আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শেখ রাসেল, অনন্ত বেদনার কাব্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তন্ময় আহমেদ

মাত্র দেড় বছরের এক শিশু। কিন্তু তার পেছনেও গোয়েন্দা লেগেছে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, কিন্তু এটাই সত্য। বাঙালি জাতির জাগরণকালে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে জন্মেছিল যে শিশু, জান্তাদের দানবীয় ষড়যন্ত্র তাকে নিয়ে গেছে ইতিহাসের ভাগ্যহত নক্ষত্রদের কাতারে। সেই দেবশিশুর নাম শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। রাসেলের বয়স তখন দেড় বছর। বাঙালির বাঁচার দাবি 'ছয় দফা' ঘোষণা করেন শেখ মুজিব। এরপর, ১৯৬৬ সালের ৮ মে রাতে, তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি শোষকরা। অবশেষে ১৯৬৯ সালে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি। হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।

বন্দি পিতার দীর্ঘ জেলজীবনের সময়টাতে, তার সঙ্গে দেখা করতে, মায়ের কোলে চড়ে নিয়মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেত ছোট্ট রাসেল। কিন্তু গোয়েন্দারা কোলের শিশু রাসেলকে নিয়ে জেরার মুখে ফেলতেন বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবকে। তাই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বাপের পেছনে গোয়েন্দা লেগেছিল ২৮ বছর বয়সে, আর ছেলের পেছনে লাগল দেড় বছর বয়সেই।

১৯৭১ সাল, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ রাসেলের বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। পিতা মুজিব পাকিস্তানের কারাগারে, দুই ভাই কামাল ও জামাল রণাঙ্গনে। ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের একটা বাসায় মা ফজিলাতুন্নেচ্ছা এবং দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে তাকে। বড় বোন শেখ হাসিনাও তখন অন্তঃসত্ত্বা, আকাশে নিয়মিত যুদ্ধবিমানের মহড়া, পিতা ও ভাইদের দীর্ঘকাল অনুপস্থিতি। প্রাণচঞ্চল রাসেল তখন অবসাদে ভেঙে পড়ে। প্রায়শই দুচোখ ভিজে উঠতো হৃদয়ভাঙা নোনা জলে। কিন্তু কাউকে সহজে বুঝতে দিত না সে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন, প্রথমবারের মতো মুক্ত জীবনের স্বাদ পেল ছোট্ট রাসেল। ভর্তি হলো ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে। কচিকাঁচার দলের সঙ্গে ছিল তার অবাধ মেলামেশা। বাড়ি থেকে দেওয়া টিফিন ভাগ করে খেত বন্ধুদের সঙ্গে। সুসম্পর্ক ছিল শিক্ষক থেকে গৃহকর্মী, সবার সঙ্গে। জাতির পিতার সন্তান হিসেবে তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। জেলজীবন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থেও তাকে নিয়ে লেখা আছে অনেক দুঃখগাঁথা। ১৯৬৬ সালের ৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, বাচ্চারা দেখতে চায় কোথায় থাকি আমি। বললাম, বড় হও, মানুষ হও, দেখতে পারবা। কিন্তু ছোট্ট রাসেলের আর বড় হওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট, কালরাতে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে, বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে। মাত্র দশ বছর দশ মাস বয়সের এক নিষ্পাপ শিশু, কী দোষ ছিল রাসেলের!

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর, জন্মের পরেই চোখ মেলে দেখেছে ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি। পাকিস্তানিদের দীর্ঘ শোষণে ক্লান্ত- সাত কোটি বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে পড়া স্বাধীনতার উত্তাপ মেখে- বড় হয়েছে যে শিশু, সে তো স্বাধীনতারই প্রতীক। জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত মিছিল দেখে যার বেড়ে ওঠা, যার হাতে সুশোভিত উড্ডীন বাংলার জাতীয় পতাকা। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, সেই ছোট্ট শিশুকেও নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, সেই বিভিষীকাময় রাতে, ঘাতকরা যখন বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল, প্রাণে বাঁচার জন্য মিনতি জানিয়েছিল ছোট্ট রাসেল। কিন্তু ওই বুনোদল, সীমারদের মনে বিন্দুমাত্র মায়া ছিল না। শিশু রাসেলকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে এক ঘাতক সেনা। ফোটার আগেই সুরভি ছড়াতে শুরু করেছিল যে ফুল, তার অকালে ঝরে যাওয়ার শোকে- আজও প্রতিটি ভোরে বাংলার মাঠে-ঘাটে অজস্র বকুল ঝরে। আজও বাংলার প্রতিটি শিশুর প্রাঞ্জল হাসির শব্দে ভেসে ওঠে- রাসেলের মায়াবী মুখখানি, শিশুদের ভেজা কপোল ছুঁয়ে নামে রাসেলের চোখের পানি।

লেখক: কো-অর্ডিনেটর, সিআরআই এবং এএলবিডি ওয়েব টিম

নিউজ ট্যাগ: শেখ রাসেল

আরও খবর



বরগুনায় বাংলাদেশ বুলেটিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় র‍্যালি শেষে বরগুনা কাঠপট্রী সদর রোড মিলেনিয়াম টেলিভিশনের অফিস ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ বুলেটিনের নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চ্যানেল আই ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বরগুনা প্রতিনিধি হাসানুর রহমান ঝন্টু।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশের খবর পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান, মিলেনিয়াম টেলিভিশন ও আমাদের কন্ঠ পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। আলোচনা শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


আরও খবর



সমুদ্রের শহরে রেলস্টেশনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে এতদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথে পর্যটকদের আসার সুযোগ থাকলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। সমুদ্রের শহর ছোঁয়া এই রেল স্টেশনের ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (শনিবার) বেলা ১টায় কক্সবাজার-দোলহাজারী রেলপ্রকল্প অনুষ্ঠানস্থল থেকে এটির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হওয়া কক্সবাজার রেল যোগাযোগের উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পতাকা উড়িয়ে হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে এ রুটে ট্রেনের। এরপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহউদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।

ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত নিজস্ব কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কিছু সময় অতিবাহিত করে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে তিন বাহিনীর প্রধানেরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। এ ছাড়া পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ ও তিনজন বিমানবাহিনী সদস্যকে ২০২২-২৩ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হবে।

এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিসহ অনেকে।

এদিকে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সেনা গ্যারিসন, নৌ ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজগুলো মঙ্গলবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


আরও খবর



ভারতের উত্তর প্রদেশে হালাল পণ্য নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তর প্রদেশে রাজ্য সরকার হালাল লেখাযুক্ত পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। এখন থেকে প্রদেশটিতে কোনো সংস্থা পণ্যের হালাল সনদ দিতে পারবে না। তবে রপ্তানির জন্য উৎপাদিত পণ্য নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের মধ্যে হালাল-প্রত্যয়িত ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও প্রসাধনী উৎপাদন, মজুত, বিতরণ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, উত্তর প্রদেশে হালাল খাবার উৎপাদন, সংগ্রহ বা স্টোরেজ, বণ্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো।

হালাল খাবার অর্থ খাবারটি ইসলামি আইন অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে এবং মুসলমানদের খাওয়া নিষিদ্ধ এমন কোনো উপাদান থেকে এটি মুক্ত। ভারতের একাধিক সংস্থা এই সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জমিয়ত উলামা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি, হালাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া মুম্বাই, জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্র। 

আরও পড়ুন>> জাতিসংঘের ত্রাণ বন্ধ, ইথিওপিয়ায় ক্ষুধায় অর্ধশতাধিকের মৃত্যু

অভিযোগ রয়েছে, দুগ্ধজাত পণ্য থেকে শুরু করে মাংস, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু জিনিসের ওপর ভুয়া হালাল সার্টিফিকেট দিয়ে বিক্রি করা হয়। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এসব পণ্য বিক্রি করায় নির্দিষ্ট গোষ্ঠী লাভবান এবং অপরাপর গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, যা ভারতের আদর্শের পরিপন্থী।

রাজ্য সরকার যুক্তি দেখিয়েছে, পবিত্র ও হালাল খাবারের নামে রাজ্যে ব্যাপকভাবে প্রাণী হত্যা রোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরপর গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) উত্তর প্রদেশের হজরতগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই, জমিয়ত উলামা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি, হালাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া মুম্বাই, জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্রর মতো হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

ভুয়া হালাল সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি শোষণ করার অভিযোগে পুলিশ মামলা দায়ের করার পরে উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার এমন পদক্ষেপ নিল।


আরও খবর



ইসরায়েলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি বাইডেনের

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) যেসব কর্মকর্তা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংসতা পরিচালনা করছেন, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত ব্যক্তিগত কলামে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধের পর গাজাকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেই রাখার পক্ষে তারা। সেখানে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ মানে না যুক্তরাষ্ট্র। আমি ইসরায়েলের নেতাদের জোরালোভাবে বলছি, পশ্চিম তীরে ব্যাপক সহিংসতা চলছে এবং অবশ্যই তা বন্ধ করতে হবে। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে বাধ্য হবে। সেসব পদক্ষেপের মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত।

জো বাইডেন লিখেছেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, হামাস এবং পুতিন উভয়ই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্তির পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র কখনও তা হতে দেবে না। কারণ এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ সরাসরি সংশ্লিষ্ট।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গাজায় বোমা বর্ষণ শুরু দিন থেকে পশ্চিম তীর অঞ্চলেও অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। গত দেড় মাস ধরে চলমান এ অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতায় পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে প্রাণ হারিয়েছেন দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি। এছাড়াও সেখানকার বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সঙ্গেও সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।


আরও খবর