আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনাই বারবার টার্গেটে কেনো?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকারী সরকারপ্রধান। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ ব্যক্তিত্ব একটানা তিন মেয়াদসহ মোট চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।

একই সঙ্গে তিনি উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্ণধার। বর্তমানে তিনি অন্যতম একজন বিশ্বনেতাও বটে।

সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া ধৃষ্টতাপূর্ণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও কুরুচিকর। হুমকিদাতার বক্তব্য যেমন নিন্দনীয়, তেমনি এরকম নেতার পৃষ্ঠপোষক দল বিএনপিও অবশ্যই বর্জনীয়। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য থেকে এটি বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, বিএনপি অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের যে দুরভিসন্ধি করছে, তারা এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা মনে করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে।

যে দলটির জন্ম অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী একজন সামরিক শাসকের উর্দির পকেট থেকে, যে দলটি স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল, সে দলের নেতার কাছ থেকে এরকম রাজনৈতিক শিষ্টাচারহীন বক্তব্য ব্যতীত ভালো কিছু আশা করা যায় না। বিএনপি অবৈধ পন্থায়, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রে তাদের আস্থা নেই। দলটির রাজনৈতিক ইতিহাসও তাই বলে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশ এখন উত্তাল।

সাধারণ মানুষের নিন্দা আর ঘৃণা আবারও প্রমাণ করছে, বিএনপির প্রতি গণমাণুষের কোনো আস্থা নেই। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিএনপি নেতার এ ধরনের গর্হিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির ঘটনায় সম্প্রতি নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স প্রধান শন জে. ম্যাকিনটোশ বলেছেন, মার্কিন দূতাবাস যে কোনো ধরনের উত্তেজক ভাষা, ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতার হুমকির নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সহিংসতা উসকে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দৃঢ়।

বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন, তখনই বিএনপি ও তার দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য মূলত তারই বহিঃপ্রকাশ। রাজনীতিতে পরাস্ত হয়ে দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রলাপ বকছে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী।

কখনো ২৭ দফা, কখনো ১০ দফা আর কখনো ১ দফার নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার তারা লিপ্ত। এসব দফা অবৈধ, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেশকে আবার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার অপকৌশল মাত্র। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে অন্ধকারে নিপতিত করাই যার চূড়ান্ত পরিণতি।

শেখ হাসিনাই কেন বারবার ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের মানুষের আলোর দিশারী হয়ে পিতা-মাতা, ভাই, আত্মীয়-পরিজনহারা শোকে বিহ্বল বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। যে ঘাতক বুলেট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির পিতাকে কেড়ে নিয়েছিল, সেই বুলেটই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার পিছু নেয় দেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই।

অন্তত ২০ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। তার ওপর প্রথম আক্রমণ হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওই দিন চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের খুব কাছে আট দলীয় জোটের মিছিলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পুলিশ ও বিডিআর গুলি ছোড়ে। পরের বছর ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট বাড়িতে থাকা অবস্থায় বুলেট-গ্রেনেড ছোড়া হয় ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমাবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলি তার গাড়িতে লাগলেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে তার ওপর হামলা করা হয়। ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে এবং ১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ একই কায়দায় তার ওপর হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।

নিজ নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই ভয়াবহ হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন তিনি। জনসভাস্থলের অদূরে ও হ্যালিপ্যাডে ৮৪ কেজি ও ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ। পরের বছর ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধনস্থলে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। ওই বছরই ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনি প্রচারে সিলেটে গেলে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভার মঞ্চের পাশেই ঘটে বোমা হামলা।

২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি-জামায়াতের ঘাতকচক্র। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশস্থলে নারকীয় ও ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ইতিহাস সবার জানা।

সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। যে হামলায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। ২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করেছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। ২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে কারওরান বাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। ২০১৬ সালের জুনে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি থাকায় নামতে গিয়ে আবার ওপরে উঠে যায়। ধারণা করা হয়েছিল, ওই বস্তুর আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেত তাকে বহনকারী বিমান। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সরকারি সফরে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে বিমানের নাট ঢিল করে রাখা হয়েছিল, তাকে হত্যার পরিকল্পনায়।

সবশেষ ২০১৭ সালেও শোকের মাস আগস্টে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। বারবার বর্বরোচিত হামলা-হত্যাচেষ্টা এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ব্যূহ ভেদ করে শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সিম্বলিক দেশ হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছেন সমৃদ্ধির পথে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে দৃঢ়ভাবে। ইস্পাতকঠিন ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনাই বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন। তিনি ভালো থাকলে, নিরাপদ থাকলে, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে।

লেখক: শ ম রেজাউল করিম এমপি

মন্ত্রী , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।


আরও খবর



একীভূত হওয়ার খবরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংকটির শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি বা ৫০ পয়সা কমেছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সংকটে থাকা সরকারি বেসিক ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবর আসে।

মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই সিটি ব্যাংকের শেয়ারের দর পড়ে যায়। ব্যাংকটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়সা কমে। আর দিন শেষে এটির শেয়ারের দাম ৫০ পয়সা কমে নেমে আসে ২২ টাকা ৪০ পয়সায়।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিটি ও বেসিক ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবরে বিনিয়োগকারীরা তেমন একটা খুশি নন; কারণ তারা মনে করেন, এই একীভূতকরণ তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য সুবিধা দিতে পারবে না।

এর আগে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। একীভূতকরণের ঘোষণায় এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১০ টাকার ফেস ভ্যালুর নিচে নেমে যায়। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৯ দশমিক ৫০ টাকায়।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




সকালেই ভিজলো রাজধানী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘন কালো মেঘের সঙ্গে রাজধানীর আকাশ চিরে ঝরেছে বৃষ্টি। সঙ্গে তাল মিলিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৬টার পর থেকেই আলো ছাপিয়ে চারপাশ ছেয়ে যেতে থাকে অন্ধকারে। পরে সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ শুরু হয় বৃষ্টি।

তবে আজ দুপুরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রহমান জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, একই সময়ে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় ১৭ মিলিমিটার ছাড়াও বরিশালে ৬, ঈশ্বরদীতে ২ এবং কুমিল্লায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।


আরও খবর



গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত আসামী রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ বাসাবো এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবু (৫২)-কে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।


আরও খবর



ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষ। তবে স্বস্তিতে ফেরার যাত্রায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয়েছে যমুনা এক্সপ্রেস।

যে কারণে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার সকালে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল কারওয়ান বাজার। সেখানে ডাবল লাইন। একটি লাইন বন্ধ রয়েছে। আরেকটি সচল। লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো জাপান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পর এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে এ থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এখনো পর্যন্ত ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল)। রাজধানী টোকিওতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে টেকটোনিক সক্রিয় দেশগুলোর মধ্যে একটি জাপান। সে কারণে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে এমনটা নিশ্চিত করতে তারা ভবনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলে। ১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জ। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১৫০০ ছোট-বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১ এবং এর গভীরতা ছিল ৪০ দশমিক ১ কিলোমিটার।

মাত্র একদিন আগেই প্রতিবেশী তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আরও এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।

জাপানে এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার অতি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির আঘাতে ১৮ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।


আরও খবর