মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
মন্ত্রী শ ম রেজাউল এমপি করিম বলেছেন, আমার বিশ্বাস আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি। আমি
এমন কোন খারাপ কাজ করিনি ঘুষ-দুর্নীতি করি নাই যার কারণে আমাকে বাদ দেবে আমার মনে হয়
না। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে আগামী নির্বাচনে আসবো।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা
মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে “উন্নয়ন সমাবেশ” এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব
কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
আমি যদি বাড়ি বাড়ি এসে ভোট চাইতে না পারি আপনারা যারা এলাকার মুরুব্বিরা আছেন, যুবকরা
আছেন, আমাদের মায়েরা, বোনেরা আছেন ধরে নেবেন আমি আপনাদের ঘরের সদস্য। আপনার পরিবারে
আমি আপনার ভাই, সন্তান, আপনার বন্ধু সব কিছু মিলিয়ে আমি আপনাদের বাড়ির মানুষ। আমি আপনাদের
দেখাতে চাই আপনাদের ভোট অনেক মূল্যবান ভোট। আমার কাছে আপনাদের এক একটা ভোট লক্ষ লক্ষ
কোটি টাকার চেয়ে বেশি। গরীব অসহায় যে থাকে তার ভোটটা আমার কাছে মূল্যবান। ওই মানুষটার
ভোটটাকে আমি পবিত্র আমানত হিসেবে নিয়েছি। সেই জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, টিআর,
কাবিখা, স্কুল, মসজিদ, মন্দিও যেখানে যা করা দরকার করতেছি। আমি মিথ্যা মামলায় কাউকে
জড়াই না। আবার খুন-খারাবি করবেন আমার লোক ছাইড়া দেন। ওই কারবারটা আমি করি না। যে রকম
করবে তার সেই রকম ব্যবস্থা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবো না। কারণ আমি ঘরে কেন ভোট চাইতে আসবো। দূরের ওই নতুন উপজেলা ইন্দুরকানী পিরোজপুর সেখানে ভোট চাইতে যাবো নাকি এই নিজেদের ঘরের মানুষদের কাছে যাবো। আমি আজকেই দাবি জানিয়ে যাচ্ছি মনোনয়ন পাওয়ার পর আমি চেষ্টা করবো আপনাদের কাছে আসতে। যদি আসতে না পারি আপনারা প্রত্যেকে এক একজন রেজাউল হবেন। আপনারা আপনাদের বাড়ির লোকদের বুঝাবেন। কারণ আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার লাভ হবে। ভোট কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভোটার নিয়ে আসতে হবে। একটা ভোটার যেনো বাড়িতে না থাকে। আমি তো আপনাদেরই একজন। আমাকে কোথায় আপনারা ফেলে দেবেন। চোখ বন্ধ করে একবার ভেবে দেখবেন আপনজনকে তাড়িয়ে দিলে কোন লাভ হয় না। আমি তো আপনাদের নির্ভেজাল স্বজন। নির্ভেজাল আপনজন। আমি রাজনৈতিক কারণে একজনকেও হয়রানি করিনি। কারো সঙ্গে কটু কথা বলিনি। গালিগালাজ করিনি। তাহলে আমাকে কেন ভোট দিবেন না।
মন্ত্রী আরও
বলেন, আগামি নির্বাচন জানুয়ারিতে। সম্ভবত ৪ জানুয়ারি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে ১৫
নভেম্বর। এখন আমাদের সময় খুব কাছাকাছি। ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলে প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন
তারা এলাকায় আসবে। নৌকা মার্কা যে নিয়ে আসবে তার পক্ষে ভোট দিতে হবে। কারণ শেখ হাসিনাকে
প্রধানমন্ত্রী বানাতে হলে নৌকার এমপি বেশি লাগবে। না হলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা রাস্তায়
বসে থাকবে। আর রাজাকাররা চাঁদ-তারা পতাকা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে। আর ওই সময় দুর্নীতিবাজ,
দস্যু, দুর্বৃত্ত এরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সেই জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে
হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে।
রেজাউল করিম বলেন, আগেও তো এমপি ছিলো তারা কি করেছে সেটা আপনারা জানেন। অসহায় দরিদ্রদের শেখ হাসিনার দেওয়া টিনের সাথের টাকাটাও মেরে দিয়েছে। নিয়োগ-বাণিজ্য করেছে। উন্নয়ন কাজের টাকার পার্সেন্টিজ খেয়েছে। ঘুষ-দুর্নীতি করেছে। ওদের থেকে সাবধান। যদি চান আমার পূর্বের সিষ্টেম ভালো ছিলো তাহলে আমাকে বাদ দেবেন। আর যদি মাস্তানদের দিয়ে নেতা গিরি করানো লাগবে তাহলে আমাকে বাদ দেবেন। আমি নিজে অভদ্র না এ জন্য আমি ভদ্র লোকদের সাথে চলতে চাই। আপনারা যারা ভদ্র মানুষ, ভদ্র পরিবেশের মানুষ আমি তাদের সাথে চলতে চাই।