মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশের কোথাও ক্ষুধা-দারিদ্র থাকবে না। বৈষম্য থাকবে না। খাবারের অভাব থাকবে না। সে জন্য আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছি। এক ইঞ্চি জমি যাতে খালি পড়ে না থাকে সেখানে ফসল প্রয়োজনে সবজি ফলাতে হবে। যারা মাছ ধরার দিকে সম্পৃক্ত শুধু নদীর মাছ না আপনার ঘরের পাশে যদি ছোট্ট ডোবা থাকে অথবা পুকুর থাকে সেখানে মাছ চাষের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাড়ির ছোট্ট জায়গায় মুরগীর খামার করেন। এভাবেই আপনারা সাবলম্বী হতে পারবেন।
মন্ত্রী আজ রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে সোশাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (এসসিএমএফপি), কম্পোনেন্ট-৩ কমিউনিটি এ্যাম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড লাইভলিহুড ট্রান্সফরমেশন যুব উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অভীষ্ট লক্ষ হচ্ছে দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে কর্মক্ষম করা। তাদেরকে উদ্যোক্তায় পরিণত করা, তারা যাতে সাবলম্বী হতে পারে সে দিকে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নানা ভাবে বেকারদের বেকারত্ব দুর করে তাদেরকে সাবলম্বী করার জন্য কাজ করছেন। তারই একটি অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত সুফল ভোগীদের জাল, গাভী, ছাগল দেয়া হচ্ছে। বেকারদের বিভিন্ন ভাবে সাবলম্বী করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চান একজন মানুষ বেকার থাকবে না। তিনি যেনো নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারেন। তিনি যেনো উদ্যোক্তা হতে পারেন।
সদর উপজেলা নির্বহী অফিসার মরিয়ম জাহানের সঞ্চালনায় ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বরিশাল বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালকদার, বরিশাল অঞ্চলের এসসিএমএফপি), কম্পোনেন্ট-৩ এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সামিউল হক।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি জেলা সমন্বয় সভার উপদেষ্টা হিসেবে সভায় যোগ দেন।
যুব উৎসবে যোগ দেয়ার আগে মন্ত্রী দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এআইজি প্রাপ্ত ৪০ জেলের মাঝে স্ত্রী ছাগল ও বৈধ জাল বিতরণসহ ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ১৭জন জেলের মাঝে এআইজিএ উপকরণ (বকনা বাছুর) বিতরণ করেন।