললাইনটি চালু করা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুরুতেই মাওয়া, পদ্মা (জাঞ্জিরা) ও শিবচর নামে ৩টি নতুন স্টেশন তৈরি করা হবে। এই অংশের অন্যান্য স্টেশন তৈরি করতে আরও ২-৩ মাস সময় লাগবে। আগামী বছরের মার্চে ভাঙ্গা মোড় তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।