ঢাকার সেন্ট্রাল
হাসপাতালে নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর চারদিন পর মা মাহবুবা রহমান আঁখিরও মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দুপুর সোয়া ২টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে আঁখি মারা যান বলে তার ভাই শামীম
জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (১৪ জুন) ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। মামলার পর দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রোগীর স্বামী ইয়াকুব আলী সুমনের অভিযোগ, সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে তার স্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়। ওই চিকিৎসকের অধীনেই তার স্ত্রীর ডেলিভারি হওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেশে ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করে এবং ডেলিভারি করে।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচবার ভূমিকম্প
সুমন জানান,
তার স্ত্রী গত তিন মাস ধরে চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে নিয়মিত চেকআপ করাচ্ছিলেন।
তার শরীরের অবস্থা নরমাল ডেলিভারির জন্য ঠিক ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নরমাল ডেলিভারির
জন্য চেষ্টাও করেছিল।
যা ঘটেছিল
গত শুক্রবার
(৯ জুন) রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ডেলিভারির জন্য চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে সুমনের স্ত্রীকে
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে সময় ড. সংযুক্তা সাহার বদলে উপস্থিত ছিলেন
ড. মিলি। তিনি কোনো চেকআপ ছাড়াই তাকে কাটাছেঁড়া করেন।
সুমনের ভাষ্যমতে, ডেলিভারি করার জন্য তারা পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হতে থাকে এবং রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বের বাচ্চা বের করা হয়। ফলে বাচ্চার হার্টবিট কমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে নবজাতককে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৩২ বছর পর মুক্তি পাচ্ছেন জল্লাদ শাহজাহান
সুমন জানান,
এ অবস্থায় তিনি বারবার ড. সংযুক্তার খোঁজ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় তিনি দেশের বাইরে আছেন।
এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।
সেন্ট্রাল হাসপাতালে
সিসিইউ ও এনআইসিইউ না থাকায় সুমনের স্ত্রীকে ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে
নেওয়া হয়। এরপর সেন্ট্রাল হাসপাতাল সুমনকে জানায় তাদের বাচ্চাটি মারা গেছে। এ অবস্থায়
সুমন ৯৯৯ কল করে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।