স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। জুনেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে খুলে যাবে যোগাযোগের নতুন দুয়ার। শুধু তাই নয়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসানও হবে এতে। উদ্বোধনের প্রাক্কালে পদ্মাসেতু নিয়ে প্রশংসায় ভাসছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা এখন দেশের মানুষ থেকে শুরু করে বিদেশেও।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কণ্ঠেও ঝরছে প্রশংসা বাক্য। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, অসীম সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের নাম পদ্মাসেতু।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে পদ্মাসেতু যে কতটা জরুরি ছিল, সে সম্পর্কে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি নাতীদীর্ঘ নিবন্ধ রচনা করেছেন তিনি। সেখানেই বিস্তারিত তুলে ধরেছেন শ ম রেজাউল করিম।
তিনি যা লিখেছেন, সেটা পুরোপুরি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
‘ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্স আটকে মাকে হারানো সন্তান জানে পদ্মাসেতু কি? ৩ ঘণ্টা দেরি হওয়াতে ইন্টারভিউ দিতে না পারা বেকার ছেলেটি জানে পদ্মাসেতু কি? কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ হলে ফ্লাইট মিস করা রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসী জানে পদ্মাসেতু কি? সারা বছর পরিচর্যার পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরিঘাটের গরমে থেকে বস্তায় পচা সবজিগুলো দেখা কৃষকটি বলতে পারবে পদ্মাসেতু কি? প্রচণ্ড ঝড়ে পদ্মায় ট্রলারসহ ডুবে যাওয়া সন্তানকে খুঁজে না পাওয়া বাবা-মা জানে পদ্মাসেতু কি? শত অনুরোধের পরেও নিজের নামে পদ্মাসেতুর নামকরণ করতে রাজি হননি শেখ হাসিনা। এই সেতু সাধারণ সেতু নয়, কারণ একজন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস এবং বড় একটি রাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ্মাসেতুর ঋণের টাকা আটকে দিয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তি এই সেতুর বিরোধিতা করেছিলেন। পদ্মাসেতু কখনোই একটি সাধারণ সেতু নয়। যারা শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড করতেও দ্বিধাবোধ করেনি, তাদের চ্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু তৈরি করা, নদীর নিচে ৫০তলা বাড়ির সমান পাইলিং করার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পদ্মার দু’পাড়ের মানুষ যারা সেই পথ ব্যবহার করে, তারা জানে এই সেতুর প্রতিটি স্প্যান শত আবেগ আর শত গল্পের বুক চিড়ে দাঁড় করানো হয়েছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনার জয়।