দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলার মাঝিরচর, নারিশা বাজার ও মুকসুদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাঁধ পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে আমার এই পদ্মা নদীর বাঁধ পরির্দশনের কারণ হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অধীনস্ত ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের কাজের কর্মকাণ্ড দেখা। তারা আজকে আমাকে পেয়ে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি খুব খুশি আমাদের যে কাজ দেওয়া হয়েছে তা আমরা নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে শেষ করতে পারবো এবং সেই সাথে কাজের কোয়ালিটিও রক্ষা করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে বা সরকারের প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে সব সময় প্রস্তুত থাকে। এই কাজগুলোতে আমরা সর্বোচ্চ কোয়ালিটি মেইনটেইন করি।
বাঁধ পরিদর্শনকালে সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের এই প্রজেক্টটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় পাশ করিয়েছিলেন। তখন এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। আজকে এই স্থানে এসে পরিদর্শন করার জন্য সেনা প্রধানকে ধন্যবাদ জানাই। দোহারের প্রধান সমস্যা ছিল নদী ভাঙ্গন তাই দোহারের মানুষের দাবি ছিল পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার। এটি বাস্তবায়িত্ব হলে আমার দোহারবাসী পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।
এমপি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে বলে আমি মনে করছি।
উল্লেখ, প্রকল্পটি গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে একনেক এ অনুমোদিত হলে গত এপ্রিল ২০১৯ এ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের মূল কাজ ছিল দুইটি। দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীর ঘেঁষে ৬ কি.মি. বাঁধ প্রতিরক্ষা এবং ১২.২০ কি. মি. ড্রেজিং। এরই মধ্যে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় ৬ কি. মি. এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সাথে ৬ কি. মি. স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩.৪৮ কি. মি. ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২.৫২ কি.মি. স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পথ সুগম হবে এবং একই সাথে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম সাকিব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি, দোহার থানা ওসি মো. মোস্তফা কামাল, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সোহাগ, নারিশা ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেকে।