রাবি প্রতিনিধি:
শেখ রাসেল ছিলো আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান। তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো জাতির নেতৃত্ব দিতেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় কাজ করতেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য ৭৫’র ১৫ আগস্টে ঘাতকরা ১০ বছরের শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি, হত্যা করেছিল নির্মমভাবে। ঘাতকরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। রাসেল আজ বিশ্বে অধিকারবঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিক সত্ত্বা হিসেবে সবার মধ্যে বেঁচে আছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রাঙ্গনে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে 'শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দূরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারে। এজন্য শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর-যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু সে ছিল পরিবারের অন্যদের মতো বিনয়ী ও সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে ও বিশেষ ট্রাইবুন্যালে তাদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি ও জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী সকল শিশুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল ছিল এক হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল শিশু যাকে আমরা হারিয়েছি এক কালভোরে। রাসেল তো বাঁচতে চেয়েছিল কিন্তু ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শেখ রাসেল আজ আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আছে তার স্মৃতি। বাংলাদেশের সকল শিশুর মধ্যে আজও বেঁচে আছে শেখ রাসেল। রাসেলের চেতনায় শিশুরা যেন গড়ে উঠে এমনটি আশা করেন উপ-উপাচার্য।
স্কুলের অধ্যক্ষ লিসাইয়া মেহ্জবিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, ছাত্র-উপদেষ্টা এম তারেক নূর, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ অনুষদ অধিকর্তা ও বিভাগীয় সভাপতি, সহকারী প্রক্টর, সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রাধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রমুখ।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক শোভাযাত্রা স্কুল প্রাঙ্গণে যায়। শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য শেখ রাসেল মডেল স্কুলে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও স্কুল প্রাঙ্গণে ফুল গাছের চারা রোপণ করেন।