আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল সেতু প্রকল্পে নিরাপত্তা বিধান, তেল পাইপ লাইন প্রকল্প এবং করোনা মহামারী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৩০ মে ) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের সেনাসদর কনফারেন্স হল হেলমেট এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ০৬ দিনব্যাপী এই পদোন্নতি পর্ষদে সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেঃ কর্নেল পদবীর যোগ্য অফিসারবৃন্দ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পাশাপাশি এ ধরণের সাহসী সিদ্ধান্তে জাতির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদরের কনফারেন্স হল হেলমেট এ সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২২ এ ভাষনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ব্যাংক বোর্ড সভা না করে শুধু দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় যা পরবর্তীতে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম। সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম, সৎ এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ন্যাস্ত করতে বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে সেনাবাহিনীকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে এবং তা ধরে রাখতে হবে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সৈনিকদের পেশাগত মান উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন তাঁর সরকার সেনাবাহিনীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও সময়োযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম অন্তর্ভূক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ শুধু দেশের প্রতিরক্ষার কাজে নয় বরং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। দেশের যেকোন দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল সেতু প্রকল্পে নিরাপত্তা বিধান, তেল পাইপ লাইন প্রকল্প এবং করোনা মহামারী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিতে যে মজবুত ভিত তৈরী হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।

এর পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাসদরে এসে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আরসিডিএস, পিএসসি এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলম এবং সেনাবাহিনীর জেনারেল পদবীর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে যোগ।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বোমা হামলা: জাতিসংঘ কর্মীসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাফাহ শহরে জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় এক ত্রাণকর্মীসহ কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২ জন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ২ শিশুসহ ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলী বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্লজ্জ অবহেলায় তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা নির্দিষ্ট হামলা চালিয়ে হামাস কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল নিহত ওই ব্যক্তিকে মোহাম্মদ আবু হাসনা হিসাবে শনাক্ত করেছে।

জেরুজালেমে আরও এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করেছে তারা। দক্ষিণ লেবাননে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন।

এরআগে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের উপর আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৩ জন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ২৪ জন।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর



দল থেকে বাদ পড়লেন লিটন, ডাক পেলেন জাকের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল থেকে বাদ পরেছেন অভিজ্ঞ ওপেনার লিটন দাস। তার জায়গায় তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকের আলীকে দলে ডাকা হয়েছে।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন লিটন। আবারও তার সেই অভিজ্ঞতা হলো। অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের জার্সিতে অফ ফর্মে লিটন। অপর দিকে মিডল অর্ডার উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পেয়েই পারফর্ম করেছেন। অফ ফর্মে থাকা লিটনের জায়গায় তাই জাকেরকে বেছে নিয়েছে নির্বাচক কমিটি।

শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন লিটন। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিন ম্যাচে রান করেছিলেন ৪৩। তিন সংস্করণ মিলিয়ে লিটন সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন গত বছরের অক্টোবরে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বশেষ ১৪ ইনিংসে ফিফটি পাননি তিনি।

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সরাসরিই বলেছেন, বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়লেন লিটন। তিনি বলেন, সাদা বলে লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যানের কারণে আমরা এই বদল করছি। দলে যেহেতু আরও দুজন ওপেনার আছেন সেই চিন্তা করেছি।

জাকের আলী অনিকের অন্তর্ভূক্তি মিডল অর্ডারে ভারসাম্য আনবে মনে করছেন প্রধান নির্বাচক, সিরিজ যেহেতু সমতায় আছে, আমরা বিশ্বাস করি জাকের যুক্ত হলে দলের মিডল অর্ডারে আরও ফ্লেক্সিবিলিটি তৈরি হবে।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয়টি মাঠে গড়াবে ১৮ মার্চ। সিরিজে এখন ১-১ ব্যবধানে সমতা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে শ্রীলংকা। অর্থাৎ তৃতীয় ম্যাচ জিতবে যারা সিরিজ তাদের।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, জাকের আলী, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এ ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এই দিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।

ওই দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইট-এর নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট।


আরও খবর



বিবিএসের জরিপ : দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। মোট ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাথ ৯০ হাজার বেশি।

রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

সভায় জানানো হয়, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশে সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে দেশে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।


আরও খবর