সরকার ও রাজনৈতিক
দল যখন সততা, আন্তরিকতা দিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে তখন জাতির উন্নতি ও কল্যাণ নিশ্চিত
হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের মৌলিক
চাহিদা পূরণে দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের
সূচনা হবে। মুজিববর্ষে এটাই হবে সবচেয়ে বড়ো অর্জন।
আজ সোমবার (২২
মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ
উপলক্ষ্যে আয়োজিত ১০ দিনের আয়োজনের ষষ্ঠ দিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সোমবার আয়োজনের
থিম ‘বাংলার মাটি আমার
মাটি। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নেপালের
প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জাতিসংঘের চূড়ান্ত
সুপারিশ অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার পথে দ্রুত অগ্রসরমান।
জলে-স্থলে-আকাশে
বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশকে সোনার বাংলা হিসাবে
গড়তে চেয়েছিলেন। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করেছেন,
বাংলাদেশের স্থল ও সমুদ্রসীমা স্থায়ীভাবে নির্ধারণ করেছেন।
৫৭তম দেশ হিসাবে
বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে যা সফলভাবে কাজ করছে। জাতির পিতার
স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার। তারই দেখানো পথে জাতির পিতার
সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে অযুত বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে
বাংলাদেশ।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
যাতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান
জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, শেখ
মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনও সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির
পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার
পথে।