আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

‘শেখ হাসিনার বিচার চাই’ দাবিতে আবারও উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় গুলির নির্দেশদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি, প্রতি বিপ্লব রুখে দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে দখল দারিত্বের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে ফের উত্তাল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাজারো শিক্ষার্থী ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জমায়েত হন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় টিএসসি এলাকা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা, বিচার চাই বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই, আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে, দখলদারের রাজনীতি/শিক্ষকদের রাজনীতি, এই ক্যাম্পাসে হবে না, গেস্টরুম-গণরুম, এই ক্যাম্পাসে হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, খুনি হাসিনা পুলিশ দিয়ে গুলি করে এবং তার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিয়ে হামলা করে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে শহীদ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এর মধ্যে সে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সরিয়ে দিতে ১০ আগস্ট পাল্টা অভ্যুত্থান চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা খুনি হাসিনার এই গণহত্যার দায়ে শাস্তির দাবি জানাই। আন্তর্জাতিকভাবে যেন তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়, সেই দাবি জানাই।

তারা আরও বলেন, আমরা ঢাবি ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। আমরা চাই না আবার দখলদাররা আমাদের শোষণের সুযোগ পাক। আমরা গেস্টরুম ও গণরুম নামক জুলুম থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই না আর আমাদের ওপর জবরদস্তি করে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে বাধ্য করা হোক। আমরা ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির পরিবর্তে ছাত্র সংসদ চাই। আজকের এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা খুনি হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাই।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বাতিল, নতুন দায়িত্বে আবদুল আউয়াল মিন্টু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

এস আলম গ্রুপের কাছে সর্বশেষ দখল হওয়া বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন পর্ষদে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সই করা আদেশে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের নীতি নির্ধারণী দুর্বলতার কারণে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি, ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানি এবং আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে পর্ষদ সম্পৃক্ত থাকায় ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও জনস্বার্থে ন্যাশনাল ব্যাংকের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা করা হলো।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন ও পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০ আগস্ট বাতিল করা হয়েছে। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে।

নতুন পর্ষদে পরিচালক হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার আবদুল আউয়াল মিন্টু, উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, শেয়ারহোল্ডার জাকারিয়া তাহের এবং হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, সীমান্ত ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুখলেসুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন ও চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট মো. আব্দুস সাত্তার সরকার।

জানা গেছে, দেশের বড় বড় গ্রুপ বসুন্ধরা, নাসা, এস আলমসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কিন্তু তারা ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নানারকম স্বেচ্ছাচারিতা ও অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে গত মে মাসে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পর্ষদের বে‌শিরভাগ পরিচালক পদত্যাগ করেন।

এর আগে, ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্তৃত্ব ছিল সিকদার পরিবারের কাছে। ব্যাংকটির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার মারা যান ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরে কর্তৃত্ব নিয়ে সিকদার পরিবারের মধ্যেই বিরোধ দেখা দেয়। প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মেয়ে পারভীন হক সিকদার আছেন একদিকে, অন্যদিকে তার দুই ভাই রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার। ভার্চুয়াল এজিএমে পাতানো ভোটের মাধ্যমে তাকে পর্ষদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে এমন শঙ্কায় পারভীন হক সিকদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নির্ধারিত বার্ষিক এজিএমের ওপর স্থিতাবস্থা দেন আদালত।

এর আগে, একই শঙ্কা জানিয়ে এজিএম বন্ধের উদ্যোগ নিতে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি খেলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠনের আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেখানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার। এছাড়া, পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভিন হক সিকদার, শফিকুর রহমান এবং মোয়াজ্জেম হোসেন।

কিন্তু সাড়ে চার মাস যেতে না যেতেই স্বয়ং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির পরিচালকরা। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে খলিলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক নিয়োগ দেয়। এতে করে ব্যাংকটি কুক্ষিগত করে এস আলম গ্রুপ। পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এই প্রথম কোনো ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করা হলো। ফলে ব্যাংকটি এস আলমের দখলমুক্ত হলো।


আরও খবর



স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম এ বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এছাড়া, আরও ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

তারা হলেন-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব।


আরও খবর



শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো “সাম্পান” উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র তালতলী শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো সাম্পান এর উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম।

শনিবার(৩১ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে শুভ সন্ধ্যা সৈকত সংলগ্ন আধুনিক ডাকবাংলো ভবণটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতটি অল্প সময় জনপ্রিয়তা পেলেও ঘুড়তে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের কথা চিন্তা করে এই ডাকবাংলোটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা গত এক বছরের ভেতরেই বিভিন্ন অনুদানের টাকায়  সাম্পান নামের এই ডাকবাংলোটি নির্মান করা হয়।একতলা বিশিষ্ট এই ভবনে দুইটি বেড রুমসহ ড্রইং-ডাইনিং স্পেস  রয়েছে। পাশাপাশি এখানে বিনোদন পার্ক, আধুনিক বারবি কিউ রেস্তোরা ও পার্কিং এর জন্য স্থান রাখা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে নির্মিত হবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে সৈকতটি ঘিরে একটি নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে সি-বীচ রক্ষায় করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এই বাংলোটি অবদান রাখবে। তিনি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এই সৈকত কেন্দ্রিকহোটেল-মোটেল নির্মানের জন্য আহবান জানান।

এসময়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত দত্ত, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড.কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



কালিয়াকৈরে ২০ দফা দাবিতে ট্রান্সকম বেভারেজের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, যথাসময়ে বেতন প্রদানসহ ২০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে কোমল পানিয় তৈরি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মৌচাক এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সামনে ওই প্রতিষ্ঠানের মুল ফটকে এ কর্মসূচি পালন করে।

এলাকাবাসী, শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড নামে কোমল পানিয় তৈরির প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থল ওই প্রতিষ্ঠানে যান। কিন্তু তারা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনে মুল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

এসময় তারা কারখানা থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠাম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, যথাসময়ে বেতন প্রদান, নূন্যতম বেতন ৭ হাজার টাকায় বৃদ্ধি, সকল শ্রমিকদের ৩ বছর পর পর পদন্নোতি করা, বৈশাখী উৎসব বোনাস, নারী শ্রমিকদের রাতে ডিউটি না করানো, চুক্তি পত্রের মেয়াদকাল ২ বছর করাসহ ২০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের মুল ফটক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে হওয়ায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের আতঙ্কে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর-শ্রীপুর সার্কেল) আজমীর হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিমসহ থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটিয়ে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহবান জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে ওই প্রতিষ্ঠান এলাকায় অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারসহ ২০ দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। এছাড়াও মালিক পক্ষের লোকজন এনে এসব সমস্যা সমাধান করে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্লান্ট ম্যানেজারকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

গাজীপুর-২ এর শিল্প পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ২০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটক ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে হওয়ায় যান চলাচল বিঘ্ন ঘটলেও যানজট হয়নি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের বসে সমস্যা সমাধান করার আহবান জানানো হয়েছে।

গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর-শ্রীপুর সার্কেল) আজমীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিষ্ঠান এলাকায় অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে।

ফজলুল হক, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি


আরও খবর



চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নেসকোর কর্মচারীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসির (নেসকো) আওতাধীন কম্পিউটার সেন্টারগুলোতে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মরত কর্মচারীদের চাকুরি রাজস্বখাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী নগরীর রেলগেট নেসকো অফিসের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

 মানববন্ধনে তারা বলেন, আমরা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি অপারেশন এন্ড অটোমেশন) দপ্তরের আওতাধীন রাজশাহী ও রংপুর জোনের সকল কম্পিউটার/বিলিং সেন্টারে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত আছি। কম্পিউটার সেন্টার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি'র গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলেও এখানকার কর্মচারীরা

সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। ফলে আমাদের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বরাবর ও উক্ত স্মারকে গঠিত Grievance Redress Committee এর বরাবর আমাদের দাবি উল্লেখ করে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। দাবি সমূহ না মানার কারণে এবং দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করায় আমরা সকল কম্পিউটার সেন্টারের কর্মচারীবৃন্দ স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করব এবং আমাদের এই যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে।

এসময় রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা ও রাজশাহী নেসকোর কম্পিউটার/বিলিং সেন্টারের (আউটসোর্সিং) কর্মচারীদের মধ্যে মুকুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, ইব্রাহিম, হারুন, শহিদুল, নয়ন, মুন্না,ইমরান, সোহেল গাজী, কামিরুল,আবদুল্লাহ, মাহি, মোরশেদা, সিথিলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী

আরও খবর